গতবছর অক্টোবরে ভারতে চালু হয় 5G পরিষেবা। এরপর থেকে বিভিন্ন কোম্পানি একটার পর একটা 5G স্মার্টফোন এদেশে লঞ্চ করে চলেছে। তবে এতদিন বিক্রির নিরিখে 4G কানেক্টিভিটির ফোনই এগিয়ে ছিল। কিন্তু সম্প্রতি কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চের একটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে, ভারতে প্রথমবার চলতি বছরের এপ্রিলে 5G স্মার্টফোনের বিক্রয় হার ৫০% অতিক্রম করেছে।
উক্ত গবেষণা সংস্থার পরিচালক তরুণ পাঠক বলেছেন, ভারতবর্ষকে এখনও অনেক পথ যেতে হবে, বিশেষ করে নেটওয়ার্ক কভারেজের ক্ষেত্রে, তবে এটি নিশ্চিতভাবে একটি মাইলফলক। তিনি জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে 5G পরিষেবা ভারতের সর্বত্র উপলব্ধ না হলেও আশা করা যায় খুব শীঘ্রই এই পরিষেবা দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়বে। ওই রিপোর্টে আরও দাবি করা হয়েছে যে, Samsung সবার আগে দেশে 5G ডিভাইস আনলেও, এক্ষেত্রে OnePlus “প্রকৃত বিজয়ী” হয়ে উঠেছে।
সিনিয়র বিশ্লেষক শিল্পী জৈন বলেছেন, Samsung, 5G ফোনকে সাধারণের নাগালে নিয়ে এলেও, OnePlus-ই কিন্তু আসল বিজয়ী। কারণ তারা গত কয়েক মাসে সমস্ত 5G স্মার্টফোন বিক্রয়ের এক তৃতীয়াংশ নিজেদের দখলে রেখেছে।
স্মার্টফোন বিক্রি বৃদ্ধিতে 5G ফোনের অবদান
পূর্ববর্তী একটি রিপোর্টে এই গবেষণা সংস্থা বলেছিল যে, ২০২৩ সালের প্রথম ত্রৈমাসিকে (Q1-2023) ভারতের স্মার্টফোন শিপমেন্ট গত বছরের হিসেবে (YoY) ১৯ শতাংশ হ্রাস পেলেও, এই ত্রৈমাসিকে ৫জি স্মার্টফোনের কারণে তা বৃদ্ধি পেয়েছে।
রিপোর্টে আরও বলা হয়, ৫জি স্মার্টফোনের বিক্রয় হার প্রথমবারের মতো ৪০ শতাংশ অতিক্রম করে ৪৩ শতাংশে পৌঁছেছে। গ্রাহকরা দ্রুত ৫জি ডিভাইসে আপগ্রেড হচ্ছেন।
প্রথম কোয়ার্টারে ২৪ শতাংশ শেয়ার নিয়ে স্যামসাং ভারতের সেরা ব্র্যান্ড হয়ে উঠেছিল। দক্ষিণ কোরিয়ার কোম্পানিটি গত দুই প্রান্তিকেও ৫জি শিপমেন্টের নিরিখে শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ড ছিল। তবে একটি মডেলের ভিত্তিতে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছিল ওয়ানপ্লাস নর্ড সিই২ লাইট ফোনটি।