সুখবর, দাম কমলো Vivo Y56 ও Vivo Y16 এর, লঞ্চের পর এই প্রথম এত কমে কেনা যাবে
আপনারা যারা নিজেদের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে একটি 'ব্র্যান্ড নিউ' স্মার্টফোন কিনতে আগ্রহী, তাদের জন্য আছে একটি বিশেষ সুখবর!...আপনারা যারা নিজেদের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে একটি 'ব্র্যান্ড নিউ' স্মার্টফোন কিনতে আগ্রহী, তাদের জন্য আছে একটি বিশেষ সুখবর! আসলে Vivo আজ ভারতের বাজারে বিদ্যমান তাদের দু-দুটি মিড-রেঞ্জ স্মার্টফোনের দাম কমিয়ে দিয়েছে। এই দুটি মডেল হল Vivo Y16 এবং Vivo Y56। সংস্থার Y-সিরিজের আলোচ্য ফোন-দ্বয়ের মূল্য ১,০০০ টাকা পর্যন্ত হ্রাস করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, সাথে ব্যাঙ্ক কার্ড ডিসকাউন্টও পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছে Vivo। যার ভরপুর লাভ ওঠানো গেলে আরো কয়েক হাজার টাকা সাশ্রয় করা সম্ভব…
Vivo Y56 এবং Vivo Y16 স্মার্টফোনের নতুন দাম
ভিভো ওয়াই৫৬ স্মার্টফোনকে ১৯,৯৯৯ টাকা মূল্যে ভারতে লঞ্চ করা হয়েছিল। কিন্তু ১,০০০ টাকা দাম কমানোর পর এই মডেলের নতুন মূল্য হয়েছে ১৮,৯৯৯ টাকা।
অন্যদিকে ভিভো ওয়াই১৬ স্মার্টফোনকে এদেশে দুটি স্টোরেজ ভ্যারিয়েন্টে নিয়ে আসা হয়, যথা - ৪ জিবি র্যাম + ৬৪ জিবি স্টোরেজ এবং ৪ জিবি র্যাম + ১২৮ জিবি স্টোরেজ। লঞ্চের সময়ে আলোচ্য বিকল্প দুটির দাম যথাক্রমে ১১,৯৯৯ টাকা এবং ১২,৯৯৯ টাকা রাখা হয়। কিন্তু এখন উক্ত ফোনের ৬৪ জিবি স্টোরেজ যুক্ত বেস সংস্করণটির দাম ১,০০০ টাকা এবং ১২৮ জিবির উচ্চতর স্টোরেজ অপশনের দাম ৫০০ টাকা হ্রাস করা হয়েছে। যারপর এগুলিকে যথাক্রমে ১০,৯৯৯ টাকা এবং ১২,৪৯৯ টাকা খরচ করে কেনা যাবে।
প্রসঙ্গত, ভিভো তাদের ভিভো ওয়াই৫৬ স্মার্টফোনের সাথে বেশ কয়েকটি অফার দিচ্ছে। এই ফোনটির ক্রেতারা যদি ICICI, SBI, Kotak Mahindra, IDFC First, Federal, Bank Of Baroda, Yes ব্যাঙ্কের কার্ড অথবা One Card ব্যবহার করে পেমেন্ট করেন তবে ধার্য মূল্যের উপর অতিরিক্তভাবে আরো ১,০০০ টাকা পর্যন্ত ক্যাশব্যাক পেয়ে যাবেন। এছাড়া, ভিভো ভি-শিল্ড প্রোটেকশন প্ল্যান (Vivo V-Shield Protection Plan) -এর মতো অতিরিক্ত বেনিফিটও ওঠানো যাবে।
আগ্রহীরা Vivo Y56 এবং Vivo Y16 স্মার্টফোনকে দেশের সমস্ত অনুমোদিত রিটেল স্টোর থেকে কিনতে পারবেন।
Vivo Y16 এর স্পেসিফিকেশন
