এবার Smartphone তৈরি করবে সরকারই! সামনে এল কেন্দ্রের নিজস্ব ব্র্যান্ড আনার প্ল্যান
মোদি সরকারের জমানায় যে প্রকল্প উন্নত হয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম হল 'মেক ইন ইন্ডিয়া' ক্যাম্পেইন বা আত্মনির্ভর ভারত...মোদি সরকারের জমানায় যে প্রকল্প উন্নত হয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম হল 'মেক ইন ইন্ডিয়া' ক্যাম্পেইন বা আত্মনির্ভর ভারত কর্মসূচি। মূলত করোনা অতিমারীর সময় থেকে এই প্রকল্পটির ওপর জোর দেওয়া হয়েছে এবং এর অধীনে গৃহীত হয়েছে নানাবিধ পদক্ষেপ। বর্তমানে বেশিরভাগ কোম্পানি ভারতে নিজের স্মার্টফোন থেকে শুরু করে বিভিন্ন ডিভাইস বা যন্ত্রাংশ তৈরি করছে – তাছাড়া জনপ্রিয় অ্যাপ বা ওয়েবসাইটের বদলে ভারতীয় অ্যাপ, সরকারি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ইত্যাদিও বিকশিত হচ্ছে। এমনকি কেন্দ্রের অনুপ্রেরণায় এগিয়েছে ভারতের বিজ্ঞানও – এবিজ্ঞানীরা চন্দ্র-বিজয়ের মুখ দেখেছেন। সেক্ষেত্রে এই মুহূর্তে যে খবর সামনে এসেছে তা চমকপ্রদ তো বটেই, পাশাপাশি ভারতীয়দের জন্য আরও গর্বের বিষয় হতে চলেছে। আসলে অতিসম্প্রতি জানা গিয়েছে যে, ভারত সরকার এখন নিজস্ব স্মার্টফোন ব্র্যান্ড চালু করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। খোদ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীই ফাঁস করেছেন এই পরিকল্পনা।
তাহলে এবার স্মার্টফোন তৈরি করবে সরকারই?
ভারতীয় বাজারে নতুন-পুরোনো মোবাইল ব্র্যান্ডের আধিক্য দেখা যায়। তবে আগামী বছরগুলিতে ভারত সরকারই নিজস্ব একটি মোবাইল ব্র্যান্ড হাজির করতে পারে৷ হালফিলে ফোনপে (PhonePe)-এর ইন্দাস অ্যাপ স্টোর (Indus App Store)-এর লঞ্চ ইভেন্টে কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি তথা টেলিকম মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব অন্তত এমন তথ্যই প্রকাশ করেছেন। বৈষ্ণবের মতে, সরকারের ভারতীয় স্মার্টফোন ব্র্যান্ড ডেভেলপের সিদ্ধান্তের পেছনে 'মেক ইন ইন্ডিয়া' কর্মসূচির অধীনে মোবাইল ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের সাফল্যই কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাছাড়া বর্তমান ইন্ডিয়ান মার্কেটে সম্পূর্ণ ভারতীয় কোনো স্মার্টফোন ব্র্যান্ডের জায়গা শক্ত নেই – Samsung, Apple-এর মতো বিশ্বখ্যাত বৈদেশিক ব্র্যান্ডগুলি এমনকি চীনা কোম্পানিগুলিও এখানে আধিক্য ফলাচ্ছে, আর Micromax বা Lava-র মতো কিছু ভারতীয় ব্র্যান্ডের উপস্থিতি থাকলেও তা একেবারেই জোরালো নয়। তাই, সম্ভবত সরকার এই ছবিতেও পরিবর্তন করতে চাইছে।
কী বলেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব?
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন যে, স্থানীয়ভাবে স্মার্টফোন তৈরির কাজে সাফল্য ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রিকে অনেক আত্মবিশ্বাস এবং ভালো শিক্ষা দিয়েছে। এতে করে এই ইকোসিস্টেমের পার্টনাররা দেশে প্রবেশ করতে এবং কারখানা স্থাপন করতে অনুপ্রাণিত হয়েছে।
তাছাড়া সরকারের ভারতকে সেমিকন্ডাক্টর হাব গড়ে তোলার অভিপ্রায়টিও সবাইকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন অশ্বিনী বৈষ্ণব।
ইভেন্টে, বৈষ্ণব পুনর্ব্যক্ত করেছেন যে, প্রধানমন্ত্রী মোদি ইতিমধ্যেই ভারতে সেমিকন্ডাক্টর ইকোসিস্টেম বিকাশের জন্য আগামী ২০ বছরের ভিত্তিতে একটি রোডম্যাপ তৈরি করেছেন। এছাড়া মাইক্রোন প্ল্যান্টের বর্তমানে নির্মাণের কাজ চলছে, এবং সরকার দেশে সেমিকন্ডাক্টর ইকোসিস্টেমকে আরও শক্তিশালী করতে আরও দুই বা তিনটি অনুমোদন জারি করবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মন্ত্রীর বৈষ্ণবের মতে, তাদের আগামী পাঁচ বছরে কমপক্ষে তিন থেকে চারটি উচ্চ আয়তনের ফ্যাব্রিকেশন প্ল্যান্ট বসানো এবং অন্তত একটি প্রোডাক্ট ক্যাটেগরিকে নিজের অধীনে আনার পরিকল্পনা রয়েছে। আর যেহেতু সেমিকন্ডাক্টর স্মার্টফোনের মূল এবং সবচেয়ে ব্যয়বহুল উপাদান, তাই এর লোকাল ইকোসিস্টেম থাকলে সরকারের পক্ষে দেশে হ্যান্ডসেট ইকোসিস্টেম গড়ে তোলাও সহজ হয়ে যাবে।
চমকের আরেক নাম Indus App Store
ইন্দাস অ্যাপ স্টোরের সাম্প্রতিক লঞ্চ ভারতের হ্যান্ডসেট ইকোসিস্টেম তৈরির প্রাথমিক পর্যায় বলে মনে হচ্ছে। কেননা এই মেড-ইন-ইন্ডিয়া অ্যাপ স্টোরটিকে, গুগল প্লে স্টোর (Google Play Store) এবং অ্যাপলের অ্যাপ স্টোরের (Apple App Store)-এর সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার বিকল্প হিসেবে ডিজাইন করা হয়েছে।