হাতে আর 3 মাস, কেমন হবে iPhone সিরিজ? রইল ক্যামেরা, প্রসেসর ও ব্যাটারির খুঁটিনাটি
Apple আর তিন মাস পর অর্থাৎ সেপ্টেম্বরে iPhone 16 সিরিজ লঞ্চ করতে চলেছে বলে জল্পনা শোনা যাচ্ছে। যদিও টেক জায়ান্টটি...Apple আর তিন মাস পর অর্থাৎ সেপ্টেম্বরে iPhone 16 সিরিজ লঞ্চ করতে চলেছে বলে জল্পনা শোনা যাচ্ছে। যদিও টেক জায়ান্টটি অফিশিয়ালি এই নিয়ে কিছু ঘোষণা করেনি। তবে প্রতি বছর তৃতীয় ত্রৈমাসিকে নয়া iPhone লাইনআপ মুক্তি পায়। তাই ২০২৪ সালেও এর কোনো ব্যতিক্রম হবে না বলেই ধরে নেওয়া যায়। এদিকে আগমনের সময় যত এগিয়ে আসছে, ততই গুঞ্জন বাড়তেই থাকছে। ইতিমধ্যেই iPhone 16 লাইনআপের ডিসপ্লে, ব্যাটারি, ক্যামেরা, চিপসেট ইত্যাদির বিবরণ অনলাইনে ফাঁস হয়েছে। আবার পূর্বসূরির তুলনায় নতুন ডিজাইন ও বড় ডিসপ্লের সাথে আসবে এমনটাও দাবি করা হয়েছে। এছাড়া মনে করা হচ্ছে, আগামী ১০ই জুন 'ওয়ার্ল্ডওয়াইড ডেভেলপারস কনফারেন্স' (WWDC) চলাকালীন Apple একাধিক 'আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স' (AI) বৈশিষ্ট্য যুক্ত iOS 18 সফ্টওয়্যার ভার্সনের ঘোষণা করবে। যা Apple iPhone 16 সিরিজে প্রি-লোডেড থাকতে পারে।
Apple iPhone 16 সিরিজের ডিজাইন
আসন্ন আইফোন ১৬ সিরিজের ডিজাইনে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন দেখা যেতে পারে। টিম কুকের সংস্থা প্রথাগত ফিজিক্যাল বাটন সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে বলে জানা গেছে। পরিবর্তে ক্যাপাসিটিভ টাচ সেনসেটিভ বাটন প্রবর্তন করা হতে পারে, যা হ্যাপটিক প্রতিক্রিয়া প্রদান করবে। এর জন্য মডেলগুলিতে অ্যাপলের ট্যাপটিক ইঞ্জিনের সাপোর্ট পাওয়া যাবে।
ক্যামেরা ডিজাইনের কথা বললে, স্ট্যান্ডার্ড আইফোন ১৬ এবং আইফোন ১৬ প্লাস মডেল দুটির পিছনে পিল-আকৃতির মডিউল দেখা যাবে। যাতে উল্লম্ব ভাবে ক্যামেরা সেন্সরগুলি অবস্থান করবে। এই মডিউলে একটি ওয়াইড এবং একটি আল্ট্রা-ওয়াইড লেন্স থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। সেটআপটি স্প্যাচিয়াল ভিডিও রেকর্ডিং ফিচার সাপোর্ট করতে পারে।
ডিজাইনের ক্ষেত্রে আরেকটি উল্লেখযোগ্য সংযোজনের কথা জানা গেছে। আইফোন ১৬ সিরিজে ডেডিকেটেড ক্যাপচার বাটন অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে, যা ওয়ান ট্যাপ ভিডিও রেকর্ডিংয়ের সুবিধা প্রদান করবে। তদুপরি, নতুন অ্যাকশন বাটন এবার সিরিজের প্রত্যেকটি ভ্যারিয়েন্টে উপলব্ধ করা হবে। যেখানে গত বছর শুধুমাত্র 'প্রো' মডেলেই এই বাটন বিদ্যমান ছিল। এছাড়া আসন্ন ফোনগুলি পাঞ্চ-হোল ডিসপ্লে ডিজাইন এবং ইউএসবি টাইপ-সি পোর্ট সহ আসতে পারে।
ডিসপ্লে:
