Adani 5G: টেলিকম ব্যবসায় নামছে গৌতম আদানি, 5G নিলামে Jio কে দেবে টেক্কা
৫তম প্রজন্মের সেলুলার নেটওয়ার্ক বা 5G স্পেকট্রাম নিলাম (Auction) ভারতে শীঘ্রই শুরু হবে। আর এই নিলামে অংশগ্রহণ করার জন্য...৫তম প্রজন্মের সেলুলার নেটওয়ার্ক বা 5G স্পেকট্রাম নিলাম (Auction) ভারতে শীঘ্রই শুরু হবে। আর এই নিলামে অংশগ্রহণ করার জন্য ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে ভারতের প্রথমসারির নেটওয়ার্ক প্রদানকারী সংস্থা Vodafone-Idea, Airtel এবং Reliance Jio। তবে আলোচ্য তিনটি টেলিকম সংস্থার সাথে এই নিলামে অংশ নিতে পারে আরেকটি ভারতের বহুজাতিক ব্যবসায়িক গ্ৰুপও। আজ্ঞে হ্যাঁ! 'Adani Group' এর কর্ণধার গৌতম আদানি 5G স্পেকট্রামের নিলামে 'সারপ্রাইজ এন্ট্রি' নিতে পারেন বলে খবর। আর সত্যি যদি বিশ্বের অষ্টম ধনী গৌতম আদানি নিলামে অংশ নেন, তবে মুকেশ আম্বানির Reliance Jio এবং সুনীল ভারতী মিত্তালের টেলিকম ব্র্যান্ড Airtel 'নেক্সট জেনারেশন' নেটওয়ার্কিং টেকনোলজির স্পেকট্রাম নিলামে প্রতিদ্বন্দ্বীতার মুখোমুখি হবে।
5G স্পেকট্রাম নিলামে অংশগ্রহণ করতে তৎপর গৌতম আদানি, টেক্কা দেবে মুকেশ আম্বানির Jio -কে
৫জি স্পেকট্রাম এয়ারওয়েভের নিলাম আগামী ২৬শে জুলাই অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। এই নিলামে শুধুমাত্র সেই সকল সংস্থাই অংশ নিতে পারবে, যারা হাই-স্পিড সম্পন্ন ইন্টারনেট কানেক্টিভিটি অর্থাৎ ৫জি প্রদান করার ক্ষমতা রাখে। আর সেই মতোই মোট ৪টি ভারতীয় সংস্থা এই নিলামে ভাগ নেওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই আবেদন পত্র জমা দিয়েছে। এই ৪টি সংস্থার মধ্যে তিনটি হল - রিলায়েন্স জিও, এয়ারটেল এবং ভোডাফোন-আইডিয়া। তবে উক্ত তিনটি টেলিকম জায়ান্ট বাদেও আরেকটি সংস্থাও এই নিলামে অংশ নিয়েছে। আমাদের অনুমান, এই চতুর্থ সংস্থাটি সম্ভবত গৌতম আদানির 'আদানি গ্ৰুপ'।
নিলামে অংশগ্রহণকারী চতুর্থ সংস্থাটি 'আদানি গ্রুপ' অনুমান করার কারণ, সংস্থাটি সম্প্রতি 'ন্যাশনাল লং ডিস্ট্যান্স' (National Long Distance) এবং 'ইন্টারন্যাশনাল লং ডিস্ট্যান্স' (International Long Distance) লাইসেন্স পেয়েছে। যদিও সংস্থার পক্ষ থেকে এখনো এই বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়নি। সম্পূর্ণটাই বিশেষ সূত্র মারফৎ আমাদের কানে এসেছে। যাইহোক, নিলামে অংশগ্রহণকারীদের সম্পর্কে জানতে আমাদের আরো কিছু দিন অপেক্ষারত থাকতে হবে। কেননা, সংস্থাগুলির নাম আগামী ১২ই জুলাই প্রকাশ্যে নিয়ে আসা হবে বলে স্পেকট্রাম নিলামের টাইমলাইনে উল্লেখ করা হয়েছে।
5G নেটওয়ার্কিং চালু হলে দ্বিগুণ স্পিডে অ্যাক্সেস করা যাবে ইন্টারনেট
প্রসঙ্গত ২০১৫ সালের পর থেকে সারা দেশে ৪জি (4G) পরিষেবার দ্রুত সম্প্রসারণ ঘটেছে। যার ফলে মানুষের মধ্যে উল্লেখযোগ্যভাবে ডিজিটাল সংযোগও বৃদ্ধি পেয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, ভারতে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ব্রডব্যান্ড ব্যবহারকারীর সংখ্যা যেখানে মাত্র ১০ কোটি ছিল, সেখানেই বর্তমান সময়ে এই সংখ্যা 8০ কোটির মাইলস্টোন ছাড়িয়ে গেছে। তবে, ৫জি নেটওয়ার্কের আগমনের সাথে দ্বিগুণ স্পিডে ইন্টারনেট অ্যাক্সেস করা সম্ভব হলে, ব্রডব্যান্ড ব্যবহারকারীর সংখ্যা আরো বহুগুন বৃদ্ধি পাবে। জানিয়ে রাখি, ২৬ তারিখে আয়োজিত নিলাম কার্যে স্পেকট্রামের মোট খরচ প্রায় ৫ লাখ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে এবং এই নিলামে বিজয়ী দরদাতাকে ২০ বছরের জন্য স্পেকট্রাম ব্যবহারের অধিকার প্রদান করা হবে।