Vivo V40 vs Vivo V30: দুই সেরা ক্যামেরার ভিভো ফোনের মধ্যে কে সেরা দেখে নিন
Vivo গত মে মাসের ৭ তারিখে ইউরোপ সহ বিভিন্ন আঞ্চলিক বাজারে Vivo V30 সিরিজের ঘোষণা করেছিল। যার অধীনে - Vivo V30 এবং Vivo...Vivo গত মে মাসের ৭ তারিখে ইউরোপ সহ বিভিন্ন আঞ্চলিক বাজারে Vivo V30 সিরিজের ঘোষণা করেছিল। যার অধীনে - Vivo V30 এবং Vivo V30 Pro এসেছিল। আবার ১৭ই জুন সংস্থাটি ইউরোপের বাজারে Vivo V40 SE, Vivo V40 Lite এবং Vivo V40 ফোন উন্মোচন করেছে। যার মধ্যে সিরিজের স্ট্যান্ডার্ড মডেল অর্থাৎ Vivo V40 বিখ্যাত ক্যামেরা প্রযুক্তি ও লেন্স বিকাশকারী ব্র্যান্ড ZEISS নির্মিত রিয়ার ক্যামেরা বিভাগের সাথে এসেছে, যা দুর্দান্ত মোবাইল ইমেজিং অভিজ্ঞতা প্রদান করে। এছাড়া এতে পূর্বসূরি Vivo V30 মডেলের তুলনায় একাধিক আপগ্রেডেড ফিচার বর্তমান। আবার বেশ কয়েকটি সদৃশ্য বৈশিষ্ট্যও লক্ষণীয়। তাই পূর্বসূরি নাকি উত্তরসূরি কে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকছে তা নির্ণয় করতে আজ আমরা Vivo V40 এবং Vivo V30 ফোনের পার্থক্যগুলি নিয়ে আলোচনা করবো।
Vivo V40 vs Vivo V30 : ডিসপ্লে, সেন্সর
ভিভো ভি৪০ ৫জি ফোনে ৬.৭৮-ইঞ্চির ১.৫কে (২৮০০×১২৬০ পিক্সেল) কার্ভড AMOLED ডিসপ্লে আছে। এই ডিসপ্লে - ১২০ হার্টজ রিফ্রেশ রেট, ৪৫২ পিপিআই পিক্সেল ডেনসিটি, ৪৫০০ নিট পিক ব্রাইটনেস এবং ১০০% DCI-P3 কালার গ্যামেট অফার করে। সিকিউরিটি ফিচার হিসাবে ইন-ডিসপ্লে ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার দেওয়া হয়েছে।
রঙ-পরিবর্তনকারী ফ্লোরাইট এজি গ্লাস প্যানেলের সাথে আসা ভিভো ভি৩০ স্মার্টফোনে রয়েছে ৬.৭৮-ইঞ্চির ১.৫কে (২৮০০×১২৬০ পিক্সেল) কার্ভড AMOLED ডিসপ্লে। এই ডিসপ্লে - ১২০ হার্টজ রিফ্রেশ রেট, ৪৫২ পিপিআই পিক্সেল ডেনসিটি, ৩০০ হার্টজ টাচ স্যাম্পলিং রেট, ২৮০০ নিট পিক ব্রাইটনেস, ৮০,০০,০০০:১ কনট্রাস্ট রেশিও এবং ২১৬০ হার্টজ পিডাব্লিউএম ডিমিং প্রযুক্তি সাপোর্ট করে। নিরাপত্তার জন্য ইন-ডিসপ্লে ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার উপলব্ধ।
