WhatsApp অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে যাবে, এই কাজ করছেন না তো?

বিশ্বব্যাপী WhatsApp-এর বিপুল জনপ্রিয়তাকে প্রত্যক্ষ করে মার্কেটে এই ইনস্ট্যান্ট ম্যাসেজিং অ্যাপের মতোই আরও একাধিক থার্ড-পার্টি অ্যাপের আগমন ঘটেছে। এগুলি Facebook-এর মালিকানাধীন সংস্থাটির মতো একই নাম ব্যবহার করার পাশাপাশি আরও অনেক ফিচার অফার করে। WhatsApp Plus, GB Plus-এর মতো এই জাতীয় থার্ড-পার্টি অ্যাপগুলিতে এমন প্রচুর ফিচার রয়েছে যা WhatsApp-এ নেই। তাই এই সকল অ্যাপগুলি ব্যবহারের জন্য খুব স্বাভাবিকভাবেই ইউজাররাও ভীষণভাবে উৎসুক হয়ে উঠেছেন। কিন্তু এই সমস্ত ইউজারদের বিরুদ্ধে এবার কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করতে উদ্যোগী হল WhatsApp। তারা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে যে, যে সকল ইউজাররা এই ধরনের থার্ড-পার্টি অ্যাপ ব্যবহার করছে তাদের অ্যাকাউন্ট ব্যান করা হতে পারে।

থার্ড পার্টি অ্যাপ ব্যবহার করলে WhatsApp অ্যাকাউন্ট ব্যান হবে

হোয়াটসঅ্যাপ-এর নীতি অনুসারে, কোনো অ্যাকাউন্ট যদি ইন্সট্যান্ট মেসেজিং প্ল্যাটফর্মটির নির্দেশিকা লঙ্ঘন করার চেষ্টা করে তাহলে স্থায়ী বা অস্থায়ীভাবে সেটিকে ব্যান (নিষিদ্ধ) করে দেওয়া হবে। হোয়াটসঅ্যাপ তার অননুমোদিত ভার্সনগুলিকে “WhatsApp Mods” হিসেবে অভিহিত করেছে। জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপটি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে যে, যদি কোনো ইউজার এইরকম ভার্সন ব্যবহার করছে বলে সংস্থাটি খবর পায়, তাহলে তারা তৎক্ষণাৎ তার অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করবে, কারণ এটি হোয়াটসঅ্যাপ-এর নিয়মাবলীর সুস্পষ্ট লঙ্ঘনের এক জ্বলন্ত প্রমাণ।

আপনাদেরকে জানিয়ে রাখি, WhatsApp-এর অনুকরণে নির্মিত WhatsApp Plus এবং অন্যান্য থার্ড-পার্টি অ্যাপগুলিতে অটো-রিপ্লাই, চ্যাট শিডিউলিং-এর মতো একাধিক ফিচার রয়েছে, যেগুলি WhatsApp-এ উপলব্ধ নয়। থার্ড-পার্টি অ্যাপ্লিকেশনগুলির ডেভেলপাররা ব্যবহারকারীদের এই ফিচারগুলি ব্যবহার করার জন্য WhatsApp Plus বা GB Plus-এর মতো অ্যাপগুলিতে তাদের চ্যাট ট্রান্সফার করতে প্রলুব্ধ করে।

তবে মনে রাখবেন এই অ্যাপ্লিকেশনগুলি নিরাপদ নয় এবং ম্যালওয়্যার দ্বারা আক্রান্ত, যা আপনার ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করতে পারে। এইজন্য Google Play Store এবং Apple App Store-এ আপনি কখনোই WhatsApp Plus এবং GB Plus-এর মতো থার্ড-পার্টি অ্যাপগুলি খুঁজে পাবেন না। এগুলি কেবলমাত্র APK-র মাধ্যমে ডাউনলোড করা যেতে পারে। এই জাতীয় অ্যাপগুলি কীভাবে ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা এবং সুরক্ষার যত্ন নেয়, বা অ্যাপের মাধ্যমে করা চ্যাটগুলি নিরাপদ কি না, সে সম্পর্কে নিশ্চিতভাবে কোনো তথ্য জানা যায়নি। তাই এই ধরনের অ্যাপ ডাউনলোড করলে আপনি যে কেবলমাত্র আপনার ব্যক্তিগত ডেটা সুরক্ষাকে বিপদের মুখোমুখি করবেন তাই নয়, শেষ পর্যন্ত আপনি WhatsApp-এর অ্যাক্সেসও হারাতে পারেন, যা আমাদের বর্তমান দৈনন্দিন জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, WhatsApp সর্বদা ব্যবহারকারীদের তার অ্যাপের পরিবর্তিত সংস্করণ (modified version) ব্যবহার না করার জন্য সতর্ক করেছে। ২০১৯ সালে, GB WhatsApp-এর সাথে যুক্ত অনেক অ্যাকাউন্ট অস্থায়ীভাবে ব্যান করে WhatsApp। এবং সেইসাথে ইন্সট্যান্ট মেসেজিং প্ল্যাটফর্মটি ইউজারদের উদ্দেশ্যে সতর্কবার্তা জারি করেছিল যে, যদি ব্যবহারকারীরা আসল অ্যাপটিতে স্যুইচ না করেন তবে তাদের WhatsApp অ্যাকাউন্ট স্থায়ীভাবে ব্যান করে দেওয়া হবে।

হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন