দেশে স্মার্টফোন উৎপাদন বাড়াতে ফের ভর্তুকি ঘোষণা কেন্দ্রের, উৎসাহ দিচ্ছে বিদেশি সংস্থাগুলিকে
দেশে স্মার্টফোন উৎপাদন ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। চীনের উপর নির্ভরশীলতা কমাতে ভর্তুকির ঘোষণা করল কেন্দ্র। স্থানীয় উৎপাদন বাড়াতে বিদেশি সংস্থাগুলিকে উৎসাহ দিচ্ছে সরকার।
মোবাইল ফোন ও ল্যাপটও-সহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ডিভাইস দেশে উৎপাদন করার জন্য ৫০০ কোটি মার্কিন ডলারের ভর্তুকি ঘোষণা করল কেন্দ্র। এই উদ্যোগের লক্ষ্য ক্রমবর্ধমান দেশের প্রযুক্তি শিল্পকে শক্তিশালী করা এবং চীন থেকে আমদানির উপর নির্ভরতা হ্রাস করা। আর্থিক সাহায্য দেওয়ার মাধ্যমে বিদেশি সংস্থাগুলিকে উৎসাহ দিতে চাইছে সরকার। একটা সময় ছিল যখন ভারতে বেশিরভাগ স্মার্টফোন চীন থেকে আনা হত। কিন্তু, বর্তমানে সেই চিত্র অনেকটাই বদলেছে। অ্যাপল-সহ একাধিক বড় সংস্থা ভারতে মোবাইল বানানো শুরু করেছে।
ভারতে বেড়েছে ইলেকট্রনিক্স প্রোডাক্টের উৎপাদন
গত ৬ বছরে, ভারতের ইলেকট্রনিক্স প্রোডাক্টের উৎপাদন দ্বিগুণ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২৪ সালে প্রায় ১১,৫০০ কোটি মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে এই সংখ্যা। এই বৃদ্ধির পিছনে বড় ভূমিকা রয়েছে অ্যাপল এবং স্যামসাংয়ের। এই মুহূর্তে বিশ্বব্যাপী স্মার্টফোনের চতুর্থ বৃহত্তম সরবরাহকারী হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছে ভারত। গ্লোবাল স্মার্টফোন হাব হওয়ার দৌড়ে যা একটি বড় মাইলফলক।
তবে একাধিক দেশ, বিশেষ করে চীন থেকে কম্পোনেন্ট আমদানি করার জন্য সমালোচিত হয়েছে দেশের ইলেকট্রনিক্স শিল্প। যে কারণে প্রিন্টেড সার্কিট বোর্ডের মতো প্রয়োজনীয় অংশগুলি উৎপাদনের জন্য আর্থিক সাহায্য দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এই পদক্ষেপ স্থানীয় উৎপাদনকে বৃদ্ধি করতে এবং বিস্তৃত ইলেকট্রনিক্স পণ্যগুলির জন্য শক্তিশালী সরবরাহ চেইন তৈরি করার ক্ষেত্রে সাহায্য করবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এই ভর্তুকি আগামী দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে পেশ করতে পারে কেন্দ্র। তবে কিছু নির্দিষ্ট মানদন্ড পূরণ করতে পারবে এমন বিদেশি এবং দেশীয় সংস্থাগুলিকেই আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে। এই ভর্তুকির জন্য ইলেকট্রনিক্স মন্ত্রক দ্বারা একটি খসড়া তৈরি করা হচ্ছে। অর্থ মন্ত্রকের অনুমোদন পাওয়ার পর সেটি চূড়ান্ত করা হবে।
কেন্দ্রের লক্ষ্য, ২০৩০ অর্থবছরের মধ্যে ইলেকট্রনিক্স প্রোডাক্ট উৎপাদনকে ৫০,০০০ কোটি মার্কিন ডলারে নিয়ে যাওয়া। এক রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৪ অর্থবছরে, ৮,৯৮০ কোটি ডলার মূল্যের ইলেকট্রনিক্স এবং টেলিকম সরঞ্জাম আমদানি করেছে ভারত। যার অর্ধেকেরও বেশি আমদানি চীন এবং হংকং থেকে করা হয়েছে।
দেশে স্মার্টফোন উৎপাদন ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। চীনের উপর নির্ভরশীলতা কমাতে ভর্তুকির ঘোষণা করল কেন্দ্র। স্থানীয় উৎপাদন বাড়াতে বিদেশি সংস্থাগুলিকে উৎসাহ দিচ্ছে সরকার।