4G মোবাইলের জমানা শেষ, বাজারে ছেয়ে যাবে 5G স্মার্টফোনে
গত অক্টোবর মাসের শুরুতেই ভারতে অবশেষে চালু হয়েছে ৫জি নেটওয়ার্ক পরিষেবা। তারপর থেকেই এদেশে ৫জি ফোনের চাহিদা ক্রমবর্ধমান...গত অক্টোবর মাসের শুরুতেই ভারতে অবশেষে চালু হয়েছে ৫জি নেটওয়ার্ক পরিষেবা। তারপর থেকেই এদেশে ৫জি ফোনের চাহিদা ক্রমবর্ধমান গতিতে গতিতে বেড়ে চলেছে। আর এখন একটি নতুন রিপোর্টে প্রকাশ করা হয়েছে যে, ২০২৩ সালের শেষ নাগাদ ভারত ৫জি স্মার্টফোনের সরবরাহ ৪জি স্মার্টফোনের শিপমেন্টকে ছাড়িয়ে যেতে পারে। তাতে ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে যে, ভারতে ক্রমবর্ধমান ৫জি স্মার্টফোনের সরবরাহ আগামী বছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে ১০০ মিলিয়নে পৌঁছে যাবে।
২০২৩ সালের মধ্যেই ভারতে ৪জি ফোনের সরবরাহকে ছাপিয়ে যাবে ৫জি স্মার্টফোনের শিপমেন্ট
কাউন্টারপয়েন্ট ইন্ডিয়া মার্কেট আউটলুক রিপোর্ট অনুসারে, ভারতের স্মার্টফোন ক্রেতাদের মধ্যে ৪জি ফোনের থেকে ৫জি কানেক্টিভিটি যুক্ত হ্যান্ডসেটের চাহিদা ইতিমধ্যেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই এদেশে ৫জি স্মার্টফোনের চালান আগামী বছরের শেষ নাগাদ ৪জি ফোনগুলির শিপমেন্টকে ছাড়িয়ে যাবে বলেই আশা করা হচ্ছে। এই বৃদ্ধির কারণ হল- নিম্ন মূল্যে ৫জি স্মার্টফোনের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি, সেইসাথে ২০২২ সালের শেষার্ধে ৫জি নেটওয়ার্কের রোলআউট৷ প্রকৃতপক্ষে, নিম্ন মূল্যের ব্যান্ডগুলিতে ৫জি স্মার্টফোনগুলির অংশ ৪% থেকে ২০২১ - ২০২২ সালে ১৪%-এ বৃদ্ধি পাবে এবং ২০২৩ সালে ৩০%-এ পৌঁছবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, কোয়ালকম (Qualcomm) এবং মিডিয়াটেক (MediaTek)-এর সস্তা ৫জি চিপসেটের উপলব্ধতা অরিজিনাল ইকুইপমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার (OEM)-দের কম দামের সেগমেন্টে আরও ৫জি ডিভাইস লঞ্চ করতে সক্ষম করেছে, সেই সাথে ৫জি পরিষেবার বাণিজ্যিক রোলআউটের চাহিদাও বেড়েছে।যদিও, ভারতে ৫জি-এর বৃদ্ধি এখনও উপাদান সরবরাহের ঘাটতি, মুদ্রাস্ফীতি, ভূ-রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব এবং অন্যান্য সামষ্টিক অর্থনৈতিক সমস্যাগুলির দ্বারা সীমাবদ্ধ রয়েছে, যা বাজেট সেগমেন্টে ৫জি ডিভাইস চালু করার প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করেছে।
স্মার্টফোন নির্মাতাগুলি ৫জি ডিভাইসের দাম কম রাখার জন্য ডিসপ্লে কোয়ালিটি বা ফাস্ট চার্জিং-এর মত কিছু ফিচার ডাউনগ্রেড করে বাজারে বেশি সংখ্যায় ৫জি হ্যান্ডসেট নিয়ে আসার চেষ্টা করছে। কিন্তু এটি এই দামের রেঞ্জের মধ্যে ৫জি-এর জন্য গ্রাহকদের চাহিদার ওপর প্রভাব ফেলেছে। এছাড়াও, ৫জি নেটওয়ার্কের সীমিত উপলব্ধতাও চাহিদাকে প্রভাবিত করেছে।
এই চ্যালেঞ্জগুলি সত্ত্বেও, ভারতে ৫জি নেটওয়ার্কের প্রতি জনগণের দৃষ্টিভঙ্গি ইতিবাচক। ২০২৩ সালের শেষ নাগাদ এই সীমাবদ্ধতাগুলি সহজ হবে বলে আশা করা হচ্ছে, যার ফলে ৫জি ব্যাপকভাবে গ্রহণ করা হবে। প্রধান অঞ্চলগুলিতে ৫জি নেটওয়ার্কগুলির আরও ভাল প্রাপ্যতা ৫জি সাপোর্টেড ফোনের শিপমেন্টের বৃদ্ধিকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে, যা আগের বছরের তুলনায় ২০২৩ সালে ৬২% বৃদ্ধি পাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।