e-SIM ব্যবহারে হারানো ফোন ট্র্যাক হবে সহজে! রেগুলার সিম কার্ডকে ভুলতে গ্রাহকদের বার্তা দিল Airtel
সাম্প্রতিক বছরগুলিতে প্রযুক্তির বিকাশের কারণে ভারতের মোবাইল নেটওয়ার্ক সেক্টরে অনেকটাই বদল এসেছে। গত বছর থেকে এদেশে চালু...সাম্প্রতিক বছরগুলিতে প্রযুক্তির বিকাশের কারণে ভারতের মোবাইল নেটওয়ার্ক সেক্টরে অনেকটাই বদল এসেছে। গত বছর থেকে এদেশে চালু হয়েছে পঞ্চম প্রজন্মের নেটওয়ার্ক সার্ভিস তথা 5G। আবার সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে এবং মাইক্রো, ন্যানো সাইজকে পেছনে ফেলে স্ট্যান্ডার্ড সিম কার্ড রূপান্তরিত হয়েছে e-SIM বা এমবেডেড (embedded) সিমে। ফিজিক্যাল সিমের বদলে তার এই বিশেষ রূপটি ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় ব্যবহার হচ্ছে, যাতে সাধারণ সিমের মতই যাবতীয় পরিষেবা এবং তার সাথে আরও কিছু সুবিধা পাওয়া যায়। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার Bharti Airtel কোম্পানির সিইও গোপাল ভিট্টল e-SIM সম্পর্কে কাস্টমারদের বিশেষ বার্তা দিয়েছেন। ভিট্টল, অতিসম্প্রতি মোবাইল ইউজারদের কমিউনিকেশনের জন্য নিয়মিত সিম কার্ডের পরিবর্তে e-SIM ব্যবহার করার কথা বিবেচনা করতে বলেছেন। তাঁর মতে, এর থেকে প্রযুক্তিগত নতুন সুবিধাতো হাতের মুঠোয় আসবেই, তার সাথে ফোনের নিরাপত্তা এবং ব্যবহার সহজ হয়ে যাবে। এমনকি, এর থেকে কোনোভাবে হারিয়ে যাওয়া স্মার্টফোন ট্র্যাক করাও খুব সহজ কাজ হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
Airtel গ্রাহকদের ইমেইল পাঠিয়েছেন সংস্থার প্রধান
ভিট্টল, হালফিলে এয়ারটেল গ্রাহকদের ই-সিমের সুবিধার কথা বলে একটি ইমেইলও পাঠিয়েছেন। সাধারণ মানুষের মধ্যে ই-সিম সংক্রান্ত উৎসাহ বাড়াতে সেখানে তিনি উল্লেখ করেছেন যে, এই ধরণের সিম পরিষেবা নিরবচ্ছিন্ন সংযোগ প্রদান করে এবং এটি ডিভাইসগুলির মধ্যে স্যুইচ করাও সহজ, কারণ ই-সিমের মাধ্যমে একাধিক মোবাইল অপারেটরের পরিষেবা এবং একাধিক নম্বর একই সিমে ব্যবহার করা যাবে। শুধু তাই নয়, কীভাবে ই-সিম, মোবাইল চোরেদের জন্য ফোন থেকে সিম বের করা কঠিন করে তুলতে পারে এবং চুরি হওয়া ফোন নির্বিঘ্নে ট্র্যাক করতে সহায়তা করে, সেই বিষয়টিও মেইলে তুলে ধরেছেন ভিট্টল।
আসলে, যেহেতু ই-সিম ফোনে ফিজিক্যালি ইনস্টল করতে হয়না, তাই অপরাধীরা কারো ফোন হাতে পেলেও সিমটি ফোন থেকে খুলে ফেলতে বা আলাদা করতে পারেনা। ফলে এর মাধ্যমে হারিয়ে বা চুরি হয়ে যাওয়া ফোনটি সহজেই ট্র্যাক করা যায়। সেক্ষেত্রে ভিট্টল, এয়ারটেল গ্রাহকদের ই-সিম গ্রহণের জন্য অনুরোধ করে বলেছেন যে তাদের এই প্রযুক্তি যেকোনো ডিভাইসেই ব্যবহার করা যেতে পারে। যারা ই-সিমের জন্য নিজের রেগুলার সিম বদলাতে আগ্রহ বোধ করবেন, তাদের এয়ারটেল থ্যাঙ্কস (Airtel Thanks) অ্যাপটির সাহায্য নিতে হবে।
e-SIM আসলে কী?
এতটুকু পড়ে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে, ই-সিম একেবারে রেগুলার সিম কার্ডের মতোই, তবে এটির কোনো শারীরিক অস্তিত্ব নেই এবং একে ফিজিক্যালি ফোনে ইনস্টল করতে হয়না৷ এই সিম, কাজ করার জন্য ডিভাইসের বিশেষ সফ্টওয়্যার ব্যবহার করে। এর গ্রাহকরা ঝামেলা ছাড়াই তাদের সার্ভিস প্রোভাইডার পরিবর্তন করতে পারেন, কোনো নতুন সিম ছাড়াই। আবার যদি কারো একটির বেশি নম্বর থাকে, তবে তারা এই সিমের সাহায্যে একটি ডিভাইসেই সেই নম্বরগুলির জন্য আলাদা আলাদা প্রোফাইল তৈরি করে ইচ্ছেমত সেই প্রোফাইলগুলিতে স্যুইচ করতে পারবেন।
বর্তমানে অধিকাংশ স্মার্টফোন কোম্পানিই তাদের ডিভাইসে ই-সিম সাপোর্ট দিয়ে ব্যাটারির জন্য জায়গা বাঁচাতে এবং মডেলটিকে স্লিম ডিজাইনের করে তুলতে চাইছে। ফলত বাজারে এখন Apple iPhone থেকে শুরু করে Samsung, Motorola এবং OnePlus-এর মতো ব্র্যান্ডের অনেক ফোনে এই সুবিধা পেয়ে যাবেন।