নতুন Bajaj Pulsar 220F কি TVS Apache RTR 200 4V এর থেকেও ভাল? জেনে নিন
কিছুদিন আগেই পুনরায় স্বমহিমায় ফিরে এসেছে আইকনিক Bajaj Pulsar 220F। মাঝে প্রায় এক বছরের জন্য বাইকটির বিক্রি বন্ধ রাখা...কিছুদিন আগেই পুনরায় স্বমহিমায় ফিরে এসেছে আইকনিক Bajaj Pulsar 220F। মাঝে প্রায় এক বছরের জন্য বাইকটির বিক্রি বন্ধ রাখা হয়েছিল Bajaj। বর্তমানে এর পুনর্জন্ম হওয়া মডেলটির এক্স শোরুম মূল্য ১.৩৭ লাখ টাকা। অন্যদিকে ২০০ সিসির এই সেগমেন্টে বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে TVS Apache RTR 200 4V। এমনকি সম্প্রতি আপডেটের ফলে OBD2 নীতির অনুসারী ইঞ্জিন বসেছে এতে। প্রবাদপ্রতিম Pulsar 220F কে কি টক্কর দিতে পারবে এই Apache RTR 200 4V? জেনে নিন এই প্রতিবেদনে।
TVS Apache-র ডিজাইন অনেক বেশি আকর্ষক
বাজাজ তার এই আইকনিক পালসার ২০০এফ মডেলটির সামগ্রিক ডিজাইন পূর্বের মতোই অপরিবর্তিত রেখেছে। অর্থাৎ সেমি ফেয়ারিংযুক্ত এই বাইকে বড় আকারের ফুয়েল ট্যাংক, উলম্বভাবে ভাগ করা ডুয়েল পড প্রজেক্টার হেডলাইট সেটআপ, ছোট উইন্ড স্ক্রীন এবং সামনের ফেয়ারিং এর উপর অবস্থিত লুকিং গ্লাস, সেমি ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাসটার এবং খানিকটা উঁচু করা ব্যারেল এগজস্ট পাইপ দেখতে পাওয়া যাবে।
অন্যদিকে TVS Apache RTR 200 4V এর ডিজাইনের দিকে নজর দিলে দেখা যাবে ফুয়েল ট্যাংকে খানিকটা বর্ধিত অংশ, শার্প ডিজাইনের এলইডি হেডল্যাম্প, চওড়া হ্যান্ডেলবার, ডবল ব্যারেলযুক্ত এগজস্ট পাইপ এবং ছোট আকারের এলইডি টেল ল্যাম্প। দুটি বাইকের মধ্যেই ১৭ ইঞ্চির অ্যালয় হুইল দেওয়া হয়েছে।
সেফটি ফিচারেও কয়েক কদম এগিয়ে TVS Apache RTR 200 4V
দু-চাকা হোক কিংবা চারচাকা আজকের দিনে দাঁড়িয়ে সচেতন গ্রাহকরা সবসময়ই সুরক্ষার বিষয়টিতে অধিক নজর দিয়ে থাকেন। দুটি বাইকের মধ্যেই সামনের এবং পেছনের চাকাতে ডিস্ক ব্রেক লাগানো থাকলেও TVS Apache RTR 200 4V-তে ডুয়েল চ্যানেল এবিএস এবং Pulsar 220F-তে সিঙ্গেল চ্যানেল এবিএস দেওয়া হয়েছে। সাসপেনশন সেটআপ হিসাবে উভয়ের ক্ষেত্রেই সামনের দিকে টেলিস্কোপিক ফর দেখতে পাওয়া যায়। যদিও Pulsar 220F এর পিছনের দিকে নাইট্রক্স শক অ্যাবজর্ভার এবং টিভিএস অ্যাপাচিতে প্রিলোড অ্যাডজাস্টেবল মনোশক সাসপেনশন ব্যবহার করা হয়েছে।
ফোর ভালভের কেরামতি রয়েছে অ্যাপাচিতে
২০২৩ এর নতুন আপডেট হিসাবে Pulsar 220F এই আইকনিক বাইকটিতে চালিকাশক্তি যোগায় পূর্বের মতোই ২২০ সিসির সিঙ্গেল সিলিন্ডার এয়ার কুল্ড DTS-i ইঞ্জিন। তবে এবারের ইঞ্জিনটি OBD2 কার্বন নির্গমন নীতির কথা ভেবে তৈরি। এই ইঞ্জিনটি থেকে জেনারেট হওয়া পাওয়ার এবং টর্ক আউটপুট যথাক্রমে ২০.১১ এইচপি এবং ১৮.৫৫ এনএম।
অপর হাতে থাকা Apache RTR 200 4V এর চালিকাশক্তি যোগায় ১৯৭.৭৫ সিসি সিঙ্গেল সিলিন্ডার ৪ ভালভ যুক্ত অয়েল কুন্ড ইঞ্জিন, যা থেকে সর্বাধিক ২০.২ এইচপি শক্তি এবং সর্বোচ্চ ১৬.৮ এনএম টর্ক উৎপাদিত হয়। দুটি ইঞ্জিনের সঙ্গেই ৫ ধাপ যুক্ত ম্যানুয়াল গিয়ার বক্স দেওয়া হয়েছে।
তাহলে কোনটি কিনবেন?
এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে Pulsar 220F এর এক্স শোরুম মূল্য ১.৩৭ লাখ টাকা। অন্যদিকে Apache RTR 200 4V এর দাম ভ্যারিয়েন্ট অনুযায়ী সামান্য আলাদা। ১.৪০ লাখ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ১.৪৫ লাখ টাকা পর্যন্ত গিয়েছে এর এক্স শোরুম মূল্য। উপরের আলোচনা থেকে স্পষ্ট প্রায় সমপরিমাণ মূল্য খরচ করে Apache RTR 200 4V কেনা বুদ্ধিমানের কাজ কারণ আধুনিক ফিচার, উন্নত সাসপেনশন, চার ভালভ যুক্ত রিফাইন্ড ইঞ্জিন এবং ডুয়েল চ্যানেল এবিএস এর মত লাইফ সেভার ফিচার সমস্ত কিছুই ভরপুর এতে।