নতুন TVS Apache RTR 160 তার পুরনো মডেলের চেয়ে কতটা আলাদা, জেনে নিন বিস্তারিত
একটা সময় ছিল যখন ভারতবর্ষের রাস্তায় দাপিয়ে বেড়াতো TVS Apache RTR 160। মাঝে গঙ্গা দিয়ে বয়ে গেছে অনেক জল। টিভিএস-এর...একটা সময় ছিল যখন ভারতবর্ষের রাস্তায় দাপিয়ে বেড়াতো TVS Apache RTR 160। মাঝে গঙ্গা দিয়ে বয়ে গেছে অনেক জল। টিভিএস-এর বদান্যতায় একের পর এক নতুন বাইকের উজ্জ্বল্যে খানিকটা হলেও ম্লান হয়ে গিয়েছে Apache RTR 160। তাই এবার তাকে নতুন করে জাগিয়ে তুলল তামিলনাড়ু কেন্দ্রিক দেশের তৃতীয় বৃহত্তম বাইক নির্মাতা TVS। সম্প্রতি মডেলটির ২০২২ সালের আপডেট আত্মপ্রকাশ করল। মডেলটির দাম শুরু হয়েছে ১,১৭,৭৯০ টাকা থেকে। মোট তিনটি ভ্যারিয়েন্ট ও পাঁচটি রঙে উপলব্ধ এটি।
ভ্যারিয়েন্ট ও মূল্য
ড্রাম, ডিস্ক ও ডিস্ক এর সাথে ব্লুটুথ এই তিনটি ভ্যারিয়েন্টে মিলবে টিভিএস অ্যাপাচি আরটিআর ১৬০। বেস ভ্যারিয়েন্টের পিছনের চাকায় ব্যবহার করা হয়েছে ড্রাম ব্রেক। তবে বাকি দুটি ভ্যারিয়েন্টের উভয় চাকাতেই ডিস্ক ব্রেক লাগানো রয়েছে। এছাড়াও টপ ভ্যারিয়েন্টে রয়েছে ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্ট ফাংশন সহ SmartXonnect প্রযুক্তি। ভ্যারিয়েন্ট অনুযায়ী দাম ভিন্ন ভিন্ন। ড্রাম সংস্করণটির দাম ১,১৭,৭৯০ টাকা। তার ঠিক পরেই রয়েছে ডিস্ট ভ্যারিয়েন্ট। এর দাম ১,২১,২৯০ টাকা। অন্যদিকে ব্লুটুথ ও ডিস্ক সহ টপ ভ্যারিয়েন্টের মূল্য ১,২৪,৫৯০ টাকা। প্রসঙ্গত সবকটি মূল্যই এক্স শোরুম।
হার্ডওয়্যার
পূর্ববর্তী মডেল এর তুলনায় ২০২২ এর এই সংস্করণে বেশ কিছু নতুন সংযোজন করা হয়েছে। এগুলির মধ্যে অন্যতম হলো নতুন ডিজাইন, শার্প লুকের হেডলাইট ও টেড লাইট, X-ring চেইন এবং ১২০ মিমি চওড়া টায়ার। এমনকি পূর্ববর্তী মডেল এর তুলনায় এটি ওজনে দুই কেজি কম। তবে ফুয়েল ট্যাংক, ইঞ্জিনের কভার, সিট, গ্র্যাব রেল, একজস্ট পাইপ এই সবকিছুই আগের মতই রয়েছে। এছাড়াও সামনে রয়েছে টেলিস্কোপিক ফর্ক ও পিছনে অ্যাডজাস্টেবল টুইন স্প্রিং সাসপেনশন। বেস সংস্করণ বাদ দিয়ে বাকি দুটি মডেলের উভয় চাকাতেই পেটাল ডিস্ক লাগানো রয়েছে।
কালার
কালার অপশনের দিক থেকে Apache RTR 180 কিংবা এর প্রতিদ্বন্দ্বী Bajaj Pulsar NS160 এর থেকে অনেক এগিয়ে এই মডেলটি। গ্লস ব্ল্যাক, পার্ল হোয়াইট, রেসিং রেড, ম্যাট ব্লু, টি গ্রে এই পাঁচটি রঙে মিলবে RTR 160। এমনকি নতুন আপডেটের ফলে পরিবর্তন হয়েছে এর গ্রাফিক্সেও।
ফিচার্স
আপডেটেড এই মডেলে অতিরিক্ত যুক্ত হয়েছে এলইডি ডিআরএল যুক্ত এলইডি হেডলাইট ও এলইডি টেল লাইট। এছাড়াও রয়েছে ব্লুটুথ যুক্ত সম্পূর্ণ ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টার, যার ব্যবহার প্রণালীতে খানিক পরিবর্তন আনা হয়েছে। তাছাড়াও স্লিপার ক্লাচ, ডুয়েল চ্যানেল এবিএস এবং রেন, আরবান ও স্পোর্ট এই তিন ধরনের রাইটিং মোডও যুক্ত হয়েছে এতে।
ইঞ্জিন স্পেসিফিকেশন
RTR 160 কে চালিকা শক্তি যোগায় ১৫৯.৭ সিসির এয়ার কুল্ড সিঙ্গেল সিলিন্ডার ইঞ্জিন। নতুন এই সংস্করণটিতে থাকা ইঞ্জিন পূর্ববর্তী মডেলের তুলনায় খানিকটা বেশি শক্তিযুক্ত। ফাইভ স্পিড গিয়ার বক্স যুক্ত এই ইঞ্জিনটি ৮,৭৫০ আরপিএম গতিতে সর্বোচ্চ ১৫.৮ বিএইচপি ক্ষমতা ও ৭,০০০ আরপিএম গতিতে সর্বাধিক ১৩.৮৫ এনএম টর্ক উৎপাদনের সক্ষম। পূর্ববর্তী সংস্করণে ইঞ্জিনের আউটপুট ছিল যথাক্রমে ১৫.৩ বিএইচপি ও ১৩.৯ এনএম।