5G মোবাইল টাওয়ারের রেডিয়েশন মানবশরীরে ক্ষতি করবে না, জানাল টেলিকমিউনিকেশন বিভাগ

5G নেটওয়ার্কজাত বিকিরণের খুব বেশি প্রভাব পড়বে না মানব স্বাস্থ্যে – সম্প্রতি দেশের টেলিকমিউনিকেশন বিভাগের কর্তাদের মুখে উঠে এলো এমনই আশ্বাস। তাছাড়া নামজাদা কিছু চিকিৎসকেরাও…

5G নেটওয়ার্কজাত বিকিরণের খুব বেশি প্রভাব পড়বে না মানব স্বাস্থ্যে – সম্প্রতি দেশের টেলিকমিউনিকেশন বিভাগের কর্তাদের মুখে উঠে এলো এমনই আশ্বাস। তাছাড়া নামজাদা কিছু চিকিৎসকেরাও 5G নেটওয়ার্কের ক্ষতিকারক প্রভাব সম্পর্কে জনতাকে দুর্ভাবনা-মুক্ত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। এক্ষেত্রে মনের মধ্যে কোনো ভুল ধারণা পুষে রাখা অনুচিত বলে তাদের অভিমত। অথচ সত্যি কথা বলতে, স্বাস্থ্যের উপরে 5G নেটওয়ার্কের ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে আমাদের মধ্যে নানান ভ্রান্ত ধ্যানধারণা মজুত রয়েছে। দেশে পরবর্তী প্রজন্মের টেলিকম পরিষেবা লঞ্চের আগে সেকথাই এখন টেলিকম মহলে আলোচিত হচ্ছে।

মানবশরীরের ক্ষতি করবেনা 5G টাওয়ারজাত বিকিরণ, দাবি বিশেষজ্ঞদের

ইএমএফ (EMF) বিকিরণের উপরে সদ্য আয়োজিত একটি সেমিনারে এইমসের (AIIMS) সহযোগী অধ্যাপক বিবেক ট্যান্ডন জানিয়েছেন, সাধারণপক্ষে সেল টাওয়ারগুলি স্বল্প শক্তির নন-আয়োনাইজিং বিকিরণের জন্য দায়ী। মানব শরীরের উপরে এদের প্রভাব অতি সামান্য। তাই এ নিয়ে তিনি জনগণকে দুশ্চিন্তাবিহীন থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।

একইভাবে কর্নাটকে ডিপার্টমেন্ট অফ টেলিকমিউনিকেশনস বা ডটের (DoT) উপদেষ্টা রাকেশ কুমার দুবে’র মতে, বর্তমানে মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ভুল তথ্যের পরিমাণ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষত মানব স্বাস্থ্যের উপরে মোবাইল টাওয়ারের ক্ষতিকারক প্রভাব সম্পর্কে আমাদের মধ্যে মিথ্যা গুজবের কোনো অন্ত নেই। অথচ সেল টাওয়ারের বিকিরণ মানবস্বাস্থ্যের পক্ষে সম্পূর্ণ নিরাপদ বলেই তিনি জানান।

ডটের অপর এক শীর্ষ পদাধিকারী এসকে ভার্মার বক্তব্যেও শোনা গিয়েছে একই সুর। তার কথায় টেলিকম দপ্তর সর্বদাই মোবাইল টাওয়ার থেকে নির্গত ইএমএফ (EMF) বিকিরণের হার পরখ করে থাকে। কোনভাবেই এই বিকিরণ যাতে আমাদের স্বাস্থ্যের উপরে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে না পারে, সেজন্য আবশ্যিক সমস্ত শর্ত মেনে চলা হয় যে কথা তার বক্তব্যে উঠে এসেছে।

টেলিকমিউনিকেশনস বিভাগের কর্তাদের আশ্বাস মেনে নিলে ভারতে আসন্ন 5G নেটওয়ার্কের ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে ভাবিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। এর ফলে মানব স্বাস্থ্যের ওপর কোন বিপরীত প্রভাব না পড়ার সম্ভাবনাই বেশি। তবু 5G লঞ্চের পূর্বে এই আলোচনা বারবার ঘুরেফিরে উঠে আসছে। আর সেজন্যেই টেলিকম দপ্তরের শীর্ষ ব্যক্তিত্বেরা জনসাধারণকে নিশ্চিন্ত করতে আসরে নেমেছেন।

প্রসঙ্গত বলে রাখি, 5G নেটওয়ার্ক লঞ্চের আগে টেলিকম অপারেটর সংস্থাগুলি সারা দেশে আরো অসংখ্য মোবাইল টাওয়ার, সেল এবং মাইক্রোসাইট স্থাপন করতে চলেছে। এর ফলে ভবিষ্যতে উন্নত মানের 5G পরিষেবা সরবরাহ করা সম্ভব হবে যা টেলিকম অপারেটরদের প্রধান লক্ষ্য।