Malware: ডিভাইসে রয়েছে বিপজ্জনক ভাইরাস বা ম্যালওয়ার, এই লক্ষণগুলি দেখলেই সতর্ক হোন

ভাইরাস হল একটি দূষিত প্রোগ্রাম, যা কম্পিউটারের পারফরম্যান্স স্পিড কমানো, ফাইল ডিলিট করা, ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করা, এমনকি...
SUMAN 22 April 2023 8:01 PM IST

ভাইরাস হল একটি দূষিত প্রোগ্রাম, যা কম্পিউটারের পারফরম্যান্স স্পিড কমানো, ফাইল ডিলিট করা, ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করা, এমনকি কম্পিউটারকে দূর থেকে নিয়ন্ত্রণ করার মতো বিভিন্ন ধরণের কাজ করে থাকে। এক্ষেত্রে ভাইরাস বিভিন্ন উপায়ে কম্পিউটারে প্রবেশ করতে পারে, যেমন - ইমেল অ্যাটাচমেন্টের মাধ্যমে, সংক্রামিত সফ্টওয়্যার ডাউনলোড করলে অথবা ম্যালিশিয়াস ওয়েবসাইট ভিজিট করলে। তাই আপনি যদি চান আপনার কম্পিউটারকে ভাইরাস থেকে সুরক্ষিত রাখতে তবে একটি আপ-টু-ডেট অ্যান্টিভাইরাস সফ্টওয়্যার ইনস্টল করা উচিত। পাশাপাশি যেকোনো ফাইল ডাউনলোড বা লিঙ্কে ক্লিক করার সময় সতর্ক থাকা উচিত। কিন্তু আলোচ্য সাবধানতাগুলি অবলম্বন সত্ত্বেও যদি আপনি কম্পিউটারে কোনো ধরনের সমস্যা শনাক্ত করে থাকেন, তাহলে নিচে ১০টি লক্ষণ আলোচনা করা হল যা আপনার কম্পিউটার ভাইরাস বা ম্যালওয়্যার দ্বারা প্রভাবিত কিনা বুঝতে সাহায্য করবে।

কম্পিউটারে ভাইরাস বা ম্যালওয়্যার আছে কিনা এই ১০টি লক্ষণে বুঝুন

১. কর্মক্ষমতা হ্রাস পেলে

একটি কম্পিউটার বিভিন্ন কারণে ধীরগতির কাজ করতে পারে। যেমন অপারেটিং সিস্টেমের সর্বশেষ আপডেটে বাগ থাকলে ডিভাইস স্লো হয়ে যাওয়া খুবই স্বাভাবিক, অথবা হার্ডওয়্যারের কোনো ত্রুটির কারণেও এমনটা হতে পারে। কিন্তু আরেকটি কারণও আছে যা ডিভাইসের পারফরম্যান্স ধীর করে দেয়। যদি কম্পিউটার সিস্টেমে ভাইরাস বা ম্যালওয়্যার থাকে, তবে তা সিস্টেমের কার্যকারিতাকে বাধা দেয়। এক্ষেত্রে - বুট স্পিড কম হওয়া, অ্যাপস ও সফ্টওয়্যার খুলতে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি সময় নিলে এবং সিস্টেম স্বাভাবিকের চেয়ে ধীরগতিতে চললে বুঝবেন আপনার কম্পিউটার ভাইরাস আক্রান্ত৷

২. কম্পিউটার অস্বাভাবিক আচরণ করলে:

যদি আপনার কম্পিউটার ভাইরাস বা ম্যালওয়্যার দ্বারা প্রভাবিত হয়, তাহলে ডিভাইসে কিছু অপ্রত্যাশিত আচরণ দেখা যাবে। যেমন - স্বয়ংক্রিয়ভাবে শাটডাউন বা রিস্টার্ট এবং কোনো অ্যাপ আপনা থেকে খোলা ও বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো অস্বাভাবিক লক্ষণ নজরে পড়বে।

৩. অপ্রয়োজনীয় পপ আপ এবং বিজ্ঞাপন:

ভাইরাস এবং ম্যালওয়্যারের সবচেয়ে সাধারণ উৎস হল ইন্টারনেট অ্যাডভার্টাইজমেন্ট এবং সফ্টওয়্যার ডাউনলোড। এমন অনেকেই আছেন, যারা ডাউনলোডিং সোর্স যথাযথভাবে যাচাই না করেই অ্যাপ বা সফ্টওয়্যার ইনস্টল করে থাকেন। এমনটা করলে ডিভাইস সহজেই ভাইরাস বা ম্যালওয়্যার দ্বারা আক্রান্ত হবে। তাই আপনি যদি ইন্টারনেট ব্রাউজ করার সময় কোনো অপ্রয়োজনীয় বিজ্ঞাপন বা পপ-আপ দেখতে পান তবে ভুলেও তাতে ক্লিক করবেন না।

৪. ফোল্ডার থেকে ফাইল অনুপস্থিত হয়ে গেলে:

