১৬ জিবি র্যাম সহ সবচেয়ে ভালো অ্যামোলেড ডিসপ্লে, iQOO 11 প্রিমিয়াম ফিচারের সাথে ভারতে লঞ্চ হল
প্রতিশ্রুতি মতো আজ অর্থাৎ ১০ই জানুয়ারি ভারতে iQOO 11 স্মার্টফোনকে লঞ্চ করা হল। এটি ইতিমধ্যেই চীন এবং দক্ষিণ-পূর্ব...প্রতিশ্রুতি মতো আজ অর্থাৎ ১০ই জানুয়ারি ভারতে iQOO 11 স্মার্টফোনকে লঞ্চ করা হল। এটি ইতিমধ্যেই চীন এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় উপলব্ধ। আর এখন এদেশেও ফোনটি আত্মপ্রকাশ করলো। বিশেষত্বের কথা বললে, iQOO সংস্থার এই লেটেস্ট ফ্ল্যাগশিপ ডিভাইসটি - ১৪৪ হার্টজ রিফ্রেশ রেটের Samsung E6 AMOLED ডিসপ্লে, সর্বোচ্চ ১৬ জিবি র্যাম, সর্বশেষ অ্যান্ড্রয়েড ১৩ ওএস, কোয়ালকমের নতুন স্ন্যাপড্রাগন ৮ জেন ২ চিপসেট এবং ১২০ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সমর্থিত বড় ব্যাটারির সাথে এসেছে। আবার ফটোগ্রাফির মান উন্নত করতে এতে ভিভো ভি২ (Vivo V2) চিপ থাকছে। এছাড়াও ভিসি লিকুইড কুলিং সিস্টেম, ডুয়েল স্টেরিও স্পিকার সহ একাধিক উল্লেখযোগ্য ফিচারও পাওয়া যাবে এতে। চলুন সদ্য লঞ্চের মুখ দেখা iQOO 11 স্মার্টফোনের দাম, প্রাপ্যতা ও স্পেসিফিকেশন বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।
ভারতে আইকো ১১ -এর দাম ও লভ্যতা (iQOO 11 Price and Availability in India)
ভারতে আইকো ১১ স্মার্টফোনের দাম শুরু হয়েছে ৫৯,৯৯৯ টাকা থেকে। এই বিক্রয় মূল্য ফোনটির ৮ জিবি র্যাম ও ২৫৬ জিবি স্টোরেজ অপশনের। আর ১৬ জিবি র্যাম ও ২৫৬ জিবি স্টোরেজ যুক্ত হাই-এন্ড অপশনের দাম রাখা হয়েছে ৬৪,৯৯৯ টাকা। এটিকে - আলফা (গ্লাস ব্যাক) বা লেজেন্ড (সিলিকন লেদার) কালার বিকল্পে পাওয়া যাবে।
লভ্যতার কথা বললে, সদ্য আগত এই মডেলটি আগামী ১৩ই জানুয়ারি দুপুর ১২টা থেকে ই-কমার্স সাইট অ্যামাজন ইন্ডিয়া এবং সংস্থার অফিসিয়াল ওয়েবসাইট (iQOO.com) -থেকে পাওয়া যাবে। আর প্রথম সেলের অংশ হিসাবে একাধিক অফারও থাকছে। যেমন, ক্রেতারা HDFC এবং ICICI ব্যাঙ্কের ক্রেডিট/ডেবিট কার্ড ব্যবহার করে পেমেন্ট করলে ফ্লাট ৫,০০০ টাকা ইনস্ট্যান্ট ডিসকাউন্ট পেয়ে যাবেন৷ পুরোনো মোবাইল আপগ্রেড করার ক্ষেত্রে ৪,০০০ টাকা পর্যন্ত এক্সচেঞ্জ বোনাসও দেওয়া হবে। সর্বোপরি, অ্যামাজনের প্রাইম মেম্বাররা ধার্য মূল্যের উপর অতিরিক্তভাবে আরো ১,০০০ টাকা ইনস্ট্যান্ট ডিসকাউন্ট হস্তগত করতে পারবেন এবং সেল শুরুর ২৪ ঘন্টা আগেই অর্থাৎ ১২ই জানুয়ারি দুপুর ১২টা থেকে ফোনটির আর্লি অ্যাক্সেস পেয়ে যাবেন।
