5 বছর পর প্রথমবার, এবছরে দাম বাড়তে চলেছে iPhone এর, নয়া রিপোর্ট এল প্রকাশ্যে

প্রত্যেক বছরের ন্যায় ২০২৩ সালের দ্বিতীয়ার্ধে অর্থাৎ সেপ্টেম্বর মাস নাগাদ Apple তাদের পরবর্তী প্রজন্মের আইফোন সিরিজ iPhone 15 লঞ্চ করতে পারে। এক্ষেত্রে আসন্ন লাইনআপের অধীনে…

প্রত্যেক বছরের ন্যায় ২০২৩ সালের দ্বিতীয়ার্ধে অর্থাৎ সেপ্টেম্বর মাস নাগাদ Apple তাদের পরবর্তী প্রজন্মের আইফোন সিরিজ iPhone 15 লঞ্চ করতে পারে। এক্ষেত্রে আসন্ন লাইনআপের অধীনে – iPhone 15, iPhone 15 Plus, iPhone 15 Pro এবং iPhone 15 Pro Max এই চারটি মডেল অন্তর্ভুক্ত থাকবে বলে আশা করছি আমরা। আলোচ্য ডিভাইসগুলির ফিচার সম্পর্কে একাধিক রিপোর্ট ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে। এখন আবার জানা গেছে, টেক জায়ান্টটি হয়তো তাদের হোম-মার্কেটের জন্য আসন্ন এই সিরিজের ‘Pro’ মডেল দুটির প্রারম্ভিক মূল্য পূর্বসূরিদের তুলনায় অনেকটাই বেশি রাখার পরিকল্পনা করছে। এই বিষয়ে এক টেক বিশ্লেষকের দাবি, iPhone 15 সিরিজের ফোনগুলিতে পেরিস্কোপ ক্যামেরা, টাইটানিয়াম ফ্রেম, সলিড-স্টেট বাটন, নব্য প্রজন্মের চিপসেট এবং বেশি র‌্যাম দিতে চাওয়ায় কারণে দাম বাড়ানোর পথে হাঁটতে চাইছে টিম কুকের সংস্থাটি।

দাম বাড়তে চলেছে iPhone 15 সিরিজের প্রো মডেলগুলির

MacRumors তাদের লেটেস্ট রিপোর্টে, টেক বিশ্লেষক জেফ পু (Jeff Pu) -এর একটি রিসার্চ নোটের খানিকটা অংশ তুলে ধরেছেন। যেখানে দাবি করা হয়েছে যে, হোম-মার্কেটে আসন্ন অ্যাপল আইফোন ১৫ সিরিজের ‘প্রো’ মডেলগুলি পূর্বসূরিদের তুলনায় ব্যয়বহুল হবে। এক্ষেত্রে, আলোচ্য ডিভাইসগুলির হার্ডওয়্যার আপগ্রেড করার কারণে সংস্থাটি বাড়তি খরচের বোঝা গ্রাহকদের কাঁধে চাপতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষক জেফ। জানা যাচ্ছে, আইফোন ১৫ প্রো এবং আইফোন ১৫ প্রো ম্যাক্স মডেল দুটিতে – পেরিস্কোপ লেন্স, একটি নতুন টাইটানিয়াম ফ্রেম, সংস্থার নিজস্ব তথা নতুন এ১৭ বায়োনিক (A17 Bionic) চিপসেট এবং বর্ধিত র‌্যাম সহ বিভিন্ন আপগ্রেড দেখা যাবে। এছাড়া অ্যাডিশনাল ট্যাকটিক ইঞ্জিন থেকে হ্যাপটিক ফিডব্যাক বা প্রতিক্রিয়া সহ সলিড-স্টেট বাটনও দেওয়া হতে পারে এই হাই-এন্ড ফোনগুলিতে।

আপনাদের অবগতের জন্য জানিয়ে রাখি, গত পাঁচ বছর ধরে অ্যাপল তাদের হোম-মার্কেটে অর্থাৎ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আইফোন প্রো মডেলগুলির প্রারম্ভিক মূল্য অপরিবর্তিত রাখতে সক্ষম হয়েছে। ফলে, এই খবর যদি সত্যি হয় তাহলে ২০১৭ সালে iPhone X মডেল ঘোষণার পর এই প্রথমবারের জন্য মার্কিন নিবাসীদের বাড়তি টাকা খরচ করে আইফোন কিনতে হবে। প্রসঙ্গত, ডলারের ভ্যালু উর্দ্ধমুখী হওয়ার কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাইরের দেশগুলিতে লেটেস্ট আইফোন মডেলগুলি যথেষ্ট ব্যয়বহুল হয়ে উঠেছে। আর আসন্ন সিরিজটির দাম যদি আরো বাড়িয়ে দেওয়া হয়, তবে ভারতের মতো তৃতীয়-বিশ্বের দেশগুলির ক্রেতাদের পক্ষে আইফোন কেনা খুব একটা সহজসাধ্য হবে না।

ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে iPhone 14 সিরিজের দাম

মার্কিন বাজারে, iPhone 14 -এর দাম ৭৯৯ ডলার থেকে শুরু হয়েছে। আবার iPhone 14 Plus -কে ৮৯৯ ডলার প্রারম্ভিক মূল্যে নিয়ে আসা হয়। আর iPhone 14 Pro এবং iPhone 14 Pro Max মডেলকে যথাক্রমে ৯৯৯ ডলার এবং ১,০৯৯ ডলার প্রারম্ভিক মূল্যে লঞ্চ করেছিল অ্যাপল। অন্যদিকে ভারতের বাজারে iPhone 14, iPhone 14 Plus, iPhone 14 Pro এবং টপ-অফ-দ্য-লাইন iPhone 14 Pro Max মডেলের দাম শুরু হয়েছে যথাক্রমে ৭৯,৯৯০ টাকা, ৮৯,৯০০ টাকা, ১,২৯,৯০০ টাকা ও ১,৩৯,৯০০ টাকা থেকে।

অতএব টেক বিশ্লেষক জেফ লু -এর দাবি সঠিক হলে, আমেরিকায় iPhone 15 সিরিজের প্রো মডেলের প্রারম্ভিক দাম ৯৯৯ ডলারের অধিক রাখা হবে। আর এমনটা হলে, ভারতের বাজারেও পরবর্তী প্রজন্মের আইফোন সিরিজের হাই-এন্ড মডেল-দ্বয়ের দাম একধাক্কায় অনেকটাই বাড়বে।

প্রসঙ্গত, অ্যাপলের আইফোন ১৫ প্রো মডেলগুলির মূল্য বৃদ্ধির খবর এর আগেও আমাদের কানে এসেছে। গত জানুয়ারি মাসে চীনের মাইক্রোব্লগিং সাইট ওয়েইবো -তে এই একই দাবি করেছিলেন এক টিপস্টার। মনে করা হচ্ছে, আসন্ন আইফোন ১৫ সিরিজের নন-প্রো এবং প্রো মডেলগুলির মধ্যে দামের ব্যবধান বাড়াতেই মূলত এই পদক্ষেপ নিতে চলেছে টিম কুকের সংস্থাটি।