কোম্পানির 55 বছরের ইতিহাসে এমন ঘটনা প্রথম! বেকায়দায় পড়তে চলেছে Samsung

মহা বিপাকে পড়েছে স্যামসাং (Samsung)। শীঘ্রই হয়তো দক্ষিণ কোরিয়ার প্রযুক্তি সংস্থাটিকে তাদের ৫৫ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের জন্য কর্মী ধর্মঘটেরও সম্মুখীন হতে হবে। এই সংঘাতের কেন্দ্রবিন্দুতে…

মহা বিপাকে পড়েছে স্যামসাং (Samsung)। শীঘ্রই হয়তো দক্ষিণ কোরিয়ার প্রযুক্তি সংস্থাটিকে তাদের ৫৫ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের জন্য কর্মী ধর্মঘটেরও সম্মুখীন হতে হবে। এই সংঘাতের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে বেতন বৃদ্ধির দাবি। বেশ কিছু দিন ধরেই কোম্পানি এবং শ্রমিক সংগঠনের মধ্যে বেতন সংক্রান্ত আলোচনা চলছে। কিন্তু এই আলোচনায় কোনও অগ্রগতি না হলে এবং কোম্পানি তাদের দাবি পূরণ না করলে লেবার ইউনিয়ন ধর্মঘটের হুমকি দিচ্ছে। শ্রমিক সংগঠন উল্লেখযোগ্য বেতন বৃদ্ধির দাবি জানাচ্ছে। যদিও স্যামসাং মাইনে বাড়ানোর ক্ষেত্রে কোনও আপত্তি করেনি, কিন্তু ইউনিয়ন যত শতাংশের বৃদ্ধি চাইছে এবং কোম্পানি তাদের যা বাড়াতে ইচ্ছুক তার মধ্যে যথেষ্ট ব্যবধান রয়েছে।

বেতন বৃদ্ধি নিয়ে Samsung-এর কর্তৃপক্ষ ও কর্মীদের মধ্যে সংঘাত আরও বাড়ল

ন্যাশনাল স্যামসাং ইলেকট্রনিক্স ইউনিয়ন গত ফেব্রুয়ারিতে প্রথম মধ্যস্থতা বৈঠকে স্যামসাংয়ের প্রাথমিক ২.৫% মজুরি বৃদ্ধির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। যদিও স্যামসাং পরে এটিকে সংশোধন করে ২.৮% বৃদ্ধি করার কথা প্রস্তাব করে, যার সাথে বর্ধিত ছুটি এবং স্বাস্থ্যসেবা বিকল্পের মতো অতিরিক্ত সুবিধাগুলিও মিলবে। তবে এটি এখনও ইউনিয়নের কাঙ্ক্ষিত ৮.১% বৃদ্ধির অনেক নীচে রয়েছে।

এই অচলাবস্থা কার্যত কর্মীদের ধর্মঘটের নিয়ে যাচ্ছে, যা ইউনিয়নের ৫৫ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম ঘটতে চলেছে। যদিও ইউনিয়ন ২০২২ সালে ধর্মঘট করার অধিকার সুরক্ষিত করেছিল, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা চূড়ান্ত পদক্ষেপ নেয়নি। তবে, বর্তমান পরিস্থিতি ওয়াকআউটের ব্যাপক ঝুঁকি তৈরি করেছে। সম্ভাব্য ধর্মঘট স্যামসাংয়ের কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি তো করবেই, সেইসাথে এর প্রভাব বৃহত্তর দক্ষিণ কোরিয়ার অর্থনীতিতে পড়তে পারে, যা রীতিমত উদ্বেগের। সংস্থাটি বিশ্বের টেকনোলজি ইন্ডাস্ট্রির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, তাই কর্মী ও কর্তৃপক্ষের মধ্যেকার এই দীর্ঘায়িত সংঘাত সারা বিশ্বের প্রযুক্তি শিল্পের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।

জানিয়ে রাখি, আজ (৮ মার্চ) স্যামসাং কর্তৃপক্ষ এবং কর্মীদের মধ্যে দ্বিতীয় দফার মধ্যস্থতা বৈঠক হবে। কর্মী বিরোধের ফলাফল নির্ধারণের জন্য যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে৷ উভয় পক্ষকেই কোম্পানির স্থায়িত্ব রক্ষা করার পাশাপাশি ইউনিয়নের উদ্বেগের সমাধান করে একটি সমঝোতায় আসার জন্য চাপের সম্মুখীন হতে হচ্ছে।