Airtel গ্রাহক! জানুন স্মার্টফোন ও কম্পিউটারকে সাইবার ক্রিমিনালদের হাত থেকে কীভাবে বাঁচাবেন
বর্তমানে প্রতিটি মুহূর্তে সাইবার অপরাধের সংখ্যা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে রোজ হাজার হাজার কম্পিউটার এবং স্মার্টফোন...বর্তমানে প্রতিটি মুহূর্তে সাইবার অপরাধের সংখ্যা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে রোজ হাজার হাজার কম্পিউটার এবং স্মার্টফোন ব্যবহারকারী এই সাইবার অপরাধের শিকার হচ্ছেন। চুরি হয়ে যাচ্ছে তাদের ব্যক্তিগত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, ব্যাঙ্কের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নথি এবং কষ্টার্জিত উপার্জন বা মূল্যবান সঞ্চয়ের রাশি রাশি টাকা! আর সেই কারণেই সাইবার-অপরাধীদের রুখে দিতে সরকারি-বেসরকারি সমস্ত সংস্থা আজ তৎপর। এর সাম্প্রতিকতম নিদর্শন দেখা গেলো এয়ারটেল্ (Airtel) ও ক্যাস্পারস্কাইয়ের (Kaspersky) বন্ধুত্বপূর্ণ চুক্তির মধ্যে। সাইবার-অপরাধের বিরুদ্ধে গণসচেতনতা তৈরী করতে দুটি সংস্থা সম্প্রতি পরস্পরের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে।
Airtel ও Kaspersky মিলে দেবে সাইবার নিরাপত্তা
এয়ারটেল এবং ক্যাস্পারস্কাইয়ের পারস্পরিক জোটের ফলে গোটা বিশ্বের অসংখ্য ইন্টারনেট ব্যবহারকারী লাভবান হবেন। এক্ষেত্রে এয়ারটেল গ্রাহকদের জন্য থাকছে বিশেষ অফার। এর ফলে তারা এয়ারটেল থ্যাঙ্কস অ্যাপ (Airtel Thanks App) মারফত ক্যাস্পারস্কাই টোটাল সিকিউরিটি সলিউশন (Kaspersky Total Security Solution) কেনার সুযোগ পাবেন যা তাদের ডিভাইসের সুরক্ষাকে আরো মজবুত করে তুলবে।
আসলে বর্তমানে সামনে আসা প্রতিটি পরিসংখ্যানে সাইবার অপরাধ বৃদ্ধির সংখ্যা রীতিমতো উর্ধ্বমুখী। ক্যাস্পারস্কাইয়ের (Kaspersky) প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী কেবলমাত্র ২০২১ সালের প্রথম প্রান্তিকে ইন্টারনেট কেন্দ্রিক সাইবার-হুমকির সংখ্যা ৩৭,৬৫০,৪৭২ যা যথেষ্ট ভাবাচ্ছে! এছাড়াও গত কয়েক বছরের মধ্যে ভারতে সাইবার অপরাধের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই ধরনের ঘটনার নিরিখে সারা বিশ্বে ভারতের স্থান আপাতত সপ্তম।
সুতরাং চিন্তা করার প্রয়োজন আছে। ক্যাস্পারস্কাই কর্তৃপক্ষের মতে বর্তমানে বিশ্বের স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের যে সমস্ত সাইবার-হুমকির মুখে পড়তে হয়, তার মধ্যে ৫৭ শতাংশ অ্যাডওয়্যারের মাধ্যমে আমাদের ডিভাইসে হানা দেয়। অন্যদিকে ব্যাকডোর হুমকির সংখ্যাও অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা ২০১৯ সালের তুলনায় সতেরো গুণ এবং ট্রোজান-প্রক্সি হুমকির সংখ্যা বারো গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
এয়ারটেলের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ চুক্তির ব্যাপার বলতে গিয়ে ক্যাস্পারস্কাই সিইও, ইউজিন ক্যাস্পারস্কাই মন্তব্য করেছেন, " ভারতের অন্যতম প্রধান মোবাইল পরিষেবা সরবরাহকারী সংস্থার সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ চুক্তি অসংখ্য ব্যবহারকারীর ইন্টারনেট সংযোগকে সম্পূর্ণ সুরক্ষিত রাখবে। এভাবেই আমরা যৌথ উদ্যোগের মধ্যে দিয়ে অনেক বেশী নিরাপত্তাপূর্ণ ডিজিটাল জগত গড়ে তুলতে সক্ষম হবো।"
অন্যদিকে এয়ারটেলের পক্ষ থেকেও যৌথ চুক্তির ব্যাপারে মন্তব্য করা হয়েছে। সংস্থাটি নিজের উপভোক্তাদের সুরক্ষিত ইন্টারনেট পরিষেবা ব্যবহারের সুযোগ দিতে আগ্রহী। এখন ক্যাস্পারস্কাইয়ের সঙ্গে চুক্তির ফলে সাইবার-অপরাধীদের দ্বারা উপভোক্তাদের প্রতারিত হওয়ার ঘটনা অনেকটা কমবে বলে এয়ারটেলের তরফ থেকে দাবী করা হয়েছে।