Vivo V40 vs Vivo V30 : প্রসেসর, অপারেটিং সিস্টেম, র্যাম, স্টোরেজ
ভিভো ভি৪০ ফোন কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৭ জেন ৩ প্রসেসর এবং অ্যাড্রেন ৭২০ জিপিইউ সহ এসেছে। এতে ১২ জিবি LPDDR4X র্যাম এবং ৫১২ জিবি UFS 2.2 স্টোরেজ মিলবে। আবার এই হ্যান্ডসেটে অতিরিক্তভাবে আরো ১২ জিবি এক্সটেন্ডেড র্যাম ফিচারও সাপোর্ট করে। ফোনটি অ্যান্ড্রয়েড ১৪ ভিত্তিক ফানটাচ ওএস ১৪ কাস্টম স্কিন দ্বারা চালিত।
ভিভো ভি৩০ মডেলে কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৭ জেন ৩ প্রসেসর এবং অ্যাড্রেন ৭২০ জিপিইউ ব্যবহার করা হয়েছে। স্টোরেজ হিসাবে ৮ জিবি/১২ জিবি LPDDR4X র্যাম এবং ১২৮ জিবি/২৫৬ জিবি UFS 2.2 রম পাওয়া যাবে। ডিভাইসটি লেটেস্ট অ্যান্ড্রয়েড ১৪ ভিত্তিক ফানটাচওএস ১৪ কাস্টম স্কিনে রান করে।
Vivo V40 vs Vivo V30 : ক্যামেরা সেটআপ
Vivo V40 ফোনের পিছনে পিল আকৃতির ক্যামেরা মডিউল দেখা যাবে, যার মধ্যে - গোলাকৃতির অরা লাইট ফ্ল্যাশ ও ডুয়েল ক্যামেরা অবস্থিত। এই ক্যামেরাগুলি হল - এফ/১.৮৮ অ্যাপারচার সহ ৫০ মেগাপিক্সেল প্রাইমারি সেন্সর + এফ/২.০ অ্যাপারচার ও OIS সমর্থিত ৫০ মেগাপিক্সেল আল্ট্রা-ওয়াইড লেন্স। হ্যান্ডসেটটির রিয়ার ক্যামেরাগুলি জেইস (ZEISS) দ্বারা কো-ইঞ্জিনিয়ার্ড। সেলফি ও ভিডিও কলিংয়ের জন্য এতে এফ/২.০ অ্যাপারচার যুক্ত ৫০ মেগাপিক্সেলের অটোফোকাস ফ্রন্ট-ফেসিং ক্যামেরা দেওয়া হয়েছে।
Vivo V30 ফোনের ব্যাক প্যানেলে আয়তক্ষেত্রাকার ক্যামেরা মডিউল লক্ষণীয়, যার ভিতরে চৌকো আকারের অরা লাইট ফ্ল্যাশ সহ তিনটি ক্যামেরা ইউনিট বিদ্যমান। এই ক্যামেরাগুলি হল - এফ/১.৮৮ অ্যাপারচার, OIS ও ১/১.৫৫-ইঞ্চি সেন্সর সাইজ সহ ৫০ মেগাপিক্সেল প্রাইমারি সেন্সর + ১১৯° ফিল্ড-অফ-ভিউ ও এফ/২.০ অ্যাপারচার যুক্ত ৫০ মেগাপিক্সেল আল্ট্রা-ওয়াইড অ্যাঙ্গেল লেন্স + এফ/২.৪ অ্যাপারচারের ২ মেগাপিক্সেল ফ্লিকার সেন্সর। এদিকে সেলফি ও ভিডিও কলিংয়ের জন্য এতে ৯২° ফিল্ড-অফ-ভিউ এবং এফ/২.০ অ্যাপারচার সহ ৫০ মেগাপিক্সেলের ফ্রন্ট-ফেসিং শ্যুটার বিদ্যমান।
Vivo V40 vs Vivo V30 : ব্যাটারি, রেটিং