২.৫ডি (2.5D) কার্ভড বডি ডিজাইনের সাথে আসা ভিভো ওয়াই১৬ ফোনে ৬.৫১-ইঞ্চির এইচডি প্লাস (১,৬০০x৭২০ পিক্সেল) IPS LCD ডিসপ্লে আছে, যা ৬০ হার্টজ রিফ্রেশ রেট সাপোর্ট করে। ভালো পারফরম্যান্স প্রদানের জন্য এতে মিডিয়াটেক হেলিও পি৩৫ প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে। ডিভাইসটি ৪ জিবি র্যাম এবং ৬৪ জিবি স্টোরেজ সহ এসেছে। যদিও এই ফোনে অতিরিক্তভাবে আরো ১ জিবি ভার্চুয়াল র্যাম ফিচারও সাপোর্ট করে। আবার অপারেটিং সিস্টেম হিসাবে অ্যান্ড্রয়েড ১২ ভিত্তিক ফানটাচ ওএস ১২ (Funtouch OS 12) কাস্টম ইউজার ইন্টারফেস পাওয়া যাবে। এদিকে ইউজারদের ডেটা সুরক্ষিত রাখার জন্য পাওয়ার বাটনে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর এম্বেড করা হয়েছে এবং ফেস আনলক ফিচারের সুবিধাও পাওয়া যাবে।
Vivo Y16 স্মার্টফোনের পিছনে ডুয়েল ক্যামেরা সেটআপ বর্তমান। এই ক্যামেরাগুলি হল ১৩ মেগাপিক্সেল প্রাইমারি সেন্সর এবং ২ মেগাপিক্সেল সেকেন্ডারি লেন্স। এদিকে সেলফি ও ভিডিও কলিংয়ের জন্য এতে ৫ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট-ফেসিং ক্যামেরা মিলবে। তদুপরি গেমাররা এই ডিভাইসে মাল্টি টার্বো এবং আল্ট্রা গেম মোডের সুবিধাও পেয়ে যাবেন, যা গেমিং পারফরম্যান্সের ক্ষেত্রে ফোনটিকে অতিরিক্ত বুস্ট প্রদান করে। কানেক্টিভিটি অপশন হিসাবে – ব্লুটুথ, ওয়াই-ফাই, জিপিএস, ইউএসবি টাইপ-সি পোর্ট এবং ৩.৫মিমি হেডফোন জ্যাক অন্তর্ভুক্ত থাকছে। পাওয়ার ব্যাকআপের জন্য Vivo Y16 স্মার্টফোনে ১০ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং প্রযুক্তি সমর্থিত ৫,০০০ এমএএইচ ক্যাপাসিটির ব্যাটারি আছে।
Vivo Y56 এর স্পেসিফিকেশন
ডুয়েল সিমের ভিভো ওয়াই৫৬ ৫জি ফোনের সামনে দেখা যাবে ৬.৫৮ ইঞ্চির ডিসপ্লে প্যানেল। এই ডিসপ্লের ডিজাইন ওয়াটারড্রপ-নচ স্টাইলের এবং এটি এইচডি প্লাস রেজোলিউশন ও ৬০ হার্টজ রিফ্রেশ রেট সাপোর্ট করে। ডিসপ্লের উপরি অংশে থাকা কাটআউটের মধ্যে ১৬ মেগাপিক্সেলের সেলফি ক্যামেরা লক্ষ্যণীয়। আর ডিভাইসের পিছনে ডুয়েল ক্যামেরা সেটআপ রয়েছে। এই ক্যামেরাগুলি হল ৫০ মেগাপিক্সেলের প্রাইমারি সেন্সর এবং ২ মেগাপিক্সেলের সেকেন্ডারি ক্যামেরা।
ভালো পারফরম্যান্স প্রদানের জন্য Vivo Y56 স্মার্টফোনে মালি জি৫২ জিপিইউ এবং মিডিয়াটেক ডাইমেনসিটি ৭০০ প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে। হ্যান্ডসেটটি অ্যান্ড্রয়েড ১৩ ভিত্তিক ফানটাচ ওএস ১৩ (FunTouch OS 13) ইউজার ইন্টারফেসে রান করে। আবার কানেক্টিভিটির জন্য সামিল রয়েছে - ডুয়েল সিম স্লট, ব্লুটুথ, ওয়াই-ফাই, জিপিএস এবং ইউএসবি টাইপ-সি পোর্ট। পাওয়ার ব্যাকআপের ক্ষেত্রে আলোচ্য ৫জি ফোনে ১৮ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং প্রযুক্তি সমর্থিত ৫,০০০ এমএএইচ ব্যাটারি দেওয়া হয়েছে। পরিশেষে সিকিউরিটি ফিচার হিসাবে Vivo Y56 5G ফোনে সাইড-মাউন্টেড ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার মিলবে।