ডেটা চুরি বা ফোন হ্যাকের ভয় থাকবে না, WhatsApp ইউজাররা মাথায় রাখুন এই ৯টি বিষয়

ইন্টারনেট নির্ভর এই জীবনে গোপনীয়তা যেন সহজলভ্যতার সমার্থক শব্দ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে গত পরশু সারা বিশ্বজুড়ে পালিত হয়েছে ‘ওয়ার্ল্ড ডেটা প্রাইভেসি ডে’ (World Data Privacy Day)। আর এই উপলক্ষে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম WhatsApp (হোয়াটসঅ্যাপ), অনলাইন সুরক্ষা পয়েন্টগুলি তুলে ধরেছে, যাতে ইউজাররা প্ল্যাটফর্মে সুরক্ষিতভাবে ব্যবহার করতে পারেন এবং অন্য কেউ তাদের ডেটার অপব্যবহার করতে না পারে। এমনিতে WhatsApp এন্ড টু এন্ড এনক্রিপ্টেড মেসেজিং পরিষেবা অফার করে। কিন্তু আরও অনেক উপায় আছে যার মাধ্যমে এর অনলাইন ডেটা সুরক্ষিত রাখা যায়। কিভাবে? আসুন বিস্তারিত জানি।

১. টু স্টেপ অথেন্টিকেশন: এই টু স্টেপ অথেন্টিকেশন (Two Step Authentication) নামক যাচাইকরণ প্রক্রিয়াটি অন করা থাকলে, হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট বেশ সুরক্ষিত থাকে। এটি একটি অতিরিক্ত স্তরের নিরাপত্তা প্রদান করে যেটিতে সিম কার্ড চুরি, অ্যাকাউন্ট রিসেট এবং ভেরিফিকেশনের জন্য ৬ সংখ্যার পিন প্রয়োজন।

২. হোয়াটসঅ্যাপ টাচ আইডি, ফেস আইডি বা ফিঙ্গারপ্রিন্ট লক: হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীরা চাইলে তাদের অ্যাকাউন্ট বা অ্যাপ্লিকেশনটি আইফোনে টাচ আইডি এবং ফেস আইডির মাধ্যমে, অ্যান্ড্রয়েডের ক্ষেত্রে ফিঙ্গারপ্রিন্ট লকের মাধ্যমে সুরক্ষিত রাখতে পারবেন।

৩. ডিসঅ্যাপেয়ারিং মেসেজ: এই ফিচারটি অন থাকলে নির্দিষ্ট সময় পর কোনো চ্যাট বা সব চ্যাট স্বয়ংক্রিয়ভাবে ডিলিট হয়ে যায়। সেন্ডার বা রিসিভার উভয়েই এই ফিচারটি ২৪ ঘন্টা, ৭ দিন বা ৯০ দিনের বিকল্পে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন।

৪. ভিউ ওয়ান্স: এই ভিউ ওয়ান্স (View Once) ফিচারটি কোনো ফটো এবং ভিডিও, রিসিভার একবার দেখার পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে ডিলিট করার বিকল্প দেয়। এর ফলে ব্যবহারকারী আরও গোপনীয়তা পাবেন।

৫. এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপ্টেড ব্যাকআপ: হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীরা আইক্লাউড বা গুগল ড্রাইভে তাদের চ্যাট ব্যাকআপগুলি সুরক্ষিত করতে একটি এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন সিকিউরিটি লেভেল যুক্ত করতে পারেন। এক্ষেত্রে এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপ্টেড ব্যাকআপ ক্লাউডে মেসেজ এবং মিডিয়া সেভ করে। উপরন্তু, এটি একটি এনক্রিপশন কী (Key) দিয়ে সুরক্ষিত থাকে।

৬. গ্রুপ প্রাইভেসি সেটিংস: হোয়াটসঅ্যাপের প্রাইভেসি সেটিং এবং গ্রুপ ইনভাইট সিস্টেম, কোনো গ্রুপে মেম্বারদের জয়েন হওয়া বা জয়েন করানোর বিষয়গুলি নিয়ন্ত্রণ করে। এর ফলে একদিকে যেমন যে কেউ কোনো ব্যক্তিগত গ্রুপে জয়েন করতে পারেনা, তেমনি কাউকে না চাইলে গ্রুপে জয়েন করানো যায়না।

৭. অ্যাডমিন কন্ট্রোল: এটি আদতে গ্রুপ সেটিং, যা অ্যাডমিনদের নিয়ন্ত্রণ থাকে। এতে তারা সেটিং পরিবর্তন করতে পারে এবং গ্রুপে কে মেসেজ পাঠাতে পারে তা নির্ধারণ করতে পারে।