ক্রেতাদের ক্ষোভ মেটাতে এবার iPhone 16 সিরিজের প্রত্যেকটি মডেলে এই বড় পরিবর্তন আনছে Apple

গত সপ্তাহেই আপকামিং iPhone 16 সিরিজের সম্ভাব্য ক্যামেরা ফিচার এবং ওয়াই-ফাই ভার্সন সম্পর্কিত তথ্য প্রকাশ্যে এসেছিল। আর আজ জনপ্রিয় অ্যাপল ডিভাইস বিশ্লেষক জেফ পু (Jeff…

গত সপ্তাহেই আপকামিং iPhone 16 সিরিজের সম্ভাব্য ক্যামেরা ফিচার এবং ওয়াই-ফাই ভার্সন সম্পর্কিত তথ্য প্রকাশ্যে এসেছিল। আর আজ জনপ্রিয় অ্যাপল ডিভাইস বিশ্লেষক জেফ পু (Jeff Pu) এই সিরিজের ফোনগুলিতে ব্যবহৃত প্রসেসর সম্পর্কে জানিয়েছন। তিনি দাবি করেছেন যে, Apple ২০২৪ সালে লঞ্চ হতে চলা তাদের নতুন আইফোন লাইনআপের প্রত্যেকটি মডেলে একই সিরিজের প্রসেসর ব্যবহার করবে। আরো সহজ করে বললে, iPhone 16, iPhone 16 Plus, iPhone 16 Pro, এবং iPhone 16 Pro Max -এ A18 চিপসেট দেওয়া হতে পারে। জানিয়ে রাখি, টিম কুকের সংস্থাটি প্রত্যেক বছর তাদের আইফোন সিরিজের বেস মডেলগুলিতে পুরোনো প্রজন্মের এবং ‘Pro’ মডেলে লেটেস্ট প্রজন্মের প্রসেসর দিয়ে থাকে।

A18 চিপসেট সিরিজের সাথে আসবে Apple iPhone 16 সিরিজ

বিশ্লেষক জেফ পু -এর সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুযায়ী, আগামী বছরে আসন্ন আইফোন সিরিজের ক্ষেত্রে বেস মডেলগুলিকে পুরোনো প্রজন্মের চিপসেটের সাথে লঞ্চ করার প্রবণতা ত্যাগ করতে পারে অ্যাপল। পরিবর্তে সংস্থাটি আইফোন ১৬ সিরিজের প্রত্যেকটি মডেলকে নতুন এ১৮ সিরিজের প্রসেসর সহ নিয়ে আসবে। এক্ষেত্রে রিপোর্টে উল্লেখ আছে যে, আইফোন ১৬ এবং আইফোন ১৬ প্লাস -এ নতুন এ১৮ প্রসেসর ব্যবহার করা হবে। আর উচ্চতর আইফোন ১৬ প্রো এবং আইফোন ১৬ প্রো ম্যাক্স ফোনে এ১৮ প্রো এসওসি থাকবে হয়তো।

উল্লেখ্য, Apple চলতি বছর থেকে তাদের ইন-হাউস প্রসেসরের নাম থেকে বায়োনিক (Bionic) শব্দটি সরিয়ে দিয়েছে। সিলিকনের নামকরণ পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে এ১৭ প্রো (A17 Pro)। ফলে সম্ভাবনা আছে যে iPhone 16 সিরিজের ক্ষেত্রেও Apple তাদের প্রসেসরের মার্কেটিং নাম পাল্টে দিতে পারে। যদিও কিছু টেক বিশ্লেষক মনে করছেন, নতুন আইফোন সিরিজে ব্যবহৃত প্রসেসরের নাম এ১৮ (A18) ও এ১৮ প্রো (A18 Pro) নয় বরং এ১৭ বায়োনিক (A17 Bionic) এবং এ১৮ প্রো (A18 Pro) রাখা হবে।

এদিকে, জেফ পু তার রিপোর্টে আরো দাবি করেছেন যে, নয়া এ১৮ (A18) বা এ১৭ (A17) চিপসেটকে N3E নামক TSMC -এর দ্বিতীয় প্রজন্মের ৩এনএম প্রসেসিং নোড ব্যবহার করে তৈরি করা হবে, যা TSMC-এর প্রথম প্রজন্মের N3B ৩এনএম প্রসেসিং নোড ভিত্তিক এসওসি -এর তুলনায় আরো বেশি পাওয়ার এফিসিয়েন্ট হবে বলে মনে করা হচ্ছে।