বাইরে থেকে চোখেই পড়বে না, iPhone-এ আসতে চলেছে বহু প্রতীক্ষিত পরিবর্তন
অ্যাপল তাদের ফ্ল্যাগশিপ iPhone সিরিজের ফোনগুলিকে নিত্যনতুন প্রযুক্তির মাধ্যমে গ্রাহকদের কাছে আরও আকর্ষণীয় করে তোলার...অ্যাপল তাদের ফ্ল্যাগশিপ iPhone সিরিজের ফোনগুলিকে নিত্যনতুন প্রযুক্তির মাধ্যমে গ্রাহকদের কাছে আরও আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। গত সেপ্টেম্বরে বিশ্ববাজারে লঞ্চ হয়েছে iPhone 14 সিরিজ, এবছর একাধিক নতুন ফিচার ও আপগ্রেডের সাথে বাজার কাঁপাতে আসছে iPhone 15 লাইনআপটি। তবে, আইফোনের পরবর্তী প্রজন্মগুলিকে নিয়েও অনুরাগীদের মধ্যে কৌতূহলের ঘাটতি নেই। এখন এক বিখ্যাত ডিসপ্লে বিশ্লেষক দাবি করেছেন যে, অ্যাপলের আসন্ন iPhone 17 Pro মডেলগুলি অত্যাধুনিক আন্ডার-ডিসপ্লে ফেস আইডি প্রযুক্তির সাথে আত্মপ্রকাশ করবে। এই বৈশিষ্ট্যটি আইফোনে ডিসপ্লে নচের প্রয়োজনীয়তাকে দূর করবে এবং ফোনগুলি সত্যিকারের ফুল-স্ক্রিন ডিজাইন অফার করতে সক্ষম হবে।
ফুল-স্ক্রিন ডিজাইনের জন্য iPhone 17 Pro-এ ব্যবহৃত হতে পারে আন্ডার-ডিসপ্লে ফেস আইডি প্রযুক্তি
ডিসপ্লে সাপ্লাই চেইন কনসালটেন্স (DSCC)-এর সহ প্রতিষ্ঠাতা এবং ডিসপ্লে বিশ্লেষক রস ইয়াং সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করেছেন যে, ২০২৫ সালের আইফোন সিরিজ অর্থাৎ আইফোন ১৭ সিরিজের প্রো মডেলগুলি ব্যবহারকারীদের ফুল স্ক্রিন অভিজ্ঞতা দিতে সক্ষম হবে, কেননা এগুলিতে উদ্ভাবনী আন্ডার ডিসপ্লে ফেস-আইডি প্রযুক্তি ব্যবহৃত হবে, যা বর্তমানের ফেস-আইডি সেন্সরকে প্রতিস্থাপন করবে। তবে, ইয়াং এও উল্লেখ করেছেন যে, এই আন্ডার-ডিসপ্লে ফেস আইডি প্রযুক্তিটি ফ্রন্ট ক্যামেরার জন্য একটি বৃত্তাকার কাটআউটের মধ্যেই অবস্থান করবে।
এই ডিজাইনের ধারাটি ২০২৭-এর "প্রো" আইফোন মডেল আইফোন ১৯ প্রো/ম্যাক্স পর্যন্ত টিকে থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। আর আইফোন ১৯-এর প্রো মডেলগুলি একটি সত্যিকারের "ফুল-স্ক্রিন" লুক অফার করবে, যার মধ্যে ফেসিয়াল রেকগনিশন সেন্সর এবং ফ্রন্ট ক্যামেরা সেন্সর উভয়ই ডিসপ্লের নীচে লুকানো থাকবে।
যদিও, বলা হচ্ছিল যে এই বৈশিষ্ট্যটি আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালের আইফোন ১৬ সিরিজের প্রো মডেলগুলির সাথে আত্মপ্রকাশ করবে। তবে এখন দেখা যাচ্ছে যে, এর জন্য এখনও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে গ্রাহকদের। এই বিলম্বের পিছনে অন্যতম কারণ হল "সেন্সর সমস্যা"। ফ্রন্ট ক্যামেরাটি যাতে নির্বিঘ্নে কাজ করে সেই দিকটি নিশ্চিত করে, আইফোনে আন্ডার-ডিসপ্লে ক্যামেরা সলিউশন ব্যবহারের জন্য অ্যাপলকে অবশ্যই কিছু চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করতে হবে।
উদাহরণস্বরূপ, অতীতের কিছু রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছিল যে এই আন্ডার-ডিসপ্লে ক্যামেরাটি শুধুমাত্র ৪ মেগাপিক্সেলের হবে, যা বর্তমান আইফোন ১৪ প্রো-এ ব্যবহৃত ১২ মেগাপিক্সেলের থেকে অনেকটাই কম৷ সুতরাং, এটি ছবির মানের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
এছাড়াও, যেহেতু iPhone প্রায় ৪০০-৫০০ পিপিআই পিক্সেল ঘনত্ব সহ একটি সুপার রেটিনা ডিসপ্লে ব্যবহার করে, তাই স্ক্রিনের ট্রান্সমিট্যান্স কম। এর ফলে আন্ডার-ডিসপ্লে ফ্রন্ট ক্যামেরা দ্বারা প্রাপ্ত আলোর পরিমাণ ন্যূনতম হবে, যা ছবির গুণমানকে প্রভাবিত করতে পারে। যদি অ্যাপল ট্রান্সমিট্যান্স উন্নত করতে আন্ডার-ডিসপ্লে ফ্রন্ট ক্যামেরাটি যেখানে অবস্থান করবে, সেই স্থানের পিপিআই কম করে, তাহলে পুরো স্ক্রিন এবং আন্ডার-ডিসপ্লে ফ্রন্ট ক্যামেরা এলাকার মধ্যে পিপিআই-এর পার্থক্য একটি "স্ক্রিন ডোর ইফেক্ট" সৃষ্টি করতে পারে, যেখানে ডিসপ্লের পিক্সেলেশন দৃশ্যমান হবে।
উল্লেখ্য, এই সমস্ত চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও, অ্যাপল আগামী iPhone-গুলির জন্য নিখুঁত আন্ডার-ডিসপ্লে ক্যামেরা সলিউশনের বিকাশে কাজ করে চলেছে বলে জানা গেছে, যা ক্যমেরায় তোলা ছবির গুণমানের সাথে আপস না করেই একটি সত্যিকারের ফুল-স্ক্রিন ডিজাইন অফার করবে।