পারফরম্যান্সের নিরিখে জানুয়ারিতে সেরা Android ফোনের নাম প্রকাশ, রইল তালিকা
বর্তমানে মোবাইল ফোনের বাজার বেশ অস্থিরতার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, বিশেষ করে ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোন মার্কেট। সর্বোত্তম বাজার...বর্তমানে মোবাইল ফোনের বাজার বেশ অস্থিরতার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, বিশেষ করে ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোন মার্কেট। সর্বোত্তম বাজার গ্রহণযোগ্যতার জন্য, বেশ কিছু নির্মাতা সেরা ইন্টিগ্রেশনের বিপরীতে হার্ডওয়্যার স্ট্যাকিং নিয়ে বেশি উদ্বিগ্ন। এটি ব্যাখ্যা করে যে, কেন বহু ফ্ল্যাগশিপ ফোনে কার্যকরী হার্ডওয়্যার থাকা সত্ত্বেও, সেগুলি মিড-রেঞ্জের মডেলের তুলনায় হয়তো সামান্য ভালো পারফরম্যান্স অফার করে। তাই ফ্ল্যাগশিপ ডিভাইস কেনার সময় ইউজাররা সতর্কতা অবলম্বন করে থাকেন। কোন হ্যান্ডসেটটি কেনা হবে, তার সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় ক্রেতারা সাধারণত বিশ্বস্ত উৎসের রিভিউ এবং রেটিংগুলিকে সহায়ক বলে মনে করেন। তেমনই একটি নির্ভরযোগ্য উৎস, বেঞ্চমার্কিং সাইট আনটুটু (AnTuTu) সম্প্রতি ২০২৩-এর জন্য তাদের প্রথম রেটিং তালিকা প্রকাশ করেছে। আসুন তাহলে জানুয়ারি মাসের পারফরম্যান্সের পরিপ্রেক্ষিতে, শীর্ষ ১০টি অ্যান্ড্রয়েড ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোনের তালিকায় কোন কোন মডেলগুলি স্থান করে নিয়েছে, জেনে নেওয়া যাক।
সেরা দশটি অ্যান্ড্রয়েড ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোনের তালিকা প্রকাশ করলো AnTuTu
আনটুটু (AnTuTu)-এর তালিকায় সদ্য লঞ্চ হওয়া ওয়ানপ্লাস ১১ ৫জি প্রথম স্থানে রয়েছে। ১৩,২৫,৮৫৯-এর রানিং গড় স্কোর সহ, এই ডিভাইসটি শীর্ষস্থান দখল করেছে। এতে দ্বিতীয়-প্রজন্মের স্ন্যাপড্রাগন ৮ প্রসেসর, এলপিডিডিআর৫এক্স র্যাম এবং ইউএফএস ৪.০ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এই ডিভাইসটি এই মুহূর্তে বাজারের সেরাগুলির মধ্যে একটি, কারণ এতে হ্যাসেলবাল্ড (Hasselblad)-এর টিউন করা ক্যামেরা সেটআপও রয়েছে, যা তার প্রতিদ্বন্দ্বীদের থেকে ওয়ানপ্লাস ১১-কে আলাদা করে। নতুন স্ব-উন্নত মেমরি জিন রিকম্বিনেশন প্রযুক্তির সাহায্যে অ্যান্ড্রয়েড মেমরি অপারেশনের নীচের স্তরটি সম্পূর্ণরূপে পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে। এই সিস্টেমের এক্সপেরিয়েন্স এখন অনেক উন্নত হয়েছে।
আবার, iQOO 11 Pro দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে এবং এটিতে স্ন্যাপড্রাগন ৮ জেন ২-এর পাশাপাশি একটি অন্তর্নির্মিত স্ব-উন্নত ভি২ ইমেজ সিগন্যাল প্রসেসর (ISP) চিপ রয়েছে। এই হ্যান্ডসেটটি ৪কে (4K) সুপার-সেন্সিং "নাইট ভিশন ডিভাইস" সাপোর্ট করে। এর গড় রানিং স্কোর OnePlus 11-এর থেকে মাত্র কয়েক হাজার পয়েন্ট কম।
তৃতীয় স্থানে রয়েছে, Vivo X90 Pro+। এই ডিভাইসটিও কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৮ জেন ২-এর সাথে এসেছে। এর ক্যামেরা বিভাগে, এতে একটি ১-ইঞ্চি সনি আইএমএক্স৯৮৯ প্রধান ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়েছে। এটিতে স্যামসাং ২কে (2K) ই৬ স্ক্রিনের পাশাপাশি একটি কার্ল জেইস-প্রত্যয়িত লেন্স যুক্ত রয়েছে। কনফিগারেশনটি বেশ বিলাসবহুল এবং এটি এখন পর্যন্ত ভিভোর সবচেয়ে শক্তিশালী হাই-এন্ড মডেল।
তালিকার অন্যান্য মোবাইল ফোনের মধ্যে রয়েছে RedMagic 8 Pro+, iQOO 11, Redmi K60 Pro, Vivo X90 Pro, Xiaomi 13 Pro, Xiaomi 13 এবং Vivo X90। এছাড়াও, সেরা দশটি ফোনের মধ্যে আটটিই কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৮ জেন ২ মডেল। আর বাকি দুটি ফোন মিডিয়াটেক ডাইমেনসিটি ৯২০০ চালিত।