Earn or Make Money Online: বাড়ি বসে এই কাজগুলি করলেই মাসে আয় হবে হাজার হাজার টাকা
How to Earn or Make Money Online: সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির দাম যথেষ্টই উর্দ্ধমুখী হচ্ছে। তবে...How to Earn or Make Money Online: সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির দাম যথেষ্টই উর্দ্ধমুখী হচ্ছে। তবে জিনিসের দাম যে দ্রুততার সাথে বাড়ছে, বেতন ততটাই ধীর গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। যেকারণে উপার্জিত অর্থে পুরো মাসের খরচ চালানো অনেকের পক্ষেই সম্ভব হয়না। ফলে বহু মানুষই এখন উপরি রোজগারের পথ খুঁজছেন। আপনিও যদি এমনি প্রাথমিক চাকরি বা ব্যবসার পাশাপাশি অতিরিক্ত অর্থ উপার্জনের চেষ্টায় থাকেন, তবে এই প্রতিবেদন আপনার জন্যই। কেননা আজ আমরা বাড়ি বসে অনলাইনে অর্থোপার্জনের সেরা ৭টি কার্যকরী উপায় সম্পর্কে জানাবো। নিচে বিশদে এই বিষয়ে আলোচনা করা হল…
বাড়ি বসে অর্থ উপার্জনের ৭টি সহজ উপায় (7 Ways to Earn or Make Money Online from Home)
ফ্রিল্যান্সার (Freelancer) :
বিগত দু'বছরের মধ্যে ফ্রিল্যান্সিং, অর্থ উপার্জনের ক্ষেত্রে একটি দুর্দান্ত পেশায় পরিণত হয়েছে। এই পেশায় আপনি কাজ করার স্বাধীনতা যেমন পাবেন, তেমনই নিজের সুবিধা মতো সময়ে কাজ করে মোটা অঙ্কের অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। এক কথায় বললে, ফ্রিল্যান্সিংয়ে আপনি নিজেই নিজের মালিক হবেন। আপনি এই পেশায় নিজের মতানুযায়ী ব্যবসা পরিচালনা এবং প্রোডাক্ট বা পরিষেবার প্রচার করতে পারবেন। এক্ষেত্রে একটা বিষয়ে মাথায় রাখবেন, আপনি কাজের প্রতি যত বেশি মনোনিবেশ করবেন তত বেশি রোজগার সম্ভব। ফলে প্রত্যহ গ্রাহকের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রাখতেই হবে, যাতে সেল ও আয় উভয়ই বাড়ে। ফ্রিল্যান্সার হিসাবে আপনি কনটেন্ট রাইটিং, ওয়েবসাইট ডিজাইনিং, অনলাইন টিচিং, মার্কেটিং ইত্যাদি ফিল্ডে কাজ করার কথা ভাবতে পারেন।
কনটেন্ট রাইটিং (Content Writing) :
বর্তমানে মানুষ যেকোনো ছোটোবড় বিষয়ে জানার জন্য ইন্টারনেট নির্ভর হয়ে পড়েছে। এক্ষেত্রে ইন্টারনেটে উপলব্ধ বিভিন্ন তথ্যপূর্ণ নিবন্ধ লিখে থাকেন কনটেন্ট রাইটাররা। ফলে আপনি যদি নির্দিষ্ট কোনো বিষয়ে বিশেষজ্ঞ হয়ে থাকেন, ইংরেজি সহ যেকোনো আঞ্চলিক ভাষায় ভালো দখল থাকে এবং লেখার হাত ভালো হয় তবে অনলাইনে কনটেন্ট লিখে অর্থ উপার্জনের কথা ভাবতে পারেন। এক্ষেত্রে জানিয়ে রাখি, ইন্টারনেটে এমন অনেক সাইট আছে যেখানে ফ্রিল্যান্স কনটেন্ট রাইটিংয়ের সুযোগ দেওয়া হয়। এইসকল সাইটে প্রদত্ত প্রজেক্ট সম্পন্ন করে আপনি টাকা রোজগার করতে পারবেন। মূলত কতগুলি কনটেন্ট লিখছেন এবং সেগুলি কিরকম ট্রাফিক তৈরী করছে তার উপর নির্ভর করবে আপনার রোজগারের পরিমাণ। কনটেন্ট রাইটিংয়ের অধীনে - রিজিউম রাইটিং, ক্রিয়েটিভ রাইটিং, প্রুফ রিডিং, এসইও (SEO) রাইটিং, লিগাল রাইটিং ইত্যাদি ক্যাটাগরি সামিল রয়েছে।
অনুবাদকের কাজ (Translator Jobs) :
কনটেন্ট রাইটিংয়ের তুলনায় অনুবাদক বা ট্রান্সলেটরের কাজ সহজ। তবে এই পেশায় বিভিন্ন ভাষায় দক্ষতা থাকা জরুরি। কেননা দেশি তথা বিদেশি ব্যবসায়িক সংস্থা, লেখক-লেখিকা এবং শিক্ষাবিদরা নিজেদের কাজ বিশ্বের বহু ভাষাভাষীর মানুষের কাছে উপলব্ধ করার জন্য অনুবাদকদের সাহায্য নিয়ে থাকে। তাই আপনি যদি মাতৃভাষা সহ দুই বা ততোধিক আঞ্চলিক / বিদেশী ভাষায় সাবলীল হন তবে ঘরে বসে অনুবাদকদের চাকরি করতে পারেন। একজন অনুবাদক হিসাবে আপনাকে - আর্টিকেল, বই, চিঠিপত্র ইত্যাদির অনুবাদ করতে হবে। এমনকি অডিও ক্লিপও বিদেশী ভাষা থেকে মাতৃ ভাষায় অত্যন্ত নির্ভুলতার সাথে অনুবাদ করতে হতে পারে।
