স্মার্টফোনকে ভাঁজ করেই মিটবে মানিব্যাগের প্রয়োজন, এসে গেল নতুন Honor V Purse হ্যান্ডসেট

Honor V Purse: সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে ক্রমশ স্মার্টফোনের ধরণ-ধারণে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। কখনও জনমানসের সুবিধার জন্য মোবাইলে দেওয়া হচ্ছে উন্নত ফিচার, তো কখনো আবার…

Honor V Purse: সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে ক্রমশ স্মার্টফোনের ধরণ-ধারণে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। কখনও জনমানসের সুবিধার জন্য মোবাইলে দেওয়া হচ্ছে উন্নত ফিচার, তো কখনো আবার এই খুদে যন্ত্রের ডিজাইনকে আকর্ষণীয় করে তোলা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে চীনা স্মার্টফোন ব্র্যান্ড Honor গত শুক্রবার একটি অনন্য স্মার্টফোন লঞ্চ করেছে, যার কার্যকারিতা আপনাকে অবাক করে দেবে। আসলে Honor V Purse নামক এই নতুন ফোনটিকে ক্রেতারা হ্যান্ডব্যাগ হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন – উপর দিক থেকে এটিকে ভাঁজ করা যাবে। অর্থাৎ এতদিন পর্যন্ত আমরা ফোনে বিশেষ ডিজাইন বলতে ফোল্ডেবল ক্যাটেগরিকেই প্রত্যক্ষ করে এসেছি, কিন্তু Honor-এর লেটেস্ট ফোনটি সেই চেনা ছবিতেও বড় বদল নিয়ে এসেছে। আসুন এখন Honor V Purse-এর স্পেসিফিকেশন বা বিশেষত্ব এক নজরে দেখে নিই।

Honor V Purse-এর স্পেসিফিকেশন

অনর ভি পার্স আসলে ফোল্ডেবল স্মার্টফোনই। এতে দুটি ডিসপ্লে রয়েছে, যাদের ৪,০০,০০০ বার ভাঁজ করা যাবে। আর ফোন খুললেই ফোনের ডিসপ্লে ট্যাবলেটের মতো বড় হয়ে যাবে। এক্ষেত্রে ডিসপ্লেতে অলওয়েজ অন ডিসপ্লে ফিচার উপলব্ধ থাকবে। বিশেষ বিষয় হল যে, এই অনর স্মার্টফোনটিতে ব্যাগের মতো ফ্যাশনেবল, ইন্টারচেঞ্জ স্ট্র্যাপ ও চেইন দেওয়া হয়েছে। এটি ভাঁজ বা বন্ধ করলে মাত্র ৯ মিমি পুরু আকার নেবে। অন্যদিকে এতে ভেগান লেদার ব্যবহার করা হয়েছে, যার সাথে আছে সবুজ নকশা।

অনর ভি পার্সে স্মার্টফোনে ট্রিপল রিয়ার ক্যামেরা সেটআপের সঙ্গে ফ্ল্যাশ লাইট সাপোর্ট থাকবে বলে জানা গিয়েছে। এছাড়া এর হার্ডওয়্যার এবং সফ্টওয়্যার সম্পর্কে তেমন কোনো তথ্য প্রকাশ্যে আসেনি, বরঞ্চ ফোনটির ডিজাইনই এখন আলোচনার বিষয়। আর, ফোনটির চেহারা দেখে বলা যায়, ইউজাররা তাদের পরনের পোশাক অনুযায়ী ম্যাচ করে এই স্মার্টফোনটি ব্যবহার করতে পারেন। এতে থাকবে একটি ব্যাগের মতো হুক, যার সাহায্যে এটিকে সহজে বহন করা যাবে।

Honor V Purse-এর দাম, লভ্যতা

রিপোর্ট অনুযায়ী, এই অনর ভি পার্স স্মার্টফোনটি বিক্রয়ের জন্য উপলব্ধ বা উৎপাদিত হবেনা। এটি আদতে একটি কনসেপ্ট ফোন। তবে এরকম ফোন বাজারে এলে, ফোল্ডেবল-প্রিমিয়াম স্মার্টফোন সেগমেন্টে অ্যাপল (Apple) এবং স্যামসাং (Samsung)-এর মতো ব্র্যান্ডের প্রাধান্যে যে প্রভাব পড়বে, তাতে সন্দেহ নেই।