খোদ Apple-এর কাছে বহুমূল্য iPhone 15 Pro Max অর্ডার দিয়েও ভুয়ো ফোন পেলেন ক্রেতা
iPhone Delivery Scam: বিগত কয়েক বছরে অনলাইন শপিংয়ের উপর মানুষের নির্ভরশীলতা যত বেড়েছে বা মানুষ যত বেশি সুবিধা পাচ্ছে,...iPhone Delivery Scam: বিগত কয়েক বছরে অনলাইন শপিংয়ের উপর মানুষের নির্ভরশীলতা যত বেড়েছে বা মানুষ যত বেশি সুবিধা পাচ্ছে, তার সাথে কিছু না কিছু ত্রুটিও সামনে আসছে। যেমন Flipkart, Amazon-এ এক জিনিস অর্ডার করে অন্য প্রোডাক্ট হাতে আসার ঘটনা এখনকার সময়ে নতুন কিছু নয়! বিশেষত বহুমূল্য Apple iPhone-এর অর্ডারে গড়বড়ের খবর এর আগেও শোনা গেছে। তবে সম্প্রতি Apple-এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটই এই অঘটনের সাথে জড়িয়ে গেছে, তাও আবার নিজের দেশে। রিপোর্ট অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যের এক বাসিন্দা সরাসরি Apple-এর ওয়েবসাইট থেকে লেটেস্ট iPhone 15 Pro Max মডেল অর্ডার করেছিলেন, কিন্তু তিনি পেয়েছেন একটি নকল স্মার্টফোন। ঘটনাটি সবচেয়ে উদ্ভট ডেলিভারি স্ক্যাম হিসেবে বাজারে সাড়া ফেলেছে!
Apple-এর ওয়েবসাইট থেকে অর্ডার করেও হাতে এলনা iPhone
ঘটনার শিকার ওই আইফোন ক্রেতা রেডডিট (Reddit)-এর মাধ্যমে অ্যাপলের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে অনলাইনে ডিভাইস অর্ডারের পরিকল্পনা করছেন এমন মানুষদের সতর্ক করেছেন। তাঁর পোস্ট অনুযায়ী, ফ্ল্যাগশিপ আইফোন মডেলটি আনবক্স করার (সোজা ভাষায় খোলার) সময়েই কিছু গলদ তাঁর চোখে পড়ে। এক্ষেত্রে তিনি প্রথম যে জিনিসটি লক্ষ্য করেন তা হল, 'নতুন' ফোনটিতে একটি স্ক্রিন প্রোটেক্টর আগে থেকেই লাগানো আছে। এই দেখে তাঁর মনে হয় যে, কোম্পানি সম্ভবত তাঁকে একটি রিটার্ন ইউনিট পাঠিয়েছে, এরপর তিনি অবাক হয়ে প্যাকেটটি আরও ভালো করে দেখতে শুরু করেন।
পর্যবেক্ষণের সময় তাঁর চোখে আরও নানান জিনিস ধরা পড়ে। তিনি দেখেন যে, ডেলিভারি হওয়া 'আইফোন'-এর ডিসপ্লেও অন্য – তা OLED তো নয়ই, পাশাপাশি এর নিচের দিকে ডিজাইনও অন্যরকম। পরবর্তীতে ফোন সেটআপ করতে গিয়েও তিন হতবাক হয়ে যান। সব দেখেশুনে তিনি পারেন যে অ্যাপল দ্বারা আনুষ্ঠানিকভাবে পাঠানো ডিভাইসটি নকল। এটি আদতে একটি অ্যান্ড্রয়েড ফোন, যাতে Facebook, YouTube-এর মতো অ্যাপ প্রি-ইনস্টল ছিল।
সেক্ষেত্রে ওই ব্যক্তি, নিরাপদ থাকার জন্য নকল ফোনে অ্যাপল আইডিতে সাইন ইন করেননি। বদলে তিনি, প্রাপ্ত কোম্পানির ইমেইল বা ডেলিভারি পার্টনার ডায়নামিক পার্সেল ডিস্ট্রিবিউশন (DPD)-এর কাছ থেকে পাওয়া বিশদ বিবরণ ট্র্যাক করে দেখেন এবং অ্যাপলের কাছে অভিযোগ জানান। আর সংস্থাটিও শীঘ্রই বিষয়টি সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তবে যাইহোক না কেন, পুরো ঘটনাটি যে অত্যন্ত আশ্চর্যজনক এবং ভয়েরও, তাতে সন্দেহ নেই! লাখ টাকার বেশি খরচ করে ফোন কিনে যদি এমন অভিজ্ঞতা হয়, তাও আবার সংস্থার ওয়েবসাইট থেকেই – তাহলে নিশ্চিন্ত থাকা যাবে কি? প্রশ্ন উঠছে…