- Home
- »
- অ্যাপ্লিকেশন »
- পুজোর মাসে দেশে বন্ধ হয়েছে 75 লাখের...
পুজোর মাসে দেশে বন্ধ হয়েছে 75 লাখের বেশি WhatsApp অ্যাকাউন্ট, আপনি বিপদসীমায় নেই তো?
ইউজারদের সুবিধার্থে প্লাটফর্মে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে এবং এদেশে নিজেদের ভাবমূর্তি ধরে রাখতে, আবার একটি বড় পদক্ষেপ নিয়েছে...ইউজারদের সুবিধার্থে প্লাটফর্মে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে এবং এদেশে নিজেদের ভাবমূর্তি ধরে রাখতে, আবার একটি বড় পদক্ষেপ নিয়েছে WhatsApp। Meta মালিকানাধীন এই বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় মাল্টিমিডিয়া মেসেজিং অ্যাপটি সম্প্রতি ৭৫ লাখের বেশি অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করেছে। ভারতের নতুন তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ভিত্তিতে, প্রতি মাসের মতোই গত অক্টোবরে WhatsApp এই ব্যবস্থা নিয়েছে। Meta-র বক্তব্য অনুযায়ী, এদেশে গত ১লা অক্টোবর থেকে ৩১শে অক্টোবর সময়ের মধ্যে সংস্থাটি মোট ৭৫,৪৮,০০০ সংখ্যক WhatsApp অ্যাকাউন্ট ব্লক বা ব্যান করেছে – এর মধ্যে ১৯,১৯,০০০টি প্রোফাইল, ইউজারদের অভিযোগের কারণে আগেই নিষিদ্ধ হয়েছিল।
কেন্দ্রের নিয়ম মাফিক প্রতি মাসেই প্ল্যাটফর্ম 'সাফ' করে WhatsApp
প্রতি মাসে হোয়াটসঅ্যাপ একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে, যাতে সেই মাসে নিষিদ্ধ অ্যাকাউন্টগুলির তথ্য দেওয়া থাকে। সেক্ষেত্রে অক্টোবরের রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে যে, চলতি বছরে উৎসবের সময়ে হোয়াটসঅ্যাপ, অ্যাকাউন্ট সম্পর্কিত ৯,০৬৩টি অভিযোগ বা ইউজার রিপোর্ট পেয়েছিল। তার ভিত্তিতেই সংস্থা লক্ষ লক্ষ অস্বাভাবিক অ্যাকাউন্টের খেল খতম করেছে।
কী অভিযোগের ভিত্তিতে WhatsApp অ্যাকাউন্ট ব্যান করা হয়?
প্ল্যাটফর্মের প্রাইভেসি এবং পলিসি কোনোভাবে লঙ্ঘিত হলে হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করা হয়। যেমন, কোনো অ্যাকাউন্ট থেকে মানুষকে আপত্তিকর মেসেজ পাঠানো হলে বা স্প্যাম মেসেজ ছড়ানো হলে রিপোর্টের ভিত্তিত সেই অ্যাকাউন্ট ব্যান করা হতে পারে। জানিয়ে রাখি যে, এর আগে সেপ্টেম্বরে হোয়াটসঅ্যাপ ভারতে ৭১.১ লক্ষ অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করেছিল। এই পরিসংখ্যানের প্রেক্ষিতে বলা যায় যে, নেটিজেনদের অস্বস্তি কার্যত বেড়েই চলেছে!
সাবধান না থাকলে আপনার অ্যাকাউন্টও ব্যান করতে পারে WhatsApp
কেন্দ্র সরকার ২০২১ সালে নতুন আইটি (IT) নিয়ম চালু করার পর, হোয়াটসঅ্যাপ প্রতি মাসে প্রাপ্ত অভিযোগের রিপোর্ট এবং নিষিদ্ধ অ্যাকাউন্টগুলির পরিসংখ্যান প্রকাশ করে – যেমনটা আগেই বলেছি। এর মধ্যে স্প্যাম, ন্যুডিটি ইত্যাদি সংক্রান্ত অভিযোগের উল্লেখ থাকে। ফলত আপনার হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট থেকেও যদি এইরকম গর্হিত কার্যকলাপ হতে দেখা যায়, তবে আপনার অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে পারে কোম্পানি।