আর FREE থাকবে না WhatsApp, দেখা যাবে বিজ্ঞাপনও? আগেভাগে জেনে নিন হাঁড়ির খবর!

হাতে স্মার্টফোন আছে অথচ দিনে একবারও WhatsApp প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহার করেন না, এমন মানুষ আজকালকার দিনে খুঁজে পাওয়া দায়! বিগত কয়েক বছর ধরে গোটা বিশ্বের মানুষকে…

হাতে স্মার্টফোন আছে অথচ দিনে একবারও WhatsApp প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহার করেন না, এমন মানুষ আজকালকার দিনে খুঁজে পাওয়া দায়! বিগত কয়েক বছর ধরে গোটা বিশ্বের মানুষকে ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং সার্ভিসের মাধ্যমে এক সূত্রে বেঁধে রেখেছে Meta মালিকানাধীন এই WhatsApp, যা ইন্টারনেট কানেকশন থাকলেই ইচ্ছেমতো ব্যবহার করা যায়। এটি সম্পূর্ণ বিনামূল্য একটি পরিষেবা, কেবলমাত্র ইন্টারনেট রিচার্জ ছাড়া এর জন্য কোনো অতিরিক্ত খরচ করতে হয়না। কিন্তু তা সত্ত্বেও বারবার কিছু খবর ভাইরাল হয়, যেখানে বলা হয় WhatsApp ব্যবহারের জন্য ইউজারকে চার্জ বা টাকা দিতে হবে। যেমন, সম্প্রতি আবার এরকমই একটি খবর সামনে এসেছে। এই খবরে দাবি করা হচ্ছে যে, এবার থেকে WhatsApp-এও বিজ্ঞাপন দেখা যাবে, কারণ এর মালিক সংস্থা Meta নিজের আয় বাড়াতে চাইছে। এক্ষেত্রে বিজ্ঞাপন-মুক্ত (বা Ads free) WhatsApp পরিষেবা পেতে নির্দিষ্ট ফি দিতে হবে, যা কোম্পানির লাভের খাতায় যুক্ত হবে। সত্যিই কি তাই? কতটা যুক্তিযুক্ত এই খবর? আসুন জেনে নিই…

চার্জ নেওয়ার খবর অস্বীকার করেছে WhatsApp

যেমনটা আগেই বলেছি, হোয়াটসঅ্যাপের পেইড সার্ভিস নিয়ে ইতিমধ্যেই চর্চা শুরু হয়েছে – বিশেষ করে ভারত এবং ব্রাজিলের বিশাল ইউজারবেসের কাছ থেকে হোয়াটসঅ্যাপ টাকা নেবে বলে শোনা যাচ্ছে। তবে প্ল্যাটফর্মটি এখন নিজেই এই বিষয়ে স্পষ্ট তথ্য দিয়েছে। তাদের বক্তব্য অনুযায়ী, ইউজারদের চার্জ প্রদানের বিষয়টি একেবারে ভুয়ো। কারণ হোয়াটসঅ্যাপ কোম্পানি এই সময় ইন-অ্যাপ অ্যাডভার্টাইজমেন্ট দেখানোর পরিকল্পনা করছেনা, ফলত চার্জ দেওয়ার কোনো প্রসঙ্গও থাকছেনা।

এই বিষয়ে হোয়াটসঅ্যাপের লন্ডন ইউনিটের প্রোডাক্ট ডিরেক্টর অ্যালিস নিউটন-রেক্স বলেছেন যে, হোয়াটসঅ্যাপের বিশাল জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে এমন খবর ছড়ানোর প্রবণতা বহু বছর ধরে চলছে। কিন্তু এগুলি মোটেও সত্যি নয়।

আসলে ভারতে প্রচুর মানুষ মেসেজিং, ফাইল শেয়ারিং, ভিডিও কল থেকে শুরু করে অনলাইন পেমেন্টের মতো কাজের জন্য হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন। অন্যদিকে ব্রাজিলে ট্রেন-বাসের টিকিট বুক করা, অনলাইনে প্রোডাক্ট অর্ডার করা ইত্যাদি সবকিছুই প্ল্যাটফর্মটির সাহায্যে করা হয়ে থাকে। তাই সাধারণ মানুষকে হয়রান করার জন্য বা আর্থিক প্রতারণা জাতীয় কেলেঙ্কারিতে জড়ানোর জন্য এইসব ভুয়ো খবর ছড়ানো হয়।