আইফোন ১৬ সিরিজের উচ্চতর ফোনগুলিতে ভিজ্যুয়াল অভিজ্ঞতা উন্নত করার জন্য আরো সরু বেজেল পরিবেষ্টিত তুলনায় বড় ডিসপ্লে দেওয়া হতে পারে। এক্ষেত্রে আইফোন ১৬ প্রো এবং আইফোন ১৬ প্রো ম্যাক্স মডেল দুটির সাথে যথাক্রমে ৬.৩-ইঞ্চি ও ৬.৯-ইঞ্চির টাচস্ক্রীন অফার করতে পারে অ্যাপল। অন্যদিকে স্ট্যান্ডার্ড আইফোন ১৬ এবং আইফোন ১৬ প্লাস পূর্বসূরীর অনুরূপ যথাক্রমে ৬.১-ইঞ্চি ও ৬.৭-ইঞ্চি ডিসপ্লে সহ লঞ্চ হবে হয়তো। প্রত্যেকটি ভ্যারিয়েন্ট ১২০ হার্টজ রিফ্রেশ রেট সাপোর্ট করতে পারে, যা অ্যানিমেশনের স্মুথনেস উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়াবে।
চিপসেট:
iPhone 16 এবং iPhone 16 Plus মডেল দুটি সংস্থার ইন-হাউজ এ১৮ প্রসেসর দ্বারা চালিত হবে হয়তো। তবে উচ্চতর iPhone 16 Pro এবং Pro Max ফোনে আরও অ্যাডভান্স এ১৮ প্রো চিপসেট ব্যবহার করা হতে পারে। উপরন্তু জানা গেছে যে, সিরিজের 'প্রো' মডেলগুলিতে গ্রাফাইট প্যাডের পরিবর্তে গ্রাফিন প্যাড অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এই আপগ্রেডের ফলে হিট ডিসিপেশন সিস্টেম আরো ভালো হবে এবং দীর্ঘ ব্যবহারেরও ডিভাইস ঠান্ডা থাকবে।
ব্যাটারি এবং চার্জিং ক্যাপাসিটি:
যে কোনো স্মার্টফোনের ক্ষেত্রেই ব্যাটারি ও চার্জিং বিভাগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে দাবি করা হয়েছে আপকামিং iPhone 16 সিরিজের ব্যাটারি ও চার্জিং ক্যাপাসিটি উন্নত করা হবে। সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুসারে, iPhone 16 মডেলটি ৩,৫৬১ এমএএইচ ক্যাপাসিটির ব্যাটারি সহ আসতে পারে। iPhone 16 Plus ফোনে ৪,০০৬ এমএএইচ ব্যাটারি ব্যবহার করা হবে হয়তো। আর টপ-এন্ড iPhone 16 Pro Max মডেলে সবথেকে বড় ৪,৬৭৬ এমএএইচ ক্যাপাসিটির ব্যাটারি দেওয়া হতে পারে।
ক্যামেরা:
iPhone 16 Pro Max ফোনের ক্যামেরা বিভাগ বড়সড় আপগ্রেড পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এতে একটি সুপার টেলিফটো পেরিস্কোপ ক্যামেরা থাকবে, যা সম্ভব ৫এক্স-এর বেশি হাই-লেভেল অপটিক্যাল জুম অফার করবে৷ অন্যদিকে iPhone 16 Pro মডেলে ৫এক্স অপটিক্যাল জুম যুক্ত ইন-হাউজ টেট্রাপ্রিজম লেন্স সিস্টেম অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে।
অ্যাপল তাদের আসন্ন আইফোন মডেলগুলির ক্যামেরার জন্য নতুন অ্যান্টি-রিফ্লেক্টিভ অপটিক্যাল কোটিং প্রযুক্তির উপর কাজ করছে বলেও জানা গেছে। এই প্রযুক্তি লেন্স ফ্লেয়ার এবং গোস্টিংয়ের মতো সমস্যা কমাবে। পাশাপাশি অতি উজ্জ্বল বা কম আলো অবস্থাতেও ভাল মানের ছবি ক্যাপচার করতে দেবে।
iPhone 16 Pro এবং iPhone 16 Pro Max মডেলগুলিতে ৪৮ মেগাপিক্সেলের আল্ট্রা ওয়াইড রিয়ার লেন্স দেওয়া হবে। এই লেন্স অতিরিক্ত আলো ক্যাপচার করে ছবিতে আরও ভাল ক্লিয়ারিটি এবং ডিটেলিং প্রদান করবে। একই সাথে কম আলো অবস্থায় ভালো ক্যামেরা পারফরম্যান্স দেবে। এছাড়া আল্ট্রা ওয়াইড মোডে ৪৮ মেগাপিক্সেল ProRAW ফটো সাপোর্ট করবে বলেও জানা গেছে।