Realme নাকি OnePlus? বিশ্বের প্রথম 32GB র্যামের স্মার্টফোন এনে বাজিমাত করবে কে
পার্সোনাল কম্পিউটার বা স্মার্টফোনে যে কোনও কাজ করার জন্য র্যান্ডম অ্যাক্সেস মেমরি বা র্যাম (RAM) অপরিহার্স। তবে...পার্সোনাল কম্পিউটার বা স্মার্টফোনে যে কোনও কাজ করার জন্য র্যান্ডম অ্যাক্সেস মেমরি বা র্যাম (RAM) অপরিহার্স। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে দৈনন্দিন ব্যবহার বা মৌলিক কাজের জন্য ৮ জিবি র্যাম প্রয়োজনের থেকেও বেশি। এমনকি গেমিং বা ভিডিও এডিটিংয়ের জন্য সাধারণত ১৬ জিবি র্যাম যথেষ্ট। কিন্তু সম্প্রতি স্মার্টফোন নির্মাতারা ফ্ল্যাগশিপ মডেলে ২৪ জিবি র্যাম দিতে শুরু করেছে এবং ভবিষ্যতে লঞ্চ করতে চলা ডিভাইসে র্যামের পরিমাণ আরও বৃদ্ধির পরিকল্পনা করছে। এখন জল্পনা বাড়িয়ে এক সূত্রের দাবি, ২৪ জিবির পর এবার ৩২ জিবি র্যামের ফোন শীঘ্রই বাজারে লঞ্চ হতে পারে। তবে এই পরিমাণ র্যামের কি সত্যিই প্রয়োজন রয়েছে, তাই নিয়েই এখন উঠছে প্রশ্ন।
আগামী দিনের ফোনে মিলবে 32GB র্যাম
টিপস্টার ডিজিটাল চ্যাট স্টেশন দাবি করেছেন যে, স্মার্টফোনের জন্য ইতিমধ্যেই ৩২ জিবি র্যাম পরীক্ষা করা হচ্ছে। ওই চীনা টিপস্টার প্রকাশ করেননি যে কোন ব্র্যান্ডগুলি এই পরিমাপ র্যাম যুক্ত হ্যান্ডসেট বাজারে আনার প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে আগের ট্রেন্ডগুলি দেখলে, অনুমান করা যায় যে এটি রিয়েলমি (Realme), ওয়ানপ্লাস (OnePlus) বা নুবিয়া (Nubia) হতে পারে। যারা ইতিমধ্যেই বিশাল ২৪ জিবি র্যাম সহ স্মার্টফোন লঞ্চ করেছে, যেগুলির মধ্যে রেড ম্যাজিক ৮এস প্রো ছিল সর্বপ্রথম। এছাড়া, ওয়ানপ্লাস এস ২ প্রো এবং রিয়েলমি জিটি ৫-এও এই বিশাল র্যাম রয়েছে।
যখন, স্মার্টফোনে ২৪ জিবি র্যাম ব্যবহারের খবরটি প্রথম শোনা গিয়েছিল, তখন মনে করা হয়েছিল যে এটি কিছু ক্ষেত্রে কার্যকর হতে পারে। যেমন, ফোল্ডেবল স্মার্টফোনগুলিতে এরকম বড় আকারের র্যাম থাকলে ইউজাররা উপকৃত হতে পারেন, কারণ এই ডিভাইসগুলি হল একটি প্রোডাক্টিভ গ্যাজেট, যাকে একই সময়ে একাধিক কাজ সম্পাদন করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। গেমিং স্মার্টফোনগুলিতেও ২৪ জিবি র্যাম কার্যকরী হতে পারে। কিন্তু এর জন্য কোনও অত্যন্ত উচ্চমানের পারফরম্যান্সের উন্নতি দেখা যাবে বলে আশা করা উচিত নয়।
কিন্তু বর্তমানে, ফোনে ৩২ জিবি র্যাম থাকার খবরটি এর ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রশ্ন তুলেছে। আপাতত, একটি ফোনে এত বেশি র্যামের প্রয়োজন নেই, কারণ বেশিরভাগ কাজ কম ক্ষমতার র্যাম দিয়েই করা যায়৷ আসলে, ৩২ জিবি র্যামকে একটি পার্সোনাল কম্পিউটারেও 'ওভারকিল' বলে মনে করা হয়, যা সাধারণত ফোনের চেয়ে বেশি শক্তিশালী হয়ে থাকে। ভিডিও এডিটর এবং যারা হাই-এন্ড ভিএফএক্স (VFX)-এর কাজ করেন তাদের কাছে একটি পিসিতে ৩২ জিবি র্যামের প্রয়োজনীয়তা থাকতে পারে, কিন্তু স্মার্টফোনে এই পরিমাণ র্যাম সত্যি অপ্রয়োজনীয়।