অনেক সময় সিস্টেমে থাকা হাজারো ফোল্ডারের মধ্যে একটিতে ফাইল বা ডকুমেন্ট সেভ করার পর আমরা অনেকেই অন্যমনস্কতার কারণে ভুলে যাই কোথায় সেটি সংরক্ষণ করেছি। যদিও সেই ফাইল খুঁজে বের করারও অনেক উপায় আছে। কিন্তু যদি দেখেন আপনার দ্বারা সেভ করা ফাইলটি খুঁজে পাচ্ছেন না এবং প্রায়শই এমনটা ঘটছে তবে নিশ্চিতভাবে আপনার কম্পিউটারের সিস্টেম ভাইরাস দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে।

৫. ঘন ঘন সিস্টেম ক্র্যাশ এবং এরর মেসেজ এলে:

আপনার কম্পিউটারের সিস্টেম যদি ঘন ঘন ক্র্যাশ হয় বা বারংবার এরর মেসেজ আসে, তবে বুঝবেন ডিভাইসে ভাইরাস বা ম্যালওয়্যার আস্তানা গেড়েছে। কেননা যেকোনো ধরণের দূষিত প্রোগ্রাম আপনার কম্পিউটারকে 'আনস্টেবল' করে তুলতে পারে, যার ফলস্বরূপ ক্র্যাশ সহ অন্যান্য সমস্যা দেখা দিতে পারে।

৬. ওয়েব ব্রাউজার টুলবার বা অ্যাপ্লিকেশন স্বয়ংক্রিয়ভাবে ইনস্টল হলে:

আপনি যদি হঠাৎ লক্ষ্য করেন আপনার কম্পিউটারে একটি নতুন অ্যাপ্লিকেশন বা ব্রাউজারে নতুন ওয়েব টুলবার স্বয়ংক্রিয়ভাবে যোগ হয়েছে অথবা একটি সাধারণ সার্চ পেজ ব্রাউজারে ডিফল্ট হিসাবে সেট আছে, তাহলে বুঝবেন এই সমস্ত কাজ আপনার কম্পিউটারে উপস্থিত ভাইরাস বা ম্যালওয়্যার প্রোগ্রামের পরিচালক হ্যাকার করেছে৷

৭. ফোল্ডারের ভিতরে ডুপ্লিকেট ফোল্ডার তৈরী হলে:

কম্পিউটারে ভাইরাসের উপস্থিতি নিশ্চিত করার সবথেকে 'কমন' লক্ষণগুলির মধ্যে একটি হল ফোল্ডারের ভিতর একটি ডুপ্লিকেট ফোল্ডার তৈরি হওয়া। এই ডুপ্লিকেট ফোল্ডার ডিলিট তো করে দেওয়াই যায়, কিন্তু কিছু সময় পর এটি আবারো উপস্থিত হবে ডিভাইসে। তাই আপনার অজান্তে এমন কিছু হচ্ছে কিনা নজরে রাখুন…

৮. বর্ধিত CPU ব্যবহার:

ম্যালওয়্যার প্রোগ্রাম তৈরি করার কারণই হল ডেটা চুরি করা বা ফিশিং অ্যাটাক পরিচালনা করা। আর এমনটা হলে - কম্পিউটারের ব্যাকগ্রাউন্ডে বিভিন্ন ধরণের অ্যাপ সচল থাকবেই, যার কারণে সিপিইউ (CPU) ব্যবহার তুলনায় অনেকটা বেড়ে যায়।

৯. আকস্মিক ইন্টারনেট ইউসেজ বৃদ্ধি পাওয়া:

সিপিইউ ব্যবহারের মতো যদি আপনার কম্পিউটারের ইন্টারনেট ইউসেজের ক্ষেত্রেও বৃদ্ধি লক্ষ্য করেন, তবে ভাববেন সিস্টেমে ম্যালওয়্যার জাতীয় কিছু উপস্থিত আছে। কারণ ম্যালওয়্যার সফ্টওয়্যারগুলি সংগৃহিত ডেটা ইন্টারনেটের মাধ্যমে লিঙ্কড সার্ভারে পাঠিয়ে থাকে, যার জন্য ডিভাইসের ইন্টারনেট ব্যবহার বৃদ্ধি পায়।

১০. অ্যান্টিভাইরাস বা ম্যালওয়্যার ডিটেকশন অ্যাপ নিষ্ক্রিয় হলে:

যদি দেখেন আপনার কম্পিউটারের অ্যান্টিভাইরাস সফ্টওয়্যারটি আপনা থেকে ডিজেবল হয়ে গেছে বা সঠিকভাবে কাজ করছে না, এটি ভাইরাস বা ম্যালওয়্যার অ্যাটাক সংঘটিত হওয়ার অন্যতম লক্ষণ হতে পারে। জানিয়ে রাখি এই ধরণের দূষিত প্রোগ্রাম কার্যসিদ্ধির জন্য, কম্পিউটারে নতুন অ্যান্টিভাইরাস বা সফ্টওয়্যার আপডেট ইনস্টল করাও আটকাতে পারে৷

Show Full Article
Next Story