15 হাজার টাকা বাজেটে সুপারহিট Samsung ও Moto-র এই 5G ফোন, কোনটি কেনা বেশি লাভ?

Samsung Galaxy F15 vs Moto G34 5G: ভারতে বাজেট রেঞ্জের স্মার্টফোনের ওপর ক্রেতাদের যে নির্ভরশীলতা, তা কোনো ব্র্যান্ডই ব্যবসায়িক স্বার্থ রক্ষায় কাজে লাগাতে ছাড়ছেনা। বাজারের…

Samsung Galaxy F15 vs Moto G34 5G: ভারতে বাজেট রেঞ্জের স্মার্টফোনের ওপর ক্রেতাদের যে নির্ভরশীলতা, তা কোনো ব্র্যান্ডই ব্যবসায়িক স্বার্থ রক্ষায় কাজে লাগাতে ছাড়ছেনা। বাজারের চাহিদা দেখে Samsung সম্প্রতি Galaxy F15 5G মডেলসহ তাদের সাশ্রয়ী মূল্যের স্মার্টফোন লাইনআপ লঞ্চ করেছে। আবার বছরের গোড়াতে মানে জানুয়ারিতে Moto G34 5G নামক স্মার্টফোন এনেছে Motorola কোম্পানিও। এই দুটি ফোনের দামই ১৫ হাজার টাকার কম এবং দুটিই দুর্দান্ত সব ফিচার অফার করে। সেক্ষেত্রে আপনি যদি এখন কম দামে ভালো (পড়ুন লেটেস্ট) ফোন কিনতে চান, তাহলে Samsung Galaxy F15 5G অথবা Moto G34 5G বিকল্প হিসেবে বেছে নিতে পারেন। আর, এখানে আমরা দুটি ফোনের তুলনামূলক আলোচনা করব, যাতে করে কোন ব্র্যান্ডের ফোনটি কেনা আপনার জন্য লাভজনক হবে তা আপনি নিজেই ঠিক করে নিতে পারবেন।

Samsung Galaxy F15 5G বনাম Moto G34 5G: কোন ফোনটি সেরা?

দামের ফারাক

স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ১৫ ৫জি ফোনটি দুটি স্টোরেজ ভ্যারিয়েন্টে আসে – এর মধ্যে ৪ জিবি ও ১২৮ জিবি সংস্করণটি ১২,৯৯৯ টাকায় কেনা যাবে, যেখানে ৬ জিবি ও ১২৮ জিবি স্টোরেজ মডেলের দাম পড়বে ১৪,৪৯৯ টাকা। অন্যদিকে মোটো জি৩৪ ৫জি ফোনটিরও দুটি ভার্সন আছে, এর ৪ জিবি ও ১২৮ জিবি স্টোরেজ ভ্যারিয়েন্টের দাম ১০,৯৯৯ টাকা এবং ৮ জিবি ও ১২৮ জিবি মডেল কিনতে ১১,৯৯৯ টাকা মূল্য দিতে হবে।

স্পেসিফিকেশনের ফারাক

  • ডিজাইন: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ১৫ ৫জি-তে ট্রিপল রিয়ার ক্যামেরাসহ ‘Galaxy S’ সিরিজের ওয়াটার-ডাউন ডিজাইন রয়েছে। এটি তিনটি আকর্ষণীয় রঙে উপলব্ধ – গ্রোভি ভায়োলেট, জ্যাজি গ্রিন এবং অ্যাশ ব্ল্যাক। তুলনামূলকভাবে মোটো জি৩৪ ৫জি ফোনটি আয়তক্ষেত্রাকার ক্যামেরা ডিজাইনের সাথে আসে। এরও তিনটি রঙ – আইস ব্লু, চারকোল ব্ল্যাক এবং ওশান গ্রিন বিকল্প হিসেবে মিলবে।
  • ডিসপ্লে: দুটি ফোনের ডিসপ্লে সাইজ একই – ৬.৫ ইঞ্চি। তবে স্যামসাংয়ের ফোনটিতে সুপার অ্যামোলেড (sAMOLED) স্ক্রিন আছে, যেখানে মোটোরোলার ফোনে আইপিএস এলসিডি ডিসপ্লে দেখা যাবে।
  • প্রসেসর: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ১৫ ৫জি ফোনে মালি জি৫৭ এমসি২ জিপিইউয়ের সাথে মিডিয়াটেক ডাইমেনসিটি ৬১০০+ প্রসেসর দেওয়া হয়েছে, সাথে আছে ৬ জিবি পর্যন্ত র‍্যাম। আবার মোটোরোলা জি৩৪ ৫জি স্মার্টফোনটি অ্যাড্রেনো ৬১৯ জিপিইউসহ কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৬৯৫ প্রসেসর আছে, এটি ৮ জিবি পর্যন্ত র‍্যাম অফার করে।
  • ব্যাটারি: স্যামসাংয়ের লেটেস্ট ফোনটিতে ২৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সাপোর্টযুক্ত ৬,০০০ এমএএইচ ব্যাটারি আছে। তবে মোটোরোলা জি৩৪ ৫জি কিনলে ১৮ ওয়াট চার্জিং সাপোর্টবিশিষ্ট ৫,০০০ এমএএইচ ব্যাটারি পাবেন।
  • ক্যামেরা: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ১৫ ৫জি ফোনে ৫০ মেগাপিক্সেল প্রাইমারি ক্যামেরা, ৫ মেগাপিক্সেল আল্ট্রা-ওয়াইড অ্যাঙ্গেল এবং ২ মেগাপিক্সেল ডেপ্থ ক্যামেরাযুক্ত ট্রিপল রিয়ার ক্যামেরা সেটআপ রয়েছে৷ এক্ষেত্রে মোটো জি৩৪ ৫জি ফোনটি ৫০ মেগাপিক্সেল প্রাইমারি ক্যামেরা এবং ২ মেগাপিক্সেল ম্যাক্রো লেন্সযুক্ত ডুয়াল রিয়ার ক্যামেরা সেটআপ দেখা যাবে।

এক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে মোটোরোলার মোটো জি৩৪ ৫জি ফোনটির দাম কম এবং এর প্রসেসর, র‍্যাম ক্যাপাসিটি তথা সামগ্রিক ফিচার তুলনামূলকভাবে কাজের। তাই ডিসপ্লে, ব্যাটারি ব্যাকআপ ও ক্যামেরার সাথে সামান্য আপোষ করা সম্ভব হলে এটিই কেনা সঠিক সিদ্ধান্ত হবে।