Camera Hacking: ফোন অথবা ল্যাপটপের ক্যামেরা থেকেই হতে পারেন হ্যাকিংয়ের শিকার, কীভাবে?

ইন্টারনেট এবং প্রযুক্তির উপর আমাদের নির্ভরশীলতা যতই দিনের পর দিন বাড়ছে, ততই সাইবার জালিয়াতির ঘটনা বারংবার সামনে আসছে। সরকার, বিভিন্ন সিকিউরিটি এজেন্সি এবং বিশারদরাও এই বিষয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করে চলেছেন। তবে বিভিন্ন ধরনের সাইবার আক্রমণ সম্পর্কে সচেতনতা তৈরির পাশাপাশি ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের সংবেদনশীল করার লক্ষ্য নিয়ে, এবার চলতি মাসটিকে বিশেষভাবে পালন করছে কেন্দ্র সরকার। এক্ষেত্রে অক্টোবরকে ‘সাইবার সিকিউরিটি অ্যাওয়ারনেস্ মান্থ’ পালন করা হচ্ছে, যার মধ্যে সচেতনতার একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল ক্যামেরা হ্যাকিং (Camera Hacking)।

ক্যামেরা হ্যাকিং আসলে কী?

হ্যাকিংয়ের মত অস্বস্তিকর ঘটনার কথা আমরা আকছার শুনে থাকি। কিন্তু যারা জানেন না, তাদের বলে রাখি ক্যামেরা হ্যাকিং একটি বিশেষ ধরণের স্ক্যাম যাতে জালিয়াতরা একটি ডিজিটাল ডিভাইস হ্যাক করতে ম্যালওয়্যার ব্যবহার করে এবং ইউজারের অজান্তেই তাদের ডিভাইসের (স্মার্টফোন, ডেস্কটপ, ল্যাপটপ, ট্যাবলেট ইত্যাদি) ওয়েবক্যাম/ক্যামেরা দূর থেকে অ্যাক্সেস করে।

ক্যামেরা হ্যাকিং কীভাবে হয়?

স্ক্যামারদের জন্য যেকোনো ডিভাইসের ক্যামেরা হ্যাক করার সবচেয়ে সহজ উপায় হল ইমেইল। আসলে ইউজাররা অনেক সময়ই প্রাপ্ত ইমেইল বা মেসেজগুলির লিঙ্কগুলিতে ক্লিক করে থাকেন, এতে তাদের ক্যামেরাসহ সম্পূর্ণ ডিভাইস অ্যাক্সেস করার অনুমতি পেয়ে যায় স্ক্যামাররা। এক্ষেত্রে ইউজাররা এই ধরণের ওয়েবসাইটগুলি খোলার সাথে সাথে সেটি তাদের সিস্টেমে রিমোট অ্যাক্সেস ট্রোজান (RAT)-এর অনুমতি চায় এবং ইউজাররা পারমিশন দেওয়ার সাথে সাথে হ্যাকাররা তাদের কাজ শুরু করে প্রথম ডিভাইসে স্পাইওয়্যার ইনস্টল করে এবং তা সম্পূর্ণভাবে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।

কীভাবে ক্যামেরা হ্যাকিং এড়াবেন?

যেকোনো ধরনের সাইবার আক্রমণ এড়ানোর সবচেয়ে সহজ উপায় হল কোনো অজানা লিঙ্কে ক্লিক না করা বা এই ধরণের লিঙ্ক থেকে কোনো অ্যাপ ডাউনলোড করা থেকে বিরত থাকা। শুধু তাই নয়, ল্যাপটপ বা অন্যান্য ডিজিটাল ডিভাইসের ওয়েবক্যাম/ক্যামেরা ব্যবহার না করলে তা ঢেকে রাখুন এবং যেকোনো ধরনের সিকিউরিটি ইস্যু এড়াতে লেটেস্ট সফ্টওয়্যারের মাধ্যমে ডিভাইসটি আপডেট করুন। এছাড়া সাবধান থাকতে সোশ্যাল মিডিয়া বা অন্য প্ল্যাটফর্মে কোনো অজানা ব্যক্তির সাথে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করবেন না।