LCD, OLED নাকি AMOLED, স্মার্টফোনের জন্য কোন ধরণের ডিসপ্লে সেরা? জেনে নিন ফারাক
সময়ের সাথে মোবাইল ফোন অনেক বদলে গেছে, এখন স্মার্টফোন রূপেই এর আমাদের জীবনে যতো প্রভাব-প্রতিপত্তি! এদিকে এই স্মার্টফোনের...সময়ের সাথে মোবাইল ফোন অনেক বদলে গেছে, এখন স্মার্টফোন রূপেই এর আমাদের জীবনে যতো প্রভাব-প্রতিপত্তি! এদিকে এই স্মার্টফোনের ধরণ-ধারণও দিন দিন পাল্টাচ্ছে, বিশেষ করে মুঠোফোনের ডিসপ্লেতে এখন রকমফের চোখে পড়ার মতো। বিগত কয়েক বছরে যে শুধু ফোনের ডিসপ্লের সাইজ বড় হয়েছে তা নয়, একইসাথে এতে LCD, OLED এবং AMOLED-র মতো প্রকারভেদ দেখা যাচ্ছে। যেমন Nothing-এর মতো কোম্পানি সম্প্রতি OLED ডিসপ্লেযুক্ত স্মার্টফোন লঞ্চ করেছে, অন্যদিকে Samsung, Xiaomi-র মতো কোম্পানির বেশিরভাগ ফোনে দেখা যাচ্ছে AMOLED ডিসপ্লে। সেক্ষেত্রে বাজারে উপলব্ধ এই রকম ডিসপ্লেওয়ালা ফোনের মধ্যে কোনটি ভালো হবে, সেই ভেবে বিভ্রান্ত হওয়াটাই স্বাভাবিক। তবে আপনি যদি এই ভাবনার মধ্যে থাকেন এবং স্মার্টফোনের বিভিন্ন ডিসপ্লের মধ্যে পার্থক্য জানতে আগ্রহী হন, তাহলে এই প্রতিবেদনে আপনি সমস্ত উত্তর পেয়ে যাবেন। কারণ এখানে আমরা LCD, OLED, AMOLED – প্রতিটি ডিসপ্লের ধরন সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করে কোনটি সবচেয়ে ভালো মানের তা বলব।
কোন ডিসপ্লে ফোনে থাকলে মিলবে সেরা অভিজ্ঞতা?
১. LCD: এলসিডির মানে লিকুইড ক্রিস্টাল ডিসপ্লে, যা তুলনামূলকভাবে সস্তা। তবে এর ভিউয়িং অ্যাঙ্গেল সীমিত এবং ব্যাকলাইট সবসময় চালু থাকে। ফলত এই ধরণের ডিসপ্লেতে বিদ্যুৎ খরচ বেশি হয়।
২. OLED: ওলেড হল অর্গানিক লাইট এমিটিং ডায়োড। এই ডিসপ্লেগুলি এলসিডিগুলির তুলনায় আরও ভালো কনট্রাস্ট, আরও প্রাণবন্ত রঙ এবং গাঢ় কালো রঙ অফার করে। এগুলি পাতলা, হালকা ও বেশি ফ্লেক্সিবল হয়। কিন্তু কোম্পানিগুলি এলসিডিগুলির চেয়ে বেশি ব্যয়বহুল গণ্য করে এই ওলেড ডিসপ্লে বেশি ব্যবহার করেনা।
৩. AMOLED: অ্যাক্টিভ ম্যাট্রিক্স অর্গানিক লাইট এমিটিং ডায়োড আসলে ওলেড ডিসপ্লে প্রযুক্তিরই একটি উন্নত সংস্করণ, যা প্রতিটি পৃথক পিক্সেল নিয়ন্ত্রণ করতে একটি সক্রিয় ম্যাট্রিক্স প্রযুক্তি বা থিন-ফিল্ম ট্রানজিস্টর (TFT) ব্যবহার করে। আজকাল বেশির ভাগ ফোনেই এই ডিসপ্লে দেখা যায়। এর সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হল যে এটি কম শক্তি খরচ করে। এটি তার এক প্লাস পয়েন্ট।
তুলনামূলক বিচার করলে দেখা যাবে, এলসিডি খরচের দিক থেকে সবচেয়ে বেশি লাভজনক, তবে এর ভিজ্যুয়াল অভিজ্ঞতা ওলেডের থেকে দুর্বল। আবার কালার অ্যাকুরেসি ও পাওয়ার এফিসিয়েন্সির দিক থেকে অ্যামোলেড, ওলেড ডিসপ্লের থেকে ভালো। এই ধরণের ডিসপ্লে থাকলে ফোনের ব্যাটারিও ভালো থাকে। তাই অ্যামোলেড ডিসপ্লে বিশিষ্ট স্মার্টফোন কেনাই শ্রেয়!