100 টাকা রিফান্ড পেতে গিয়ে 5 লাখের গচ্ছা দিলেন এক ব্যক্তি! Uber ইউজাররা এই ভুল করবেননা
এখনকার সময়ে রাস্তাঘাটে যাতায়াতের জন্য অনেকেই Ola, Uber-এর মতো ক্যাব পরিষেবার ওপর নির্ভর করছেন। খাস কলকাতার বুকেও বিগত...এখনকার সময়ে রাস্তাঘাটে যাতায়াতের জন্য অনেকেই Ola, Uber-এর মতো ক্যাব পরিষেবার ওপর নির্ভর করছেন। খাস কলকাতার বুকেও বিগত কয়েক বছর ধরে পরিবহণ ব্যবস্থার অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হয়ে উঠেছে এই স্মার্টফোন অ্যাপ-ভিত্তিক পরিষেবাগুলি, যেগুলির কারণে নিজের গাড়ি না থাকলেও বাস-ট্রেনের ভিড়, ট্যাক্সি ধরার ঝামেলা ইত্যাদি অসুবিধে আরামসে এড়ানো যাচ্ছে! সেক্ষেত্রে আপনিও যদি প্রায়শ Uber ট্যাক্সি ব্যবহার করেন, তাহলে এখন আপনার সাবধান হওয়ার সময় এসেছে। কারণ ট্যাক্সি বুকিংয়ের দরুন ১০০ টাকা রিফান্ড পেতে গিয়ে, সম্প্রতি এক ব্যক্তি খুইয়ে বসেছেন ৫ লাখ টাকা। কীভাবে ঘটল এমনটা? আসুন, এই অবাক করা ঘটনাটি ভালোভাবে জেনে নিই, যাতে Uber ট্রিপ নিতে গিয়ে আপনি যেন কোনো ভুল না করেন।
Uber Scam: রিফান্ড পেতে গিয়ে জালিয়াতির শিকার যাত্রী
জানা গিয়েছে যে, ওই ব্যক্তি মানে উবার যাত্রী, তাঁর ট্রিপে অতিরিক্ত ১০০ টাকা চার্জ দিতে হওয়ার কারণে গুগল (Google) থেকে কাস্টমার কেয়ার নম্বরে যোগাযোগ করেন এবং সাহায্য পেতে চান। আর এখানেই ঘটে যায় বড় গন্ডগোল – তিনি আসল কাস্টমার সার্ভিসের বদলে স্ক্যামারদের ফাঁদে পড়ে যান! অর্থাৎ, গতানুগতিক জালিয়াতির কারণেই ওই ব্যক্তির লক্ষাধিক টাকা লোপাট হয়ে যায়।
আইএএনএস (IANS)-এর তথ্য অনুযায়ী, ভিক্টিমের নাম প্রদীপ চৌধুরী যিনি এসজে এনক্লেভের বাসিন্দা। সম্প্রতি তিনি ২০৫ টাকায় গুরুগ্রামে একটি ক্যাব নিয়েছিলেন, কিন্তু শেষ অবধি উবার তাঁর থেকে ৩১৮ টাকা চার্জ করে। বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ করায়, প্রদীপের ক্যাব ড্রাইভার কাস্টমার কেয়ারে কল করে রিফান্ড সম্পর্কে কথা বলার পরামর্শ দিয়েছিলেন। এরপর তিনি গুগল থেকে '৬২৮৯৩৩৯০৫৬' নম্বর পেয়ে তাতে কল করেন, যা পরপর দুবার অন্য নম্বরে রিডাইরেক্ট হয় এবং জনৈক রাকেশ মিশ্রের কাছে কল যায়।
অন্যান্য সাইবার জালিয়াতির ঘটনার মতোই কাস্টমার কেয়ারের নামে কল রিসিভার, প্রদীপকে গুগল প্লে স্টোর (Google Play Store) থেকে 'Rust Desk অ্যাপ' ডাউনলোড করার নির্দেশ দেয়। তিনি নির্দেশমতো অ্যাপ ডাউনলোড করলে তাঁকে পেটিএম (Paytm) খুলে 'rfnd 112' মেসেজ পাঠাতে বলে ভুয়ো কাস্টমার কেয়ার ইউনিট! এমনকি তাঁর অ্যাকাউন্ট যাচাইয়ের নামে নেওয়া হয় ফোন নম্বর সংক্রান্ত যাবতীয় ডিটেইলসও।
এক্ষেত্রে প্রদীপ, জালিয়াতির ফাঁদে পা দিয়ে একের পর এক সন্দেহজনক পদক্ষেপ নেন, আর একবার সমস্ত কাজ হয়ে যেতেই নিজের আসল রং দেখায় ফোনে অপরদিকে থাকা জালিয়াতরা। প্রাথমিকভাবে, তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে ৮৩,৭৬০ টাকা অতুল কুমার নামে কারো কাছে ট্রান্সফার হয়, যারপর ৪,০০,০০০ টাকা, ২০,০১২ টাকা, ৪৯,১০১ টাকা ইত্যাদি অ্যামাউন্টের মোট চারটি ট্রানজাকশন হয়। এর মধ্যে তিনটি লেনদেন পেটিএমের মাধ্যমে এবং একটি পিএনবি (PNB) ব্যাঙ্কের মাধ্যমে হয়েছে বলে ভিক্টিম অভিযোগ করেছেন। ইতিমধ্যে পুলিশ আইপিসি ৪২০ ধারা এবং তথ্য-প্রযুক্তি আইনের ৬৬ডি ধারার এফআইআর রুজু করেছে।