আইকো ১১ -এর স্পেসিফিকেশন (iQOO 11 Specifications)
আইকো ১১ স্মার্টফোনে রয়েছে কর্নিং গরিলা গ্লাস ভিক্টাস দ্বারা সুরক্ষিত ৬.৭৮-ইঞ্চির ২কে (৩২০০x১৪৪০ পিক্সেল) Samsung E6 AMOLED ডিসপ্লে। এই ডিসপ্লের ডিজাইনটি পাঞ্চ-হোল স্টাইলের (কেন্দ্রীভূত) এবং এটি ১০-বিট কালার, ৫১৭ পিপিআই পিক্সেল ডেনসিটি, ১৪৪ হার্টজ রিফ্রেশ রেট (LTPO 4), এবং ৩০০ হার্টজ টাচ স্যাম্পলিং রেট (১২০০ হার্টজ ইনস্ট্যান্ট) সমর্থন করে। মাল্টিটাস্কিং ও ফাস্ট পারফরম্যান্সের জন্য উক্ত ডিভাইসটি কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৮ জেন ২ প্রসেসর সহ এসেছে। এতে ১৬ জিবি পর্যন্ত LPDDR5x র্যাম এবং ২৫৬ জিবি UFS 4.0 স্টোরেজ পাওয়া যাবে। আবার অপারেটিং সিস্টেম হিসাবে অ্যান্ড্রয়েড ১৩ ভিত্তিক ফানটাচ ওএস ১৩ (Funtouch OS 13) কাস্টম ইউজার ইন্টারফেস প্রিলোডেড থাকছে। সংস্থার তরফ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে যে, এই লেটেস্ট স্মার্টফোনের সাথে ৩ বছরের অ্যান্ড্রয়েড আপডেট এবং ৪ বছরের সিকিউরিটি প্যাচ আপডেট দেওয়া হবে।
নবাগত iQOO 11 ফোনের ব্যাক প্যানেলে ট্রিপল ক্যামেরা সেটআপ রয়েছে৷ এই ক্যামেরাগুলি হল - OIS-এনাবল ৫০ মেগাপিক্সেল Samsung GN5 প্রাইমারি সেন্সর, ৮ মেগাপিক্সেল আল্ট্রা-ওয়াইড অ্যাঙ্গেল লেন্স এবং ২এক্স জুম সহ ১৩ মেগাপিক্সেল টেলিফটো শ্যুটার। আর ডিভাইসের সামনে ১৬ মেগাপিক্সেলের সেলফি স্ন্যাপার দেখা যাবে। জানিয়ে রাখি ফটোগ্রাফির মান উন্নত করতে আলোচ্য ফোনে ভিভো ভি২ (Vivo V2) চিপ ব্যবহার করা হয়েছে, যা কম আলোতেও ভালো ছবি তুলতে সক্ষম।
কানেক্টিভিটির জন্য উক্ত স্মার্টফোনে - ডুয়াল সিম স্লট, ৫জি, ওয়াই-ফাই ৬, ব্লুটুথ ভি৫.৩, GNSS, NFC, এবং ইউএসবি টাইপ-সি পোর্ট অন্তর্ভুক্ত। এতে - ডুয়াল স্টেরিও স্পিকার সিস্টেম, একটি আইআর (IR) সেন্সর এবং অপটিক্যাল ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার পাওয়া যাবে। আর ওভার হিটিংয়ের সমস্যা থেকে ইউজারদের রেহাই দেওয়ার জন্য এটি ভিসি লিকুইড কুলিং সিস্টেমের সাথে এসেছে। পরিশেষে, iQOO 11 স্মার্টফোনে ৫,০০০ এমএএইচ ক্যাপাসিটির ব্যাটারি আছে যা ১২০ ওয়াট ফাস্ট ওয়্যারড চার্জিং প্রযুক্তি সমর্থন করে।