২০১৫ সালে ভারতে প্রথম স্মার্টফোন লঞ্চ করার পর থেকে বিগত কয়েক বছরে Xiaomi হয়ে উঠেছে এদেশের শীর্ষস্থানীয় স্মার্টফোন ব্র্যান্ড। গত মাসের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, সংস্থাটির ইন্ডিয়ান স্মার্টফোন মার্কেটে ২৮% শেয়ার রয়েছে। তবে সম্প্রতি চীনা টেক জায়ান্টটির এক কর্মকর্তা ঘোষণা করেছেন যে শুধু ভারত নয়, বরঞ্চ এই বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে বিশ্বের ১২টি দেশের স্মার্টফোন বাজারে সেরা স্মার্টফোন বিক্রেতা হিসেবে বিবেচিত হয়েছে Xiaomi। আজ, চীনা মাইক্রোব্লগিং ওয়েবসাইট Weibo-র মাধ্যমে এই চমকপ্রদ খবরটি সবার সামনে এসেছে।
ব্র্যান্ডের প্রেসিডেন্ট লু ওয়েইবিং (Lu Weibing) একটি উইবো পোস্টে দাবি করেছেন যে, স্মার্টফোন নির্মাতা সংস্থাটি চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে এক ডজন অর্থাৎ ১২টি দেশের স্মার্টফোন বাজারে সবচেয়ে বেশি শেয়ার অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। এক্ষেত্রে নিজের দাবির সপক্ষে ওই পোস্টে সিনিয়র এক্সিকিউটিভ একটি ছবিও শেয়ার করেছেন, যা Xiaomi-র এই কৃতিত্বের পরিচয় দেয়। এদিকে উক্ত পোস্টারটিতে ১২টি বিভিন্ন দেশের পতাকা লক্ষ্য করা গেছে যার মধ্যে রয়েছে স্পেন, রাশিয়া, পোল্যান্ড, বেলারুশ, ইউক্রেন, ক্রোয়েশিয়া, লিথুয়ানিয়া, মালয়েশিয়া, কলম্বিয়া, নেপাল, মায়ানমারের মত দেশ এবং অবশ্যই আমাদের ভারত।
উল্লেখ্য, হালফিল সময়ে সংস্থাটি ইউরোপের বাজারেও নিজের শেয়ারের প্রবৃদ্ধি লক্ষ্য করেছে। শুধু তাই নয়, Xiaomi, পূর্ব ইউরোপীয় বাজারে টানা দুই ত্রৈমাসিক সময় ধরে নেতৃত্ব দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে, যেখানে পশ্চিম ইউরোপীয় বাজারে এটি তৃতীয় বৃহত্তম ওইএমের খেতাব পেয়েছে। একই সাথে, এটি স্পেনেও পরপর পাঁচটি কোয়ার্টারে স্মার্টফোন বিক্রিতে সবার সেরা হয়ে উঠেছে বলে জানা গিয়েছে।
এখন অনেকেই প্রশ্ন করতে পারেন যে, নিজের ঘরোয়া বাজারে তেমন উল্লেখযোগ্য শেয়ার না থাকলেও, দেশের বাইরে Xiaomi ডিভাইসের এত চাহিদা বা জনপ্রিয়তা কেন? সেক্ষেত্রে উত্তরে সংস্থার আন্তর্জাতিক বাজারে জায়গা করে নেওয়ার প্রচেষ্টা বা শ্রমকেই এই সব কিছুর কারণ হিসেবে ধরে নেওয়া যায়। অর্থাৎ চীনের বাজার Huawei-এর থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার বদলে সংস্থাটি যে ভাবে ভারতসহ অন্যান্য দেশের একের পর এক আকর্ষণীয় ফিচার ও উন্নত পারফরম্যান্স যুক্ত ফোন লঞ্চ করে চলেছে, তাতে দেশের বাইরে এটির এত জনপ্রিয়তা পাওয়া অত্যন্ত স্বাভাবিক ব্যাপার!