সরকারের নয়া নিয়মের জের, পিছতে পারে দেশে 5G পরিষেবা চালুর সময়
কেন্দ্রের নতুন নির্দেশিকার ফলে দেশব্যাপী 5G রোলআউটের প্রক্রিয়া এবার আরও খানিকটা পিছিয়ে যেতে পারে। আজ্ঞে হ্যাঁ,...কেন্দ্রের নতুন নির্দেশিকার ফলে দেশব্যাপী 5G রোলআউটের প্রক্রিয়া এবার আরও খানিকটা পিছিয়ে যেতে পারে। আজ্ঞে হ্যাঁ, কেন্দ্রীয় টেলিযোগাযোগ দপ্তর বা ডটের (DoT) ইচ্ছানুযায়ী দেশে আমদানিকৃত টেলিকম গিয়ারগুলির জন্য আগামীদিনে ম্যান্ডেটরি টেস্টিং অ্যান্ড সার্টিফিকেশন অফ টেলিকম ইক্যুইপমেন্ট বা এমটিসিটিই (MTCTE) অনুমোদন প্রাপ্তি বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে আগামী ১লা জুলাই, ২০২২ থেকে DoT -এর এই নয়া নির্দেশিকা কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যা 5G রোলআউটের গতি কিছুটা ধীর করবে বলে আমাদের ধারণা। এই নির্দেশের ফলে Jio, Airtel, Vi প্রমুখ বেসরকারি টেলকোদের দ্বারা আমদানিকৃত বিভিন্ন টেলিকম গিয়ার বা ইক্যুয়িপমেন্টগুলিকে কয়েকটি নির্দিষ্ট পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্যে দিয়ে অনুমোদনের শংসাপত্র আদায় করতে হবে। সদ্য কিছু সংবাদ সংস্থার রিপোর্টে ডটের আলোচ্য নয়া নির্দেশিকার কথা উঠে এসেছে।
দেশের নিরাপত্তার স্বার্থেই লাগু হতে পারে MTCTE সংক্রান্ত নতুন নির্দেশিকা
উল্লেখ্য, উপরোক্ত নির্দেশিকা লাগুর ক্ষেত্রে ডটের ভাবনার এক মহৎ উদ্দেশ্য রয়েছে। দেশের নিরাপত্তার স্বার্থেই টেলিযোগাযোগ দপ্তর এই নির্দেশিকা জারির কথা ভাবছে। তবে এর ফলে 5G লঞ্চের জন্য টেলিকম অপারেটরদের আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে, যা তারা একেবারেই চাইছেনা। ET Telecom -এর রিপোর্ট অনুযায়ী, এর মধ্যেই টেলিকম শিল্পমহলের তরফ থেকে ডটের কাছে দাবি জানানো হয়েছে যাতে এমটিসিটিই অনুমোদন লাভের সময়সীমা ১লা জুলাই, ২০২২ থেকে ১লা জানুয়ারি, ২০২৩ পর্যন্ত বজায় রাখা হয়।
এদিকে টেলিকম শিল্পমহলের অভিযোগ, নির্দেশিকা জারির পিছনে ডটের উদ্দেশ্য সাধু হলেও এই মুহূর্তে স্থানীয় ভিত্তিতে আমদানিকৃত টেলিকম গিয়ার যাচাইয়ের মতো পরিকাঠামো আমাদের নেই। বিশেষ করে অভিজ্ঞ ব্যক্তির পরামর্শ ছাড়া স্থানীয় ল্যাবগুলির পক্ষে রাউটার ছাড়াও বিভিন্ন ইক্যুইপমেন্ট যথা, মাইক্রোওয়েভ সিস্টেম, বেস স্টেশন এবং অন্যান্য রেডিও গিয়ার পরীক্ষা করা প্রায় অসম্ভব ব্যাপার। এটি টেলিযোগাযোগ দপ্তরের বর্তমান ভাবনার একটি বড় সীমাবদ্ধতা বলে টেলিকম শিল্পমহলের প্রতিনিধিরা দাবি করেছেন।
তাছাড়া একথা অস্বীকার করার কোনও উপায় নেই যে এক্ষেত্রে যাচাইয়ের কাজ পরিচালনার মতো উপযুক্ত দক্ষ কর্মীও আমাদের খুব বেশি নেই। সেদিক থেকেও একাজ সম্পন্ন হতে যথেষ্ট পরিমাণ সময় প্রয়োজন। আর সবথেকে বড় কথা হল, 5G নেটওয়ার্কের জন্য জরুরি গিয়ার বা ইক্যুয়িপমেন্ট সরবরাহের ক্ষমতা বর্তমানে দেশীয় কোনও সংস্থার নেই। সেজন্যই অপারেটরদের বহুক্ষেত্রে বিদেশী প্রযুক্তি সহায়ক সংস্থার শরণাপন্ন হতে হয়। তবে ডটের আলোচ্য নির্দেশিকা লাগু হলে এখানেও প্রোডাক্ট-সরবরাহজনিত সঙ্কট তৈরী হতে পারে, যা 5G লঞ্চের দিনক্ষণকে আরো কিছুটা পিছনে ঠেলে দেবে।