লাভ বাড়াতে WhatsApp নিল বড় সিদ্ধান্ত, 1 জুন থেকে প্রতিটি SMS-এর জন্য লাগবে 2.3 টাকা চার্জ

হালফিল সময়ে WhatsApp সাধারণত নতুন ফিচার আনার কারণে আকছার চর্চায় থাকে। তবে মাস শেষে Meta মালিকানাধীন ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং প্ল্যাটফর্মটি অন্য কারণে প্রযুক্তিগত খবরের শিরোনামে উঠে…

হালফিল সময়ে WhatsApp সাধারণত নতুন ফিচার আনার কারণে আকছার চর্চায় থাকে। তবে মাস শেষে Meta মালিকানাধীন ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং প্ল্যাটফর্মটি অন্য কারণে প্রযুক্তিগত খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে। আসলে সম্প্রতি WhatsApp, ইন্টারন্যাশনাল ওয়ান-টাইম পাসওয়ার্ড বা OTP-র জন্য একটি নতুন ক্যাটেগরি চালু করেছে, যাতে করে ভারতে ব্যবসায়িক বার্তা (পড়ুন বিজনেস মেসেজ) পাঠানোর খরচ আগের চেয়ে বেড়ে যাবে। অন্যদিকে এই পদক্ষেপের কোম্পানির নিজের আয় বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। কিন্তু কতটা চার্জ বাড়িয়েছে WhatsApp? ইকোনমিক্স টাইমস (ET)-র রিপোর্ট অনুযায়ী, ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস মেসেজের দাম আগের চেয়ে 20 গুণ বেড়েছে – যার জেরে এসএমএসে ব্যবসা করা ব্যক্তিদের পকেট খানিকটা খালি হবে।
তবে সাধারণ WhatsApp ব্যবহারকারীরা আগের মতোই প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহার করতে পারবেন, চ্যাটিং-কলিং কিংবা ফাইল শেয়ারের জন্য এক টাকাও দিতে হবেনা।

এসএমএসের জন্য কত টাকা চার্জ বাড়িয়েছে WhatsApp?

আগে টেলিকম সংস্থাগুলি লোকাল এসএমএস পাঠানোর জন্য প্রতি মেসেজপিছু 0.12 পয়সা চার্জ করত, যেখানে প্রতিটি আন্তর্জাতিক মেসেজের জন্য লাগত 4.13 টাকা। এক্ষেত্রে হোয়াটসঅ্যাপ, আন্তর্জাতিক এসএমএসপিছু 0.11 পয়সা করে চার্জ করত। কিন্তু এখন সেই অ্যামাউন্ট অনেকটাই বাড়ানো হয়েছে – নতুন নিয়ম অনুযায়ী, প্রতি এসএমএসের জন্য এবার থেকে 2.3 টাকা করে দিতে হবে।

তবে, এখনই এই টাকা গোনার ব্যাপার নেই, কেননা আগামী 1 জুন থেকে এই নিয়ম কার্যকর হবে। আর একবার চালু হলে, এর প্রভাব ভারত ও ইন্দোনেশিয়া উভয় দেশের ব্যবসার ক্ষেত্রে দৃশ্যমান হবে। এদিকে, শুধু হোয়াটসঅ্যাপ নয়, বরঞ্চ তাদের নতুন সিদ্ধান্তের পর অ্যামাজন (Amazon), গুগল (Google) এবং মাইক্রোসফ্ট (Microsoft)-এর মতো অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলিও যোগাযোগ বাজেট বৃদ্ধি করবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। কারণ এতদিন পর্যন্ত হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে ইন্টারন্যাশনাল মেসেজ ভেরিফিকেশন তুলনামূলকভাবে সস্তা থাকায়, ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মগুলি হোয়াটসঅ্যাপকে ভেরিফিকেশন এবং মেসেজ টুল হিসাবে ব্যবহার করছিল। এতে এয়ারটেল (Airtel), জিও (Jio)-র মতো টেলিকম সংস্থাগুলিও ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছিল।

লাভের ক্ষেত্রে পাখির চোখ ভারত, কেন?

বিভিন্ন বৈদেশিক কোম্পানিগুলির জন্য ভারত একটি বড় বাজার। এখন এদেশে মেসেজিং এন্টারপ্রাইজগুলিতে দ্রুত বৃদ্ধি লক্ষ্য করা যাচ্ছে, যাদের বাজার শেয়ার রেকর্ড হয়েছে প্রায় 7,600 কোটি টাকার। মূলত এসএমএস, পুশ মেসেজ, ওটিপি ভেরিফিকেশন, অ্যাপ লগইন, আর্থিক লেনদেন, পরিষেবা সরবরাহের মতো মেসেজ থেকে তাদের এই বাড়বাড়ন্ত। কেননা এখানের মানুষ বড় বেশি ডিজিটাল জীবনে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছেন।