এই ফাঁদে পা দিলে হারাতে পারেন সর্বস্ব, গ্রাহকদের সতর্ক করল Airtel

হাজারো সাবধানবাণী সত্ত্বেও প্রায়শই অনলাইন জালিয়াতির ঘটনা ভারতবাসীকে অস্বস্তিতে ফেলছে। সামান্য অজ্ঞতা বা অসতর্কতার কারণে সাধারণ মানুষ হয়ে উঠছেন জালিয়াতদের শিকার! সেক্ষেত্রে অনলাইন জালিয়াতির অন্যতম…

হাজারো সাবধানবাণী সত্ত্বেও প্রায়শই অনলাইন জালিয়াতির ঘটনা ভারতবাসীকে অস্বস্তিতে ফেলছে। সামান্য অজ্ঞতা বা অসতর্কতার কারণে সাধারণ মানুষ হয়ে উঠছেন জালিয়াতদের শিকার! সেক্ষেত্রে অনলাইন জালিয়াতির অন্যতম একটি পন্থা – কেওয়াইসি (KYC) এবং ওটিপি কেলেঙ্কারি সম্পর্কে আবারও গ্রাহকদের সতর্ক করল জনপ্রিয় টেলিকম কোম্পানি Bharti Airtel (ভারতী এয়ারটেল)। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, হালফিলে সাইবার প্রতারকরা Airtel-এর এক্সিকিউটিভ হিসেবে পরিচয় দিয়ে গ্রাহকদের ফোন করছে এবং কেওয়াইসি ফর্ম আপডেট করার অজুহাত দেখাচ্ছে। সেক্ষেত্রে কোনো গ্রাহক অসাবধানতার বশে নিজের ব্যাঙ্ক ডিটেইলস শেয়ার করলেই, সেই তথ্য কাজে লাগিয়ে অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে জালিয়াতরা।

Airtel-এর নাম ভাঁড়িয়ে ভুয়ো ফোন জালিয়াতদের

এয়ারটেলের সিইও গোপাল ভিট্টল সম্প্রতি একটি আউটরিচ ইমেলে বলেছেন যে, সংস্থার গ্রাহকরা ব্যাঙ্ক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নামে প্রতারকের কাছ থেকে কল বা মেসেজ পেতে পারেন, যেখানে তাদের বিদ্যমান ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট আনব্লক বা রিনিউ করতে অ্যাকাউন্ট ডিটেইলস বা ওটিপি চাওয়া হবে৷ তাই এই ধরণের ফাঁদে পা দিয়ে কাস্টমার আইডি, এমপিআইএন, ওটিপি ইত্যাদি কোনো তথ্যই না শেয়ার করার অনুরোধ করেছেন ভিট্টল।

পাশাপাশি ভিট্টল, এয়ারটেল এক্সিকিউটিভ হিসেবে পরিচয় প্রদানকারী সাইবার প্রতারকদের থেকে সাবধানে থাকতে বলেছেন। এমনকি তিনি জাল ইউপিআই হ্যান্ডেল বা ওয়েবসাইট, ভুয়ো ওটিপি, ইমেল এবং লিঙ্কে ক্লিক করা থেকে ইউজারদের বিরত থাকতে বলেছেন। উল্লেখ্য, বেশ কিছুদিন আগেও একইভাবে মেসেজের মাধ্যমে গ্রাহকদের সতর্ক করে ই-কেওয়াইসি বিশদ/আধার নম্বর শেয়ার করতে, কোনো অ্যাপ ডাউনলোড করতে বা এয়ারটেল নম্বর যাচাই সংক্রান্ত সন্দেহজনক কার্যক্রম অনুসরণ করতে নিষেধ করেছিল সংস্থাটি।

অনলাইন KYC কেলেঙ্কারি কী?

বিগত কয়েক বছর ধরে টেলিকম গ্রাহকরা প্রায়শই কেওয়াইসি ভেরিফিকেশন সম্বন্ধিত ফোন বা মেসেজ পেয়ে থাকেন, যেখানে তাদের ২৪ ঘন্টার মধ্যে নম্বরের অ্যাক্সেস হারানোর ভয় দেখানো হয়। আবার কখনও কখনও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বা কার্ডে সমস্যা আছে বলেও ফোন করা হয়। এবার সময় বাঁচানোর চক্করে হোক বা ভয় পেয়ে, জালিয়াতদের কাছে ওটিপি বা অন্যান্য তথ্য শেয়ার করলে প্রতারণার শিকার হতে হয়।