Apple A16 Bionic: নতুন প্রসেসরের হতাশজনক পারফরম্যান্স বেগ দেবে আইফোন ১৪ প্রো ক্রেতাদের?
Apple তাদের লেটেস্ট iPhone 14 ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোন সিরিজটি লঞ্চ করেছে। আর বরাবরের মতো, এবছরের আইফোন লাইনআপটিও সারা...Apple তাদের লেটেস্ট iPhone 14 ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোন সিরিজটি লঞ্চ করেছে। আর বরাবরের মতো, এবছরের আইফোন লাইনআপটিও সারা বিশ্বের স্মার্টফোন অনুরাগীদের মধ্যে ব্যাপক উন্মাদনা সৃষ্টি করেছে। এই সিরিজের অধীনে বাজারে আত্মপ্রকাশ করেছে চারটি মডেল- iPhone 14, 14 Plus, 14 Pro এবং 14 Pro Max। তার মধ্যে নয়া 'Plus' মডেলটি iPhone Mini-কে সরিয়ে বড় ডিসপ্লে যুক্ত বিকল্প হিসেবে এই লাইনআপে স্থান করে নিয়েছে। প্রিমিয়াম গ্রেডের এই ডিভাইসগুলি একাধিক নতুন বৈশিষ্ট্য অফার করে। যার মধ্যে জরুরি স্যাটেলাইট সংযোগ, একটি রিফ্রেশড ইউজার ইন্টারফেস অভিজ্ঞতা, উন্নত ক্যামেরা সেটআপ এবং প্রো মডেলগুলিতে A16 Bionic চিপসেটের উপস্থিতি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। iPhone 14 সিরিজটি এখনও গ্রাহকদের হাতে পৌঁছায়নি, তবে এক ব্যক্তি ইতিমধ্যেই একটি iPhone 14 Pro মডেলে গিকবেঞ্চ (Geekbench) ইনস্টল করতে এবং সেটিকে রান করতে সক্ষম হয়েছেন। চলুন বেঞ্চমার্কিং প্ল্যাটফর্মে iPhone 14 Pro কেমন পারফর্ম করলো, তা দেখে নেওয়া যাক।
প্রকাশ্যে এল iPhone 14 Pro-এর Geekbench স্কোর
সুপরিচিত টিপস্টার আইস ইউনিভার্স তার সাম্প্রতিক টুইটে অ্যাপলের এ১৬ বায়োনিক প্রসেসর দ্বারা চালিত একটি নয়া ডিভাইসের গিকবেঞ্চ (Geekbench) ফলাফলটি শেয়ার করেছেন। এটি প্রো মডেল না প্রো ম্যাক্স মডেল, তা স্পষ্ট নয়। তবে এটি আইফোন ১৪ প্রো-এরই বেঞ্চমার্কিং তালিকা হলে অনুমান করা হচ্ছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, এই বেঞ্চমার্কটি সেভাবে চিত্তাকর্ষক নয়। কেননা অ্যাপলের এই লেটেস্ট চিপসেটটি সিঙ্গেল-কোর টেস্টে ১,৮৭৯ পয়েন্ট এবং মাল্টি-কোর টেস্টে ৪,৬৬৪ পয়েন্ট স্কোর করেছে। তুলনা করে দেখলে, পূর্বসূরি এ১৫ বায়োনিক প্রসেসর দ্বারা চালিত আইফোন ১৩ প্রো/প্রো ম্যাক্স মডেলগুলি সাধারণত সিঙ্গেল-কোর টেস্টে প্রায় ১,৭৩০ পয়েন্ট এবং মাল্টি-কোর টেস্টে ৪,৭০০ পয়েন্ট স্কোর করতে সক্ষম হয়েছিল।
সুতরাং, এটি যদি প্রকৃতপক্ষে একটি A16 Bionic চিপসেট দ্বারা চালিত আইফোনের গিকবেঞ্চ স্কোর হয়, তাহলে অ্যাপল কেন লঞ্চের সময় নয়া চিপসেটের সাথে তুলনা করার জন্য গত বছরের A15 Bionic প্রসেসরের পরিবর্তে আরও পুরোনো A13 Bionic-কে বেছে নিয়েছে- সে প্রশ্নের উত্তর মিলতে পারে। অনুমান করা হচ্ছে, কোম্পানি হয়তো নতুন চিপে পারফরম্যান্সের পরিবর্তে দক্ষতার দিকে বেশি গুরুত্ব দিতে চেয়েছে, কারণ তাদের দাবি, A16 Bionic আগের তুলনায় প্রায় ২০% কম শক্তি খরচ করে, যা এফিশিয়েন্সির ক্ষেত্রে যথেষ্ট বড় আপগ্রেড।