দেশে অপরাধ বাড়াতে পারে 5G, নরেন্দ্র মোদীর সাথে বৈঠকে জানালেন পুলিশ কর্তারা

গত বছরের অক্টোবরে চালু হওয়া হাই-স্পিড 5G নেটওয়ার্ক মাদক পাচার ও মানি লন্ডারিংয়ের মতো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে ব্যবহৃত হতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। মনে করা হচ্ছে, এ ধরনের অপরাধে মধ্যস্থতাকারী ও এজেন্টদের কাছে ৫জি নেটওয়ার্ক বন্ধু হয়ে উঠতে পারে। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি রাজ্যগুলির ডায়রেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ (ডিজিপি) এবং ইন্সপেক্টর অফ পুলিশ (আইজিপি) এর বৈঠকে এই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

নিরাপত্তা নিয়ে সমস্যা

এই বৈঠকে উচ্চগতির ইন্টারনেট পরিষেবার অপব্যবহারের কথা লিখিত ভাবে জানিয়েছেন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা। তারা বলছে যে 5G নেটওয়ার্ক সহজেই অ্যাক্সেসযোগ্য এবং উন্মুক্ত ইন্টারনেট প্রোটোকলের উপর নির্মিত এবং এতে পূর্ববর্তী টেলিকম নেটওয়ার্কগুলির প্রায় সমস্ত ত্রুটি বিদ্যমান। তাই সাইবার আক্রমণ বৃদ্ধির পাশাপাশি এটি পুরো সিস্টেমের নিরাপত্তার জন্য বিপজ্জনক হতে পারে।

সেক্ষেত্রে সরকার যদি সরকারি সমস্ত কর্মকাণ্ডের জন্য আলাদা 5G ব্যান্ডউইথ ও সুরক্ষিত কোনো ডিভাইস তৈরি করে, তাহলে নিরাপত্তা বাড়বে বলে মনে করছেন কর্মকর্তারা।

বৈঠকে বেশ কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন

মোদী ছাড়াও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল এবং দেশের প্রায় ৩৫০ শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তা গত সপ্তাহে অনুষ্ঠিত তিন দিনের এই বার্ষিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।