আজ থেকে ২৫ বছর আগে ভারতে শুরু হয় মোবাইল ফোনের ব্যবহার, কল রেট ছিল ১৮ টাকা প্রতি মিনিট

৩১ জুলাই, ১৯৯৫ ভারতে প্রথমবার মোবাইল পরিষেবা শুরু করা হয়েছিল। সেই থেকে ধীরে ধীরে বহু বছর ধরে ভারতে মোবাইল ব্যবস্থা রমরমিয়ে চলে আসছে। প্রথমদিকে, একটি…

৩১ জুলাই, ১৯৯৫ ভারতে প্রথমবার মোবাইল পরিষেবা শুরু করা হয়েছিল। সেই থেকে ধীরে ধীরে বহু বছর ধরে ভারতে মোবাইল ব্যবস্থা রমরমিয়ে চলে আসছে। প্রথমদিকে, একটি মোবাইল হ্যান্ডসেটের দাম ছিল ৪০ হাজার টাকা এবং কল রেট ছিল প্রতি মিনিটে ১৮ টাকা। সেখান থেকে শুরু করে, আজ ভারতে ৭২ কোটি লোকের কাছে বর্তমানে মোবাইল ইন্টারনেট কানেকশন রয়েছে এবং ভারতে কলরেট বিশ্বের অন্যান্য দেশের সবথেকে কম। অনেক বড় বড় স্ক্যাম, এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতা সত্বেও মোবাইল পরিষেবা বর্তমানে জীবনের একটি অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে এখনই শেষ নয়, ভারত সরকার মোবাইল পরিষেবার দ্বিতীয় অংশ শুরু করার প্রক্রিয়া নিতে চলেছে। আত্মনির্ভর ভারত যোজনার মাধ্যমে এই দেশের বড় বড় কোম্পানি গুলি ৫জি স্পেক্ট্রাম নিয়ে এসে ভারতকে বিশ্বের আঙিনায় আরো ভালো স্থান দিতে উদ্যোগী হয়েছে।

ভারতের ডিপার্টমেন্ট অফ টেলিকমিউনিকেশন জানিয়েছে যে, মোবাইল পরিষেবা দ্রুত হারে বৃদ্ধি পাওয়ার পিছনের সব থেকে বড় কারণ হলো, এই সেক্টরে ভারত সরকারকে শুধুমাত্র সহায়কের ভূমিকা পালন করতে হয়েছে। দেশের বড় কোম্পানিগুলি তাদের কাজ ভালোভাবে সম্পন্ন করেছে। আগামী কিছু বছরে ভারত সরকারের ভূমিকা এই সেক্টরে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে। আগামী কিছু বছরের মধ্যে, ভারতের আরো অনেক মানুষ মোবাইল ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত হবেন। এছাড়াও দূর সঞ্চার দপ্তর ভারতে ৫জি স্পেক্ট্রাম নিলাম করা শুরু করতে চলেছে। এর মাধ্যমে ভারতে মোবাইল ব্যবস্থার একটি নতুন যুগের শুরু হবে।

মোবাইল সেবা প্রদানকারী কোম্পানিগুলির সংগঠন সিওএআই এর তরফ থেকে জারি করা একটি রিপোর্টে জানা গেছে, এখন দেশে ১১৬ কোটি কানেকশন রয়েছে যার মধ্যে ৭২ কোটি মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট কানেকশন রয়েছে। শুধুমাত্র গ্রামীণ সেক্টরে মোবাইল ফোন ব্যবহার করছেন বর্তমানে ৫২ কোটি মানুষ।

আজ, ভারতের মোবাইল টেলিকমিউনিকেশন স্থাপনের ২৫ বছর পুর্তিতে সিওএআই ভারত সরকারকে অনুরোধ করেছে যাতে, এই সেক্টরের সমস্যাগুলিকে সরকার গুরুত্বসহকারে বিচার বিবেচনা করে। এর মধ্যে অন্যতম স্পেকট্রামের দাম কমিয়ে ৩ শতাংশে নিয়ে আসা, ওই শুল্কের ওপর থেকে জিএসটি মুক্ত করা এবং ৪জি ও ৫জি নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত মেশিনারি সম্পূর্ণরূপে শুল্ক মুক্ত করা।