Smartphone আসক্তি কাড়লো প্রাণ, বাবা মোবাইল কেড়ে নেওয়ায় চরম সিদ্ধান্ত 16 বছরের ছেলের!

স্মার্টফোনের (Smartphone) কারণে বিগত এক দশকে আমাদের জীবন এবং চারপাশের অনেক পরিবর্তন ঘটে গেছে। বয়েস আট হোক কিংবা আশি,...
Anwesha Nandi 18 Nov 2023 2:06 PM IST

স্মার্টফোনের (Smartphone) কারণে বিগত এক দশকে আমাদের জীবন এবং চারপাশের অনেক পরিবর্তন ঘটে গেছে। বয়েস আট হোক কিংবা আশি, কাজে-অকাজে এই ছোট্ট ইলেকট্রনিক ডিভাইসটি সবারই হাতে হাতে ঘুরছে। এমনকি খুদে বাচ্চার মনোরঞ্জনের জন্যও বহু অভিভাবক খেলনার বদলে মোবাইল স্মার্টফোন কাজে লাগাচ্ছেন। কিন্তু স্মার্টফোনের এই প্রাণভোমরা হয়ে ওঠার বিষয়টি যে কার্যত মাদকাসক্তির শামিল এবং এর বেশ ক্ষতিকর প্রভাব রয়েছে, এমন নজির ও সম্ভাবনা বহুবার আমাদের সামনে ধরা পড়েছে। যেমন এখন, বছরের প্রায় শেষ দিকে দাঁড়িয়ে এমন একটি ঘটনা ঘটেছে, যা স্মার্টফোনের নেশা কতটা ভয়ংকর – তা আরও একবার মনে গেঁথে দেবে! আসলে সম্প্রতি মুম্বাইয়ে একটি ১৬ বছর বয়সী ছেলে, তার বাবা স্মার্টফোন কেড়ে নেওয়ার কারণে আত্মহত্যা করেছে। আর এর থেকেই ফের কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে মোবাইল ফোনের আসক্তি সমস্যায় রূপধারণ এবং কীভাবে এর মোকাবেলা করা যায় সেই উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে।

বাবা কেড়ে নেন স্মার্টফোন, আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নাবালক কিশোরের

এই কয়েক বছর স্মার্টফোন এবং অনলাইন গেমিংয়ে মজে আছে দেশের তরুণ প্রজন্ম। টাইমস অফ ইন্ডিয়া (TOI)-এর একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, অতিরিক্ত গেমিংয়ের কারণেই আত্মঘাতী নাবালক কিশোরের ফোন কেড়ে নেন তার বাবা। ছেলেটি মালওয়ানিতে তার বাবা-মায়ের সাথে বসবাস করত। গতপরশু অর্থাৎ ১৬ই নভেম্বর রাতে মুঠোফোনকে ঘিরে বাবার সাথে কিশোরটির বাদানুবাদ হয়। তার বাবা উদ্বিগ্ন হয়ে ছেলের মোবাইল কেড়ে নেন এবং তার ঘরে ঘুমাতে যেতে যেতে নির্দেশ দেন।

এরপরেই ঘটে যায় মর্মান্তিক বিপত্তি! ছেলেটি রান্নাঘরের টিনের হুক থেকে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। ১৭ই নভেম্বর মানে কাল তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় এবং তার বাবা তাকে বাঁচানোর জন্য অনেক চেষ্টা করলেও শেষ রক্ষা হয়নি। একটি প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে ভর্তির আগেই তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। মালওয়ানি পুলিশ গোটা ঘটনাটিকে দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু হিসাবে রেকর্ড করেছে, যদিও ময়নাতদন্ত চলছে।

কীভাবে বাড়ির ছেলে-মেয়ের স্মার্টফোন আসক্তি নিয়ন্ত্রণ করবেন?

বাড়ির ছোটো সদস্যদের মোবাইল ফোন সম্পর্কিত আসক্তি কমাতে এবং মানসিক স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখতে অভিভাবকদের সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। এক্ষেত্রে তাঁরা ছেলে-মেয়েকে ফোন ব্যবহারের জন্য শাসনের বদলে খোলামেলাভাবে (পড়ুন স্পষ্ট) নির্দেশ দিতে পারেন, নির্ধারণ করতে পারেন সময়কাল। এছাড়া তাদের শারীরিক ক্রিয়াকলাপে উৎসাহিত করাও যেতে পারে। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হল যে, কিশোর-কিশোরীরা যদি দেখে তাদের পিতামাতারা টানা ফোনের স্ক্রিনেই সময় ব্যয় করছেন, তাহলে তারা সেটাই অভ্যেস করে নেবে; তাই শিশুর সামনে অধিক পরিমাণে ফোন ব্যবহার না করা এবং তাদের এই বিষয়ে শিক্ষা দেওয়া শ্রেয়।

Show Full Article
Next Story