এবার সবচেয়ে পাতলা ফোল্ডেবল ফোন Vivo X Fold 3 ভারতে আসছে

গত 26শে মার্চ Vivo তাদের হোম-মার্কেটে Vivo X Fold 3 এবং X Fold 3 Pro নামের দুটি ফোল্ডেবল ডিভাইস লঞ্চ করে। এখন জানা গেছে...
SUMAN 31 March 2024 11:19 AM IST

গত 26শে মার্চ Vivo তাদের হোম-মার্কেটে Vivo X Fold 3 এবং X Fold 3 Pro নামের দুটি ফোল্ডেবল ডিভাইস লঞ্চ করে। এখন জানা গেছে সংস্থাটি খুব শীঘ্রই ভারতেও এই লেটেস্ট দুটি ফোল্ডেবল স্মার্টফোন উন্মোচন করবে। সাম্প্রতিক একটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে, একসাথে দুটি ফোল্ডেবল ফোন লঞ্চ হবে না। সর্বপ্রথম সিরিজের স্ট্যান্ডার্ড মডেল অর্থাৎ Vivo X Fold 3 এদেশে আত্মপ্রকাশ করতে পারে।

এই হ্যান্ডসেটের ভারতীয় সংস্করণের স্পেসিফিকেশন কিরকম থাকবে তা এখনও প্রকাশ্যে নিয়ে আসা হয়নি। তবে Vivo নিশ্চিত করেছে যে, আসন্ন মডেলটি সবচেয়ে পাতলা ফোল্ডেবল ডিভাইস হিসাবে এদেশের বাজারে পা রাখবে। এক্ষেত্রে ভাঁজ করা অবস্থায় এটি 10.2 মিমি পুরু হবে বলে জানা গেছে। এছাড়া ভারতে আসন্ন Vivo X Fold 3 ফোনের যাবতীয় বিশেষত্ব চীনা ভ্যারিয়েন্টের অনুরূপ থাকবে বলেই আশা করা হচ্ছে।

Vivo X Fold 3 ফোনের স্পেসিফিকেশন (চীনা ভ্যারিয়েন্ট)

নবাগত Vivo X Fold 3 স্মার্টফোনের চীনা ভ্যারিয়েন্টে রয়েছে 8.03-ইঞ্চির 2কে (1,172x2,748 পিক্সেল) E7 AMOLED প্রাইমারি ডিসপ্লে, যা আল্ট্রা-থিন গ্লাস (UTG) দ্বারা সুরক্ষিত। আবার ডিভাইসের পেছনে 6.53-ইঞ্চির গোলাকৃতির AMOLED কভার টাচস্ক্রিন লক্ষ্যণীয়। ভালো পারফরম্যান্স প্রদানের জন্য এতে কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন 8 জেন 2 প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে। স্টোরেজ হিসাবে 16 জিবি পর্যন্ত LPDDR5X র‍্যাম এবং সর্বোচ্চ 1 টেরাবাইট UFS4.0 মেমরি মিলবে। এই ফোল্ডেবল ফোনটি লেটেস্ট অ্যান্ড্রয়েড 14 ভিত্তিক অরিজিনওএস 4 কাস্টম স্কিনে রান করে।

ক্যামেরা বিভাগের কথা বললে, Vivo X Fold 3 স্মার্টফোন ট্রিপল রিয়ার ক্যামেরা সেটআপ সহ লঞ্চ হয়েছে। এই ক্যামেরাগুলি হল - 50 মেগাপিক্সেল VCS প্রাইমারি লেন্স + 50 মেগাপিক্সেল আল্ট্রা-ওয়াইড অ্যাঙ্গেল সেন্সর + 5 মেগাপিক্সেল পোট্রেট শুটার। এদিকে হ্যান্ডসেটটির প্রাইমারি ও কভার উভয় ডিসপ্লেতেই 32 মেগাপিক্সেলের সেলফি অবস্থিত। এছাড়া পাওয়ার ব্যাকআপের জন্য 80 ওয়াট ওয়্যারড ফাস্ট চার্জিং সমর্থিত 5,500 এমএএইচ ক্যাপাসিটির ব্যাটারি থাকছে।

Vivo X Fold 3 ফোনের দাম (চীনা ভ্যারিয়েন্ট)

চিনের বাজারে Vivo X Fold 3 স্মার্টফোন মোট দুটি কালার বিকল্পের সাথে এসেছে, যথা - ফেদার হোয়াইট এবং থিন উইং ব্ল্যাক। এটি চারটি স্টোরেজ কনফিগারেশনে উপলব্ধ। যার মধ্যে 12 জিবি র‍্যাম + 256 জিবি স্টোরেজ যুক্ত বেস মডেলের দাম থাকছে 6,999 ইউয়ান (ভারতীয় মূল্যে প্রায় 80,000 টাকা)। আবার উচ্চতর 16 জিবি র‍্যাম + 256 জিবি স্টোরেজ এবং 16 জিবি র‍্যাম + 512 জিবি স্টোরেজ ভ্যারিয়েন্টের দাম যথাক্রমে 7,499 ইউয়ান (প্রায় 87,800 টাকা) ও 7,999 ইউয়ান (প্রায় 93,600 টাকা) রাখা হয়েছে। এছাড়া টপ-এন্ড 16 জিবি র‍্যাম + 1 টেরাবাইট স্টোরেজ বিকল্পের বিক্রয় মূল্য 8,999 ইউয়ান (প্রায় 1,00,700 টাকা) ধার্য করা হয়েছে৷

Show Full Article
Next Story