ভারতে মোবাইল ও টিভি তৈরীর লক্ষ্যে তিনটি নতুন কারখানা স্থাপন করছে Xiaomi

জনপ্রিয় চিনা মোবাইল প্রস্তুতকারক সংস্থা Xiaomi আজ ঘোষণা করল যে, এবছরেই ভারতের মাটিতে তারা দুটি মোবাইল ও একটি টিভি তৈরীর কারখানা স্থাপন করতে চলেছে। এর…

জনপ্রিয় চিনা মোবাইল প্রস্তুতকারক সংস্থা Xiaomi আজ ঘোষণা করল যে, এবছরেই ভারতের মাটিতে তারা দুটি মোবাইল ও একটি টিভি তৈরীর কারখানা স্থাপন করতে চলেছে। এর জন্য জায়গা হিসেবে তারা বেছে নিয়েছে হায়দ্রাবাদ ও তেলেঙ্গানা রাজ্য দুটিকে। এরমধ্যে তেলেঙ্গানা রাজ্যে এর আগেও সংস্থার একটি টিভি তৈরীর কারখানা ছিল। ফলে ভারতে Xiaomi-র প্ল্যান্ট সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াচ্ছে চারটি। কোম্পানি আরও জানিয়েছে যে, এখন থেকে ভারতে বিক্রিত মোবাইল ও টিভির সবকিছুই তৈরী হবে ভারতেই।

নতুন মোবাইল তৈরীর কারখানাদুটি ডিবিজি ইন্ডিয়া এবং বিওয়াইডি চায়না নামক মোবাইল প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে কাজ করবে। এছাড়াও টিভি তৈরীর বিষয়টি দেখবে হায়দ্রাবাদ বেসড রেডিয়েন্ট সংস্থা। Xiaomi India-র সিওও মুরলীকৃষ্ণণ বি বলেছেন, “২০২০ সালে ভারতে তাদের স্মার্টটিভি তৈরীর হার ৮৫% থেকে ১০০%-এ নিয়ে আসতে তারা সক্ষম হয়েছে।”

এছাড়াও নতুন কারখানাগুলিও Xiaomi-র উপাদান বা পার্টস তৈরীতে একটি বৃহৎ ভূমিকা পালন করবে। সংস্থাটি দেশে মাদারবোর্ড, সাব-বোর্ড, ব্যাটারি এবং চার্জারও তৈরি করছে। এছাড়াও তারা এ দেশে ক্যামেরা মডিউল তৈরি করার পরিকল্পনাও করছে। সংস্থাটি জানিয়েছে যে স্মার্টফোনগুলির মূল্যের ৭৫% পর্যন্ত এখন স্থানীয়ভাবে তৈরি হচ্ছে।

Xiaomi ম্যানেজিং ডিরেক্টর, ইন্ডিয়া অ্যান্ড গ্লোবাল ভাইস প্রেসিডেন্ট মনু জৈন বলেছেন, “আজ আমরা স্মার্টফোনের জন্য ডিবিজি এবং বিওয়াইডি এবং স্মার্ট টিভিগুলির জন্য রেডিয়েন্ট প্রযুক্তির মতো নতুন উৎপাদনকারী অংশীদারদের যুক্ত করে আমাদের প্রতিশ্রুতিকে সাফল্যে রূপায়িত করেছি। এখন আমাদের স্মার্টফোনগুলির ১১% এবং আমাদের ১০০% স্মার্ট টিভি ভারতে উৎপাদিত হয় এবং স্মার্টফোনের বেশিরভাগ উপাদান স্থানীয়ভাবে ভারত থেকে উৎপাদিত বা সংগৃহীত হবে। আমরা সামগ্ৰিক উৎপাদন কেন্দ্র হিসাবে ভারতকে প্রতিষ্ঠা করতে চাইছি” ।

তিনি আরও বলেন যে, “সংস্থাটি শুধুমাত্র ২০২০ সালে ১০,০০০ জনকে নিযুক্ত করেছে। এই মুহূর্তে ভারতে Xiaomi-র কর্মচারীর সংখ্যা ৬০,০০০ এর বেশি। এই কর্মীদের মধ্যে অনেকে সরাসরি সংস্থার হয়ে কাজ করেন এবং অনেক উৎপাদন ইউনিট, পরিষেবা কেন্দ্রের সাথে যুক্ত। ২০২০ সালে, যখন অন্যান্য সংস্থাগুলি তাদের কর্মীদের ছাঁটাই করছিল, তখন আমরা উল্টো পথে হেঁটে বেশি সংখ্যক কর্মচারী নিয়োগে মনোনিবেশ করেছিলাম।”

হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন