বিশ্বব্যাপী অচল WhatApp-এর প্রতিদ্বন্দ্বী Signal মেসেজিং অ্যাপ

কয়েক বছর আগে থেকে ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম হিসেবে উপলব্ধ থাকলেও, বছরের শুরুতে WhatsApp (হোয়াটসঅ্যাপ)-এর নয়া প্রাইভেসি পলিসি জনিত বিতর্কের কারণে ব্যাপক পরিচিতি পায় Signal (সিগন্যাল)। এই মুহূর্তে এই ক্লাউড বেসড মেসেজিং মাধ্যমটি WhatsApp-এর অন্যতম শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বীও বটে। কিন্তু কিছু প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে Singal-এর এই জনপ্রিয়তায এবার ভাঁটা পড়তে চলেছে বলে মনে হচ্ছে! আসলে অতি সম্প্রতি ভারত তথা সারা বিশ্বে Signal অ্যাপ্লিকেশন কার্যত অক্ষম হয়ে গেছে; এটির ইউজাররা মেসেজ পাঠাতে বা কল করতে পারছেন না।

শুধু তাই নয়, আজ সকালে একটি টুইট ও ইন-অ্যাপ নোটিফিকেশনের মাধ্যমে বিষয়টি স্বীকার করে ইউজারদের বলা হয়েছে যে, Signal অ্যাপে প্রযুক্তিগত সমস্যা দেখা দিচ্ছে, সংস্থা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পরিষেবা রিস্টোর করবে। যদিও ঠিক কবে এই পরিষেবা সচল হবে সে বিষয়ে কোনো সঠিক তথ্য নেই। তাছাড়া ঠিক কী কারণে এই সমস্যা তাও জানা যায়নি।

Signal-এর বিশেষত্ব কী?

সিগন্যাল দাবি করে যে, তারা ইউজারের ডিজিটাল প্রোফাইল তৈরির জন্য কন্টাক্ট লিস্ট ট্র্যাক করে না বা ফোন নম্বর লিঙ্ক করে না। যদিও, প্রাথমিক নিবন্ধনের জন্য একটি ফোন নম্বর প্রয়োজন; সেক্ষেত্রে আপনারা ওটিপি ভেরিফিকেশনের জন্য ভার্চুয়াল ফোন নম্বরের সাহায্য নিতে পারেন। এটির গোপনীয়তা সুরক্ষা অন্যান্য প্ল্যাটফর্মের তুলনায় অনেক বেশি সক্রিয়।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে অর্থাৎ সাত বছর আগে ক্রস মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম সিগন্যাল চালু হয়। এটি অ্যান্ড্রয়েড, আইওএস বা ডেস্কটপ ভার্সনে উপলব্ধ, যেখানে ফ্রি মেসেজিং/চ্যাটিং, ভয়েস বা ভিডিও কলিংয়ের সুবিধা পাওয়া যায়। এই বছরের শুরুর দিকে টেসলা কর্ণধার এলন মাস্ক ‘সিগন্যাল’ শব্দটি ব্যবহার করে একটি টুইট করার পর সারা বিশ্বের মানুষ হুড়মুড়িয়ে এটি ডাউনলোড করতে শুরু করেন। এবং অল্প সময়ের মধ্যে সিগন্যাল, গুগল প্লে স্টোরে অন্যতম সেরা অ্যাপ্লিকেশন হয়ে ওঠে।

হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন