Royal Enfield এর দাদাগিরি থামাতে আগমন ঘটছে নতুন বাইকের, নাম শুনলে চমকে উঠবেন
একথা সত্য যে এদেশের ৩৫০ সিসির মোটরসাইকেলের বাজার একাই মাতিয়ে রেখেছে Royal Enfield। হান্টার ৩৫০, ক্লাসিক ৩৫০, মিটিওর ৩৫০...একথা সত্য যে এদেশের ৩৫০ সিসির মোটরসাইকেলের বাজার একাই মাতিয়ে রেখেছে Royal Enfield। হান্টার ৩৫০, ক্লাসিক ৩৫০, মিটিওর ৩৫০ এবং বুলেট ৩৫০ এর মত সেরা রেট্রো বাইক রয়েছে তাদের ঝুলিতে। যদিও বিগত কয়েক বছরে Honda, Jawa ও Yezdi এর মত স্বনামধন্য সংস্থাগুলি ৩৫০ সিসির রেট্রো স্টাইলের বাইক লঞ্চ করলেও রয়্যাল এনফিল্ডের জনপ্রিয়তার ধারেকাছে আসতে পারেনি তাই সাফল্য অর্জন করতে আজও অপারগ। চেন্নাইয়ের এই সংস্থার একচেটিয়া আধিপত্যে এবার থাবা বাসাতে আসছে Hero-Harley এবং Bajaj-Triumph জুটি।
ভারতের মতো সম্ভাবনাময় টু-হুইলারের বাজারে যৌথভাবে নতুন মডেল আনার জন্য একদিকে যেমন কাজ করে চলেছে দেশীয় সংস্থা হিরো মটোকর্প এর সঙ্গে হার্লে ডেভিডসন। তেমনি আরেক ভারতীয় বাইক নির্মাতা বাজাজের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে ট্রায়াম্ফ। এদের তৈরি বাইক দুটি সরাসরি ভাবে রয়্যাল এনফিল্ড এর বাইকগুলোর সঙ্গেই প্রতিযোগিতা করার জন্যই অবতীর্ণ হচ্ছে। বাজাজ এবং ট্রায়াম্ফ এর তৈরি স্ক্র্যাম্বলার বাইকটি জুনের মধ্যে মাঠে নামতে চলেছে। অন্যদিকে একইভাবে হিরো এবং হার্লে ডেভিডসনের যৌথ ভাবে তৈরি বাইকটি বছর শেষের আগেই আত্মপ্রকাশ করতে পারে।
Bajaj-Triumph Scrambler
ব্রিটিশ বাইক নির্মাতা ট্রায়াম্ফ এর তৈরি ভারতীয় মডেলগুলির বিক্রি এবং সার্ভিস সংক্রান্ত সমস্ত কাজটাই বাজাজ সামলাবে বলে সম্প্রতি জানিয়েছে তারা। এই দুই সংস্থার যৌথ উদ্যোগে আসতে চলেছে তাদের প্রথম এন্ট্রি লেভেলের মধ্যবর্তী সক্ষমতার ইঞ্জিন যুক্ত নব্য-প্রাচীন স্টাইলের মোটরসাইকেল। এটি মহারাষ্ট্রের চাকানে অবস্থিত বাজাজের উৎপাদন কেন্দ্র থেকেই তৈরি করা হবে। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকবার এদেশের রাস্তায় তাদের প্রায় প্রস্তুত এই বাইকটির ট্রায়াল রান হতে দেখা গিয়েছে। নতুন বাইকটির দাম মোটামুটি ভাবে ৩ লাখ থেকে ৩.৫ লাখ টাকার মধ্যেই হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
ইঞ্জিন
বাজাজ-ট্রায়াম্ফ এর এই প্রথম বাইকটিতে চালিকাশক্তি জোগাতে লিকুইড কুলিং প্রযুক্তিযুক্ত সিঙ্গেল সিলিন্ডার ইঞ্জিন ব্যবহার করা হবে। ইঞ্জিনের সক্ষমতা হবে ৩০০-৪০০ সিসির মধ্যেই। KTM 390 Adventure তে ব্যবহৃত ইঞ্জিন এর মতোই একই ধরনের কর্ম ক্ষমতা প্রদর্শন করতে পারবে এই বাইকের ইঞ্জিনটি। এর পাশাপাশি ডবল ব্যারেল যুক্ত এগজস্ট সিস্টেম থাকবে এতে। স্পাই ক্যামেরায় ধরা পড়া ছবি সেই ইঙ্গিত বহন করে।
হার্ডওয়ার সিস্টেম
সম্পূর্ণ নতুন চ্যাসিসের উপর তৈরি হয়েছে এই স্ক্র্যাম্বলার বাইকটি। সাসপেনশনের দায়িত্ব সামলাতে সামনের দিকে ইউএসডি ফর্ক এবং পিছনে মনশক অ্যাবজরভার লাগানো রয়েছে। সামনে ও পিছনে যথাক্রমে ১৯ ইঞ্চি ও ১৭ ইঞ্চির অ্যালয় হুইল দেখতে পাওয়া যাবে। ট্রায়াম্ফ এর অধিক সক্ষমতার বাইকগুলি থেকে স্টাইল স্টেটমেন্ট ধার করা হয়েছে এতে। সামনের হেডলাইট ইউনিটটি অনেকটা ববার স্টাইলের। এছাড়াও এলইডি লাইটিং সিস্টেম, সেমি ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট কনসোল, ডুয়েল চ্যানেল এবিএস ইত্যাদি বৈশিষ্ট্য থাকবে এই বাইকে। এমনকি ট্রাকশন কন্ট্রোল কিংবা কুইক শিফটার থাকার সম্ভাবনা রয়েছে এতে।
Hero-Harley Motorcycle
ইঞ্জিন ও ডিজাইন
হার্লে ডেভিডসনের এন্ট্রি লেভেলের মোটরসাইকেলটির প্রথম ছবি সম্প্রতি ছড়িয়ে পড়েছে নেট দুনিয়ায়। এই বাইকটি সম্পূর্ণ কাজ হিরো মটোকর্প এর সঙ্গে হাত মিলিয়ে সম্পাদন করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এরমধ্যে সম্ভবত ৪০০ কিংবা ৪৪০ সিসির এয়ার/অয়েল কুল্ড ইঞ্জিন ব্যবহার করা হবে। এক সময়কার বাজার কাঁপানো XR1200 রোডস্টার মডেলটি থেকেই ডিজাইন অনুকরণ করা হয়েছে হিরো-হার্লে এর এই বাইকে। বৃহদাকার চেহারার সঙ্গে মাসকুলার ফুয়েল ট্যাঙ্ক একে এক অন্য লুক প্রদান করেছে।
সাসপেনশন ও ব্রেকিং সিস্টেম
হার্ডওয়ারের প্রসঙ্গে বলতে গেলে বাইকটিতে সাসপেনশন হিসেবে সামনের দিকে ইউএসডি ফর্ক এবং পিছনে টুইন শক অ্যাবজর্ভার লাগানো রয়েছে। এছাড়াও চালকের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে Bybre ডিস্ক ক্যালিপার সহ ডুয়েল চ্যানেল এবিএস স্ট্যান্ডার্ড হিসাবে দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি ফুল ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট কনসোল, এলইডি লাইট এবং বড় আকারের ফ্রন্ট হুইল থাকবে এই বাইকে। হিরো এবং হার্লে ডেভিডসনের তৈরি বাইকটি কিনতে মোটামুটি ভাবে ২.৫ লাখ টাকা খরচ করতে হবে যা রয়্যাল এনফিল্ড ক্লাসিক ৩৫০ এর তুলনায় খানিক অতিরিক্ত।