চীনা স্মার্টফোন প্রস্তুতকারক সংস্থা শাওমি (Xiaomi) তাদের রপ্তানি নীতিতে বড় পরিবর্তন আনতে চলেছে। এর ফলে বেআইনিভাবে স্মার্টফোন পাচার বিপুলভাবে ধাক্কা খেতে পারে বলে অভিজ্ঞমহলের মতামত। কারণ, নতুন নীতি অনুযায়ী পৃথিবীর যে সমস্ত অংশে Xiaomi বাণিজ্যিকভাবে উপস্থিত নেই, অর্থাৎ যেখানে চীনা সংস্থাটি তাদের স্মার্টফোন বিক্রি করে না, সেই সমস্ত স্থানে অসৎ উপায়ে পাচার হওয়া তাদের ডিভাইসগুলি আর কাজ করবে না। পাচারকারীদের সাথে সাথে এই নীতির ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে স্মার্টফোন রিসেলিংয়ের ব্যবসা। কিন্তু সমস্ত দিক মাথায় রেখেই Xiaomi অননুমোদিত অঞ্চলে নিজেদের সক্রিয় ডিভাইসগুলির ব্যবহার রোধ করতে চলেছে।
আপাতত বিশ্বের যে সমস্ত প্রান্তে শাওমি তাদের ডিভাইস সরবরাহ করে না তাদের তালিকায় রয়েছে সিরিয়া, কিউবা, ইরান, সুদান, উত্তর কোরিয়ার মতো রাষ্ট্র। কিন্তু শাওমি ব্যবসা না করলেও, বেআইনি পাচারকারীদের হাত ধরে উপরোক্ত দেশগুলিতে তাদের স্মার্টফোন পৌঁছে যায়। যদিও ঠিক কিভাবে এই ঘটনা সম্ভব হয় সে সম্পর্কে তথ্য অধরা।
আনঅফিসিয়াল ফোন ব্লক করতে শুরু করছে Xiaomi
নতুন রপ্তানি নীতিতে শাওমি অনুমোদনবিহীন অঞ্চলে নিজেদের ডিভাইসের ব্যবহার বন্ধ করতে সেগুলি নিষ্ক্রিয়করণে জোর দেবে বলে শোনা গিয়েছে। এক্ষেত্রে সংস্থা রীতিমতো কড়া অবস্থান গ্রহণ করতে উদ্যোগী। সাম্প্রতিক সময়ে পাচারকৃত কোন স্মার্টফোন যাতে নিষিদ্ধ দেশগুলিতে ব্যবহার করা না যায়, সেটা সুনিশ্চিত করতে সংস্থা আপাতত তৈরী।
এখনো পর্যন্ত অনুমোদনহীন অংশগুলিতে যে সমস্ত Xiaomi ডিভাইস সক্রিয় রয়েছে, আগামী কিছুদিনের মধ্যেই সেগুলি অকার্যকর হয়ে পড়বে বলে সংস্থার বক্তব্য। এক্ষেত্রে স্মার্টফোন ব্যবহারকারী সংস্থার তরফে নোটিফিকেশন লাভ করবেন। একইভাবে নতুন ডিভাইসের সক্রিয়করণ রোধ করা হবে। ফলে বিক্রয়কারী ব্যক্তি বা সংস্থার সাথে যোগাযোগ করা ছাড়া ক্রেতার হাতে আর অন্য কোন বিকল্প থাকবে না।
পরিবর্তিত নিয়মে স্মার্টফোন রিসেলিং সিন্ডিকেট ক্ষতির মুখে পড়বে বলে আগেই উল্লেখ করেছি। সাধারণ ক্ষেত্রে রিসেলারগণ অননুমোদিত দেশে ফোন বিক্রির মাধ্যমে গ্রাহকদের একটা বড় অংশ করায়ত্ত করে রাখে। কিন্তু এবার থেকে সেই চেষ্টায় কার্যত জল পড়তে চলেছে। কারণ নিষিদ্ধ অঞ্চলে কোনভাবেই শাওমির কোন ডিভাইস আর কাজ করবে না।