DSLR ক্যামেরাকে টেক্কা দেওয়া Vivo X100 Pro ফেল করলো স্ট্রেস পরীক্ষায়

গত ১৩ই নভেম্বর আত্মপ্রকাশ করে Vivo X100 Pro। আর সম্প্রতি এই স্মার্টফোনটি একটি স্ট্রেস পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যায়। ফ্ল্যাগশিপ ডিভাইস হওয়ার দরুন পরীক্ষায় এর পারফরম্যান্স…

গত ১৩ই নভেম্বর আত্মপ্রকাশ করে Vivo X100 Pro। আর সম্প্রতি এই স্মার্টফোনটি একটি স্ট্রেস পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যায়। ফ্ল্যাগশিপ ডিভাইস হওয়ার দরুন পরীক্ষায় এর পারফরম্যান্স নজরকাড়া হবে বলেই আশা করেছিলেন টেক বিশ্লেষকেরা। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়, এই ফোন বেশকয়েকটি সমস্যায় জর্জরিত। যেকারণে স্ট্রেস পরীক্ষার ফলাফলও হতাশাজনক। মনে করা হচ্ছে, Vivo X100 Pro স্মার্টফোনে ব্যবহৃত মিডিয়াটেক ডাইমেনসিটি ৯৩০০ প্রসেসরের কারণে সমস্যাগুলি উদ্ভুত হয়েছে।

স্ট্রেস টেস্টে হতাশাজনক পারফরম্যান্স Vivo X100 Pro স্মার্টফোনের

জানিয়ে রাখি, হাই-এন্ড ভিভো এক্স১০০ প্রো স্মার্টফোন লঞ্চের মাত্র দু’সপ্তাহ আগেই মিডিয়াটেক তাদের লেটেস্ট প্রসেসর ডাইমেনসিটি ৯৩০০ -এর ঘোষনা করে। ফলে মনে করা হয়েছিল, মিডিয়াটেকের এই লেটেস্ট ফ্ল্যাগশিপ প্রসেসরের কারণে ডিভাইসটি যথেষ্টই টপ-নচ পারফরম্যান্স প্রদানে সক্ষম হবে।

তবে সম্প্রতি সাহিল করউল (Sahil Karoul), ভিভো এক্স১০০ প্রো স্মার্টফোনের উপর স্ট্রেস টেস্ট করেন। যার ফলাফল X প্ল্যাটফর্মে তিন শেয়ার করেন। দেখা যায়, পরীক্ষা চলাকালীন ভিভো ব্র্যান্ডিংয়ের এই নয়া হ্যান্ডসেট থার্মাল থ্রটলিং সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে। যার দরুন ফোনের কার্যক্ষমতা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হয়েছে।

সর্বোপরি, পরীক্ষা শুরুর মাত্র দুই মিনিট পরই ডিভাইসে থাকা মিডিয়াটেক ডাইমেনসিটি ৯৩০০ প্রসেসরটি নিজ সর্বোচ্চ পারফরম্যান্সের মাত্র ৪৬% প্রদানে সক্ষম হয়েছে। আবার ডিভাইসে দেখা দেওয়া থার্মাল থ্রটলিং সমস্যার কারণে, চিপসেটের একটি কোরের কর্মক্ষমতা ০.৬ গিগাহার্টজে নেমে এসেছে। যেখানে কিনা উক্ত ফ্ল্যাগশিপ প্রসেসরের এই কোরের সর্বোচ্চ ক্লক স্পিড ৩.২৫ গিগাহার্টজ।

একটি পৃথক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে, মিডিয়াটেক ডাইমেনসিটি ৯৩০০ প্রসেসরে কোনো এফিসিয়েন্ট কোর নেই। যেকারণে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কোর (কর্টেক্স-এক্স৪) বেশি পাওয়ার নিয়ে নিচ্ছে। আর তাই ভিভো এক্স১০০ প্রো স্মার্টফোনে থার্মাল থ্রটলিং সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে।

সাহিল করউল পরিচালিত স্ট্রেস টেস্টের ফলাফলে নেতিবাচক দিক হিসাবে ভিভো এক্স১০০ প্রো স্মার্টফোনের থার্মাল সমস্যার কথা উঠে এসেছে। তবে এই একটি বিভাগ বাদে ডিভাইসটি চিত্তাকর্ষক পারফরম্যান্স প্রদানে সক্ষম বলে জানানো হয়েছে। সর্বোপরি, এইধরণের পরীক্ষা শুধুমাত্র হাই-লোডেড ডিভাইসের সিপিইউ কিরকম কর্মক্ষমতা অফার করবে তা বোঝার জন্য করা হয়ে থাকে। ফলে বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। কারণ বাস্তব জীবনে বা আরো ভালো করে বললে দৈনন্দিন ব্যবহারে একটি স্মার্টফোনে এরকম লোড সাধারণত পরে না।