বিটা টেস্টার (Beta Tester) :
আপনি যদি বাড়ি বসে দ্বিতীয় চাকরি করতে ইচ্ছুক থাকেন কিন্তু হাতে সময় বাঁধাধরা থাকে, তবে বিটা টেস্টারের কাজ বেছে নিতে পারবেন। বিষয়টা একটু বিস্তারে বলি। বর্তমানে বহু টেক ব্র্যান্ড এবং অ্যাপ ডেভেলপার সংস্থা আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের প্রোডাক্ট লঞ্চ করার আগে 'বিটা টেস্টিং' পরিচালনা করে থাকে। মূলত, আসন্ন অ্যাপের পারফরম্যান্স কতটা ভালো বা কোনো ফিচারগত ত্রুটি আছে কিনা সেই বিষয়ে রিভিউ পেতেই এই পরীক্ষা করা হয়। ফলে আপনি এরকম বিটা টেস্টার হয়ে ওয়েবসাইট বা অ্যাপ সম্পর্কে নিজের মতামত দেবেন এবং সেই ভিত্তিতে সংস্থাগুলি কোনো ত্রুটি থাকলে তা সমাধান করবে। বিটা টেস্টারের কাজে তুলনায় কম সময় ব্যয় করতে হয় এবং অর্থ বিনিয়োগের কোনো চিন্তা থাকে না৷ এমনকি কিছু সংস্থা তো তাদের অ্যাপ এবং ওয়েবসাইট পরীক্ষা করার জন্য অর্থ প্রদানও করে।
ট্রাভেল এজেন্ট (Travel Agent) :
উপরি রোজগারের জন্য আপনি ট্রাভেল এজেন্ট হিসাবে কাজ করতে পারেন। অথবা নিজেই একটি ট্রাভেল এজেন্সি খুলে বসতে পারেন। ভারতবাসী তথা বাঙালি ঘুরতে খুব ভালোবাসে। কিন্তু এমন অনেকেই আছেন, যারা সাজিয়ে-গুছিয়ে ট্রিপ প্ল্যান করতে পারেন না। এরকম ব্যক্তিদের সাহায্য করে ট্রাভেল এজেন্টরা। এই পেশায় আপনাকে যাত্রীর হয়ে - ট্রেন / বাস / ফ্লাইটের টিকিট বুক করা থেকে শুরু করে গন্তব্যস্থানে পৌঁছনোর পর থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা, গাইড ঠিক করে দেওয়া ইত্যাদির আয়োজন করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি নিজেও যদি একজন ভ্রমণপিপাসু ব্যক্তি হয়ে থাকেন, তবে এই পেশা আপনার জন্য আদর্শ হবে। সর্বোপরি মানুষ সারা বছরই ঘুরতে যান, ফলে ট্রাভেল এজেন্টের কাজ করলে প্রতি মাসেই ব্যাঙ্কে টাকা ঢুকবে।
ব্লগিং (Blogging) :
বাড়ি বসে অর্থোপার্জনের আরেকটি সেরা উপায় হল ব্লগিং করা। এক্ষেত্রেও আপনি নির্দিষ্ট কোনো বিষয়ে ব্লগে আর্টিকেল লিখতে পারেন, যা পাঠকেরা শেয়ার করতে পারবেন৷ আর আপনার লেখা ব্লগ যত বেশি শেয়ার হবে, ততই বেশি টাকা রোজগারের সম্ভাবনা তৈরী হবে। আপনি - লাইফস্টাইল, মুভি, খাবার, কসমেটিক্স বা বই রিভিউয়ার, ট্রাভেল ইত্যাদি টপিকে লেখালিখি করতে পারেন। আবার নিজের জীবন-কাহিনীকেও ডাইরি ব্লগ হিসাবে প্রকাশ করতে পারেন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং (Affiliate Marketing) :
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং -ও অতিরিক্ত অর্থ উপার্জনের একটি দারুন বিকল্প। তবে এই পেশায় ঢোকার আগে জানতে হবে এটি কী? অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন ওয়েবসাইট / সংস্থা / ব্যাক্তিবৃন্দের সাথে অংশীদারিত্ব করে তাদের তৈরি প্রোডাক্টের প্রচার করা হয়। এখানে একটি 'ইউনিক' লিঙ্ক দেওয়া হয়, যাতে ক্লিক করে হওয়া প্রতিটি সেলের জন্য অংশীদারকে কমিশন দেওয়া হয়৷ এই পেশায় যুক্ত হওয়ার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় আপনার একটি বড় 'ফলোয়ার বেস' থাকা আবশ্যক। কেননা আপনাকে ফলোয়ারদের মধ্যেই প্রোডাক্ট বিক্রি করতে হবে এবং তারা কেনাকাটা করলে তবেই আপনার অর্থ উপার্জন সম্ভব। অবগতের জন্য জানিয়ে রাখি আপনি - অ্যামাজন, ফ্লিপকার্ট, ইত্যাদি কোম্পানির একজন অ্যাফিলিয়েট হিসাবে কাজে নিযুক্ত হতে পারেন।