অভিনব উপায়ে তৈরি হচ্ছে বিদ্যুৎ, দেশের প্রথম বায়োগ্যাস চালিত বৈদ্যুতিক গাড়ির চার্জিং স্টেশনের উদ্বোধন হল
একথা সকলেই জানেন যে, কয়লা অথবা অন্য খনিজ জ্বালানি পুড়িয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায় ঠিকই, কিন্তু বিদ্যুৎ উৎপাদনের সাথে...একথা সকলেই জানেন যে, কয়লা অথবা অন্য খনিজ জ্বালানি পুড়িয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায় ঠিকই, কিন্তু বিদ্যুৎ উৎপাদনের সাথে পরিবেশ দূষণকারী বিভিন্ন ক্ষতিকর গ্যাসও উৎপন্ন হয়। তাই ‘বেহাল’ পরিবেশের উপর নতুন করে যাতে চাপ সৃষ্টি না হয়, সে জন্য ভারতের প্রথম জৈব গ্যাস (Biogas) চালিত বৈদ্যুতিক গাড়ির চার্জিং স্টেশন তৈরি হয়েছে মুম্বইয়ের হাজি আলি এলাকায়। গত সোমবার তার উদ্বোধন করেন মুম্বাইয়ের পরিবেশ ও পর্যটন মন্ত্রী আদিত্য ঠাকরে। তাজ্জব করার মতো বিষয় হল, নষ্ট হয়ে যাওয়া খাবার থেকে উৎপন্ন বিদ্যুতে ব্যাটারিচালিত গাড়ি চার্জ দেওয়া যাবে সেখানে।
উক্ত বৈদ্যুতিক চার্জিং স্টেশনটির প্রসঙ্গে থাকারে টুইটারে লিখেছেন, “আজ কেশব রাও খাদ্যে মার্গে ভারতের প্রথম বায়োগ্যাস পরিচালিত ইলেকট্রিক ভেহিকেল চার্জিং স্টেশন উদ্বোধন করলাম। যেখানে গৃহস্থদের ফেলে দেওয়া বর্জ্য থেকে ২২০ ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়।” তিনি আরও জানান, “সড়কে আলো জ্বালাতে বিদ্যুৎ সরবরাহের পাশাপাশি এবার থেকে এখানে বৈদ্যুতিক গাড়ি চার্জ দেওয়া যাবে।”
কেশব রাও রাস্তার নিকটে হাজি আলি এলাকার উইলিংডন ক্লাবের সন্নিকটে পড়ে থাকা ২,০০০ বর্গফুট জমির উপর তৈরি করা হয়েছে জৈব গ্যাস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের কেন্দ্র। এখানে প্রতিদিন ২,০০০ কেজি বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে বলে জানানো হয়েছে। এটি গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে কাজ চালু করেছে। আর নতুন চার্জিং স্টেশনটি অ্যারোকেয়ার ক্লিন এনার্জি লিমিটেড (AeroCare Clean Energy Limited) এবং বৃহন্মুম্বই মিউনিসিপাল কর্পোরেশন বা BMC (Brihanmumbai municipal Corporation) যৌথ উদ্যোগে গড়ে তুলেছে।
কীভাবে কাজ করে এটি?
বিএমসি তাদের ডি ওয়ার্ডের আওতাধীন মালাবার হিল, হাজি আলি, নাপেয়ানসি রোড, গ্র্যান্ট রোড চত্বর থেকে ফেলে দেওয়া ফলমূল, শাকসবজি ইত্যাদি সংগ্রহ করে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে পাঠাবে। চা পাতা, কফি পাউডার, ডিমের খোসা, মাংস, হাড়, ফুল ফেলে দেওয়া খাবার এবং পাতা থেকে বিদ্যুৎ তৈরি করা হবে। আবার চার্জিং স্টেশনে একসাথে দু'টো গাড়ি দ্রুত চার্জ দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে।