কর্নারিং এবিএস ও নানা অত্যাধুনিক ফিচারে সাজিয়ে নতুন বাইক লঞ্চ করল KTM
প্রায় এক দশক ধরে বাজার দাপিয়ে বেড়াচ্ছে KTM এর SMC R সুপারমটো এবং Enduro R ডুয়াল স্পোর্টস মোটরসাইকেল। সম্প্রতি এই দুটি...প্রায় এক দশক ধরে বাজার দাপিয়ে বেড়াচ্ছে KTM এর SMC R সুপারমটো এবং Enduro R ডুয়াল স্পোর্টস মোটরসাইকেল। সম্প্রতি এই দুটি বাইকে একগুচ্ছ নতুন আপডেট যুক্ত করে নতুন মডেল লঞ্চ করা হয়েছে। LC4 ইঞ্জিন দ্বারা পরিচালিত KTM 690 R সিরিজের দুটি বাইকেই এবার বাহ্যিক পরিবর্তনের পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রেও এসেছে বড় পরিবর্তন। কী কী নব সংযোজন হলো এতে তা এবার বিশদে দেখে নেওয়া যাক।
দুটি বাইকই ক্রোম-মলিবডেনাম দ্বারা নির্মিত স্টিল এবং হালকা ওজনের ট্রেলিস ফ্রেমের উপর নির্মিত। KTM SMC R মডেলটি মোটরস্পোর্ট ট্রাকে চলার উপযোগী করে ডিজাইন করা হয়েছে। অন্যদিকে KTM Enduro R এবড়ো-খেবড়ো পাথুরে রাস্তার কথা ভেবে তৈরি।
উভয় মডেলে চালিকাশক্তি যোগায় ৬৯০ সিসির সিঙ্গেল সিলিন্ডার যুক্ত শক্তিশালী LC4 ইঞ্জিন।
ওই ইঞ্জিনটি থেকে উৎপাদিত শক্তি ও টর্কের পরিমাণ যথাক্রমে ৭৪ এইচপি ও ৭৩.৫ এনএম। তাই এই টর্ক এবং হর্সপাওয়ারের অনুপাত একদম যথার্থ। সাথে রয়েছে ছয় গতির গিয়ারবক্স। এছাড়াও কুইক শিফটার, স্লিপার ক্লাচ, রাইড-বাই-ওয়ার এর মত প্রযুক্তি রয়েছে এখানে।
নতুন আপডেটগুলির মধ্যে রয়েছে অতি সাধারণ কিন্তু কার্যকরী এলসিডি স্ক্রিন। এছাড়াও কর্নারিং এবিএস এর মত সেফটি ফিচার্স মিলবে এখানে। Enduro R এর ক্ষেত্রে দেওয়া হয়েছে অফ-রোড মোড এবং SMC R সুপারমটো এবিএস পেয়েছে। প্রথম বৈশিষ্ট্যটি উচু-নিচু রাস্তায় ঘোরার সময় পিছনের চাকাটিকে দৃঢ় রাখতে কার্যকরী। আর দ্বিতীয় বৈশিষ্ট্যটি নিজের প্রয়োজনমতো সামনের ও পিছনের চাকায় এবিএস সিস্টেম বন্ধ রাখতে সাহায্য করে।
উপরন্তু দুটি মডেলেই মিলবে কার্যকরী CTG ও সিট ট্রিটমেন্ট। Enduro R মডেলটির ক্ষেত্রে সংস্থার Enduro রেঞ্জের বাইকগুলির ডিজাইনের ধারা চোখে পড়ে। অন্যদিকে SMC R মডেলটিতে ব্লু ও অরেঞ্জ রঙের কম্বিনেশনে ট্যাংক এবং সাইড প্যানেল দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও দুটিতেই Euro-5 নির্গমন নীতি অনুসরণ করে উচ্চ কারিগরি সম্পন্ন স্টেইনলেস স্টিল দ্বারা নির্মিত এগজস্ট সিস্টেম দেওয়া হয়েছে। ভারতে বাইক দু'টি লঞ্চের সম্ভাবনা খুবই কম।