এই বিপদজনক মেসেজ আপনার ফোনে এলে সাবধান, হাজার হাজার মানুষ প্রতারিত হয়েছেন

দিন দিন অনলাইন স্ক্যাম ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষ করে এসএমএসের মাধ্যমে জালিয়াতি বেশি করে করা হচ্ছে। সম্প্রতি...
techgup 9 Nov 2023 7:42 PM IST

দিন দিন অনলাইন স্ক্যাম ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষ করে এসএমএসের মাধ্যমে জালিয়াতি বেশি করে করা হচ্ছে। সম্প্রতি McAfee গ্লোবাল স্ক্যাম মেসেজ নিয়ে সমীক্ষা করেছে। যেখানে ভারত সহ ৭,০০০ জনেরও বেশি মানুষ এই গবেষণায় অংশ গ্রহণ করেছে। আর তাতে দেখা গেছে মেসেজের (Online SMS Scam) মাধ্যমে অনলাইন প্রতারণার শিকার হয়েছে অনেক বেশি।

দেখা গেছে, ভারতীয়রা দিনে ১২টি ফেক মেসেজ পেয়ে থাকে, আর তা শনাক্ত করতে তারা সপ্তাহে ১.৮ ঘন্টা ব্যয় করে। আশ্চর্যজনক ভাবে ৮২ শতাংশ ভারতীয় জাল মেসেজগুলি পড়েন। আর এর মধ্যে বিজ্ঞপ্তি এবং অফার সম্পর্কিত মেসেজ থাকে ৬৪ শতাংশ এবং ব্যাঙ্কের সতর্কতার মেসেজ থাকে ৫২ শতাংশ। সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, ভারতে ৬০ শতাংশ হ্যাকাররা এআই ব্যবহার করে মেসেজগুলিকে আরো বিশ্বাসযোগ্য করে তোলার কারণে, এগুলিকে শনাক্ত করা আরো কঠিন হয়ে ওঠে।

আবার ৪৯ শতাংশ মানুষ বলেছেন যে, স্ক্যাম মেসেজগুলি এখন আগের তুলনায় ত্রুটিমুক্ত এবং বিশ্বাসযোগ্য হয়, পাশাপাশি এতে ব্যক্তিগত তথ্য থাকার ফলে মেসেজগুলি শনাক্ত করা আরো কঠিন হয়ে যায়।

আবার, এমন কিছু মেসেজ আছে যেগুলির বিশ্বাস যোগ্যতা অনেক বেশি। যেমন -

  • আপনি একটি পুরস্কার জিতেছেন- ৭২ শতাংশ।
  • জাল চাকরির বিজ্ঞপ্তি বা অফার - ৬৪ শতাংশ।
  • ব্যাঙ্ক অ্যালার্ট মেসেজ - ৫২ শতাংশ।
  • ক্রয় বিক্রয় সম্পর্কিত মেসেজ - ৩৭ শতাংশ।
  • নেটফ্লিক্স সাবস্ক্রিপশন আপডেট - ৩৫ শতাংশ।
  • ফেক মিক্সড ডেলিভারি বা ডেলিভারি সমস্যা - ২৯ শতাংশ।
  • অ্যামাজন সিকিউরিটি অ্যালার্ট বা অ্যাকাউন্ট আপডেট সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি - ২৭ শতাংশ।

দেখা গেছে ভারতীয়রা ফেক মেসেজ শনাক্ত করার জন্য প্রতি সপ্তাহে ১৫০ মিনিট অতিবাহিত করে থাকেন। কারণ, প্রতিদিন তারা ৯০% ইমেইল ও মেসেজ এবং ৮৪% সোশ্যাল মিডিয়াতে ফেক মেসেজ পেয়ে থাকেন। আর, ৮২ শতাংশ মানুষ আবার ক্লিক করে এগুলি দেখেন।

এই ফেক মেসেজগুলির মধ্যে সব থেকে বিশ্বাসযোগ্য মেসেজগুলি হল

  • আপনি একটি পুরস্কার জিতেছেন - ৪১ শতাংশ।
  • ফেক মিসড ডেলিভারি এবং ডেলিভারি সমস্যা- ২৩ শতাংশ।
  • ক্রয় সম্পর্কিত মেসেজ (যা ব্যবহারকারী করেন নি) ২৪ শতাংশ।
  • সাইন ইন এবং লোকেশন ভেরিফিকেশন মেসেজ - ২৪ শতাংশ।

সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ৩৭ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন, এআই চালিত স্ক্যাম বেড়ে যাওয়ার কারণে ডিজিটাল কমিউনিকেশনের উপর তাদের আস্থা কমে গেছে। আর বেশিরভাগ ভারতীয় এখন বুঝে উঠতে পারছেন না যে তারা নিজেদের নিরাপত্তার জন্য সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারছেন কিনা। এই কারণে নিজেকে রক্ষা করার জন্য ২৮ শতাংশ ব্যবহারকারী এসএমএস বা ইমেইলগুলি উপেক্ষা করেন। ২৮ শতাংশ ব্যবহারকারী এসএমএস ব্লক করেন এবং ৩১ শতাংশ মানুষ এই মেসেজগুলি রিপোর্ট করেন।

স্ক্যাম মেসেজ থেকে নিজেকে রক্ষা করার কিছু উপায়

  • মেসেজে ক্লিক করার আগে চিন্তা করুন।
  • বিশ্বাসযোগ্য হলে তবে এটায় ক্লিক করুন।
  • এই ধরনের টেক্সট মেসেজ এবং সোশ্যাল মিডিয়া বা ওয়েব ব্রাউজার থেকে আসা লিঙ্কগুলি ব্লক করতে স্ক্যাম প্রটেকশন সফটওয়্যার ব্যবহার করুন।

Show Full Article
Next Story