ভিভো ভি৪০ ৫জি ফোনে ৮০ ওয়াট ফ্ল্যাশচার্জ প্রযুক্তি সমর্থিত ৫,৫০০ এমএএইচ ক্যাপাসিটির ব্যাটারি আছে। এটি IP68 রেটিং প্রাপ্ত।
ভিভো ভি৩০ স্মার্টফোনে ৫,০০০ এমএএইচ ক্যাপাসিটির ব্যাটারি দেওয়া হয়েছে, যা ইউএসবি টাইপ-সি পোর্টের মাধ্যমে ৮০ ওয়াট ফ্ল্যাশচার্জ ফাস্ট চার্জিং সাপোর্ট করে। এটি IP64 রেটিং প্রাপ্ত।
Vivo V40 vs Vivo V30 : পরিমাপ
Vivo V40 ফোনের পরিমাপ ১৬৪.১৬×৭৪.৯৩×৭.৫৮ মিমি এবং ওজন ১৯০ গ্রাম।
Vivo V30 স্মার্টফোনের পরিমাপ ১৬৪.৩৬×৭৫.১×৭.৪৫ মিমি এবং ওজন ১৮৮ গ্রাম।
Vivo V40 vs Vivo V30 : দাম
ভিভো ভি৪০ ৫জি ফোন আপাতত স্পেনের বাজারে উপলব্ধ। এর দাম থাকছে ৫৯৯ ইউরো (ভারতীয় মূল্যে প্রায় ৫৩,৬০০ টাকা)। এটি - স্টেলার সিলভার এবং নেবুলা পার্পেল কালারে পাওয়া যাবে।
ভারতের বাজারে ভিভো ভি৩০ মোট তিনটি স্টোরেজ কনফিগারেশনের সাথে লঞ্চ হয়েছে। যার মধ্যে ৮ জিবি র্যাম + ১২৮ জিবি স্টোরেজ যুক্ত বেস ভ্যারিয়েন্টের দাম ৩৩,৯৯৯ টাকা রাখা হয়েছে। আর উচ্চতর ৮ জিবি র্যাম + ২৫৬ জিবি স্টোরেজ এবং ১২ জিবি র্যাম + ২৫৬ জিবি স্টোরেজ অপশনের দাম থাকছে যথাক্রমে ৩৫,৯৯৯ টাকা ও ৩৭,৯৯৯ টাকা। এটি - পিকক গ্রিন, আন্দামান ব্লু এবং ক্লাসিক ব্ল্যাক কালার বিকল্পে এসেছে।
Vivo V40 vs Vivo V30 : সিদ্ধান্ত
Vivo V40 ফোন পূর্বসূরি Vivo V30 -এর তুলনায় বেশ কয়েকটি ছোটখাটো আপগ্রেড সহ এসেছে। যেমন সদ্য লঞ্চ হওয়া মডেলটি তুলনায় বেশি ব্রাইটনেস লেভেল, বড় ব্যাটারি, অধিক 5G ব্যান্ড সাপোর্ট, NFC বিকল্পের সুবিধ এবং আরও ভাল স্থায়িত্ব অফার করে। একই ভাবে নতুন হ্যান্ডসেটে ZEISS এর ক্যামেরা আছে (V-সিরিজের অন্যান্য মডেলে অবর্তমান)। যদিও পূর্বসূরির মতো ফ্লিকার সেন্সর এতে নেই। আবার ক্যামেরা মডিউলের আকৃতি ও সেন্সর সংখ্যা ভিন্ন থাকছে। সর্বোপরি Vivo V40 ফোনে এক্সটেন্ডেড র্যাম ফিচার সাপোর্ট করে। নতুন ফোনের ওজন পূর্বসূরির তুলনায় একটু বেশি থাকছে।
অতএব যারা হালকা তথা তুলনায় পোর্টেবল স্টাইলিশ ডিজাইনের ফোন খুঁজছেন তাদের জন্য Vivo V30 আদর্শ। আবার যারা অধিক ভালো ফিচার ও ক্যামেরা পারফরম্যান্স চান তাদের জন্য Vivo V40 উপযুক্ত।