নভেম্বর থেকে সমস্ত ফোনে সাপোর্ট করবে 5G, বড় ঘোষণা Airtel এর
বহুদিনের প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে গত অক্টোবরের শুরুতেই ভারতে চালু হয়েছে ৫জি পরিষেবা। আর তারপরই দেশের শীর্ষস্থানীয়...বহুদিনের প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে গত অক্টোবরের শুরুতেই ভারতে চালু হয়েছে ৫জি পরিষেবা। আর তারপরই দেশের শীর্ষস্থানীয় টেলিকম কোম্পানিগুলি বিভিন্ন স্মার্টফোন নির্মাতাদের সহযোগিতায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তের গ্রাহকদের কাছে এই দ্রুততর নেটওর্য়াক পরিষেবাটি পৌঁছে দেওয়ার জন্য নিরন্তর কাজ করে চলেছে। আর এখন দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম টেলিকম অপারেটর ভারতী এয়ারটেল (Bharti Airtel)-এর এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন যে, Apple iPhone ছাড়া, সমস্ত সংস্থার ৫জি-সক্ষম স্মার্টফোনগুলি চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যেই এয়ারটেলের ৫জি নেটওয়ার্ক সাপোর্ট করবে। চলুন এসম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।
iPhone ছাড়া ভারতের সকল ৫জি হ্যান্ডসেটে নভেম্বর থেকেই সাপোর্ট করবে Airtel 5G
কোম্পানির আর্নিংস কল চলাকালীন, ভারতী এয়ারটেলের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর এবং চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার গোপাল ভিট্টল জানিয়েছেন যে, চলতি মাসের মাঝামাঝি থেকেই অ্যাপলের আইফোন ব্যতীত, ভারতে উপলব্ধ ৫জি-এনেবল সকল হ্যান্ডসেটেই এয়ারটেল ৫জি সাপোর্ট করবে। তবে তিনি নিশ্চিত করেছেন যে, অ্যাপল নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই সফ্টওয়্যার আপডেট প্রকাশ করবে এবং ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে তাদের সমস্ত ডিভাইসে এয়ারটেলের ৫জি পরিষেবাগুলি সাপোর্ট করবে৷
এছাড়াও, গোপাল ভিট্টল জানান তারা বর্তমানে এয়ারটেল ৪জি ডেটা সার্ভিসের জন্য নির্ধারিত মূল্যেই ৫জি পরিষেবা প্রদান করছে। তবে, তারা পরবর্তী ৬-৯ মাসের মধ্যেই এই প্রজন্মের পরিষেবাগুলির মূল্য নির্ধারণ করতে পারে। তার কথায়, স্যামসাং (Samsung)-এর প্রায় ২৭টি ৫জি মডেল ভারতের বাজারে উপলব্ধ রয়েছে। তার মধ্যে ১৬টি মডেল ইতিমধ্যেই ৫জি-প্রস্তুত এবং সক্ষম। বাকিগুলি ১০-১২ নভেম্বরের মধ্যে হবে। এদিকে, ওয়ানপ্লাস (OnePlus)-এর সকল ১৭টি ৫জি মডেলে এয়ারটেলের নেটওয়ার্কে কাজ করবে। ভিভো (Vivo)-এর মোট ৩৪টি মডেল এবং রিয়েলমি (Realme)-এর সকল ৩৪টি মডেলে এয়ারটেল ৫জি সাপোর্ট করবে। শাওমি (Xiaomi)-এর মোট ৩৩টি মডেল এবং ওপ্পো (Oppo)-রও ৫জি-সক্ষম ১৪টি মডেলের সবকটিতেই এই সংস্থার ৫জি নেটওয়ার্ক পরিষেবা কাজ করবে। বর্তমানে অ্যাপল (Apple)-এর ১৩টি ৫জি মডেল বাজারে রয়েছে। নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে তাদের সফ্টওয়্যার আপডেট রোলআউট হবে এবং ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে সবকটি ফোনই এয়ারটেল ৫জি-এর জন্য প্রস্তুত হয়ে যাবে।
জানিয়ে রাখি, বাজার গবেষণা সংস্থা আইডিসি (IDC)-এর মতে, ২০২০ থেকে ২০২২ সালের প্রথমার্ধে ৫.১ কোটি ৫জি স্মার্টফোন এদেশের বাজারে সরবরাহ করা হয়েছে এবং ২০২৩ সালের মধ্যে এগুলি ৫০ শতাংশ বাজার শেয়ার অতিক্রম করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তবে, নেটওয়ার্ক এবং মোবাইল ফোনের মধ্যে সামঞ্জস্যের অভাবের কারণে বেশ কয়েকটি ৫জি স্মার্টফোন ৫জি পরিষেবাগুলি অ্যাক্সেস করতে অক্ষম হয়েছে৷ ভিট্টল বলেছেন যে, এয়ারটেল আশা করছে যে ২০২৪ সালের মার্চের মধ্যে ভারতের সমস্ত শহর এবং মূল গ্রামীণ এলাকাগুলিতে এই দ্রুততর নেটওয়ার্ক পরিষেবা পৌঁছে যাবে।
উল্লেখযোগ্যভাবে, গোপাল ভিট্টল প্রকাশ করেছেন যে, ভারতী এয়ারটেল বর্তমানে ৫জি নেটওয়ার্ক নির্মাণের পর্যায়ে রয়েছে এবং তারপর তারা পরবর্তী ৬-৯ মাসের মধ্যে তাদের কি পদক্ষেপ নেওয়া উচিত, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। নেটওয়ার্ক তৈরি হতে শুরু করার সাথে সাথে ৪জি-তে তাদের বিদ্যমান ডেটা ট্র্যাফিকের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ এয়ারটেল ৫জি প্লাসে সরে যাবে৷ এটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ, এটি সংস্থাকে একটি বাটন স্পর্শ করেই ধীরে ধীরে ৫জি-তে আরও বেশি স্পেকট্রাম স্থানান্তর করার অনুমতি দেবে৷ এয়ারটেল ৫জি-তে স্ট্যান্ডঅ্যালোন (Standalone) মোডের পরীক্ষাও শুরু হয়েছে। কিছু এন্টারপ্রাইজ ব্যবহারের ক্ষেত্রে এই মোড প্রাসঙ্গিক হতে পারে বলে ভিট্টল জানান। ভারতী এয়ারটেল ৫জি পরিষেবার রোলআউট ত্বরান্বিত করতে এবং মার্কেট শেয়ার অর্জন করতে প্রতি বছর ২৩,০০০-২৪,০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